আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতঃপর , এক ভাগ্য পীড়িতের অকস্মাৎ মুভির সমঝধারিতা আর পোড়া মস্তিষ্কের বিক্ষিপ্ত নিউরনীয় রসায়ন ! - দ্বিতীয়বার পাগল হবার আগে !!

স্বপ্ন জগতের গোলাপী আকাশে ডানা মেলা মুক্ত বিহঙ্গ ! না ভয় আর না পিছুটান ....


ইদানিং মুভির দুনিয়ায় ঘোরাফেরা করতেসি অকারনেই ! দিনরাত মুভি নিয়া পরে থাকি ... মানে এই না, যে হঠাতই বুঝি মুভির ভক্ত বনে গেলাম !

যখন একটা মানুষ কোন একটা ঘটনাপ্রবাহের জালে ঢুকে যায় অন্তত কিছুক্ষন , যতক্ষন না ওইটুকুর যবনিকাপাত হয় ততক্ষন অন্যকিছু চিন্তায় আসে না - তা সে হোক কোন কমপ্লিকেটেড ক্রাইম-থ্রিলার মুভি বা বই ! হ্যাঁ , এটাই আপাতত ব্যস্ত থাকার ভালো একটা প্রসেস ! অন্তত চিন্তার সুতাগুলি নিয়া টানাটানি তো করতে হয় না ...
সুখ এইটুকুই... !

সুখ এইটুকুই , যে ভাবনার দিগন্তহীন দিগন্তপানে জ্বালাভরা চোখে খুঁজে ফেরা লাগে না ,
সুখ এইটুকুই , যে মিথ্যা অভিশাপের অন্তরজ্বালায় দগ্ধ হতে হতে তপ্ত নিঃশ্বাসের ভারে ভারি হওয়া লাগে না ,
সুখ এতটুকুই , যে মোহনীয় মাতাল কোন মুহূর্তের পোড়া স্মৃতিগুলির ভারে ন্যূজ হয়ে গেলেও ভেঙে পড়ে যেতে যেতে সামলে নেয়া যায় ...



ব্রেইন আউট হবার আগ মুহূর্তে এর নিউরন গুলির অবস্থা কি হয়??
সম্ভবত, খুব বেশি গতিতে ঘোরা শুরু করে হলুদ বেয়ারিংগুলি ! এতো বেশি জোরে ঘুরতে থাকে যে , ছিড়ে যায় , একবারে বিচ্ছিন্ন !

পাগল হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে একটা মানুষ সবচেয়ে বেশি চিন্তা করে - খুব দ্রুত চিন্তা করে ! চিন্তার সুতাগুলি খুব বেশি প্যাঁচায় , এমন ভাবে যে সেই প্যাচ থেকে সে মুক্ত হওয়ার কোন রাস্তা থাকেনা !

সবচে অদ্ভুত হচ্ছে যে, পাগল হওয়ার আগে একটা মানুষ এতো দ্রুত এতো বেশি ভাবে , এতোবেশি দেখে , এত বেশি শিহরন খেলে তার মধ্যে যে তার সারা জীবনের চিন্তাগুলিরে এক করলেও ওই মুহূর্তের সমান হবে না !

সবচাইতে ভয়ংকর হইল স্মৃতি !
যখন শত শত স্মৃতি এক মুহূর্তে হাজির হয় চোখের সামনে , তখন চোখ ঝলসে যায় ! একের পরে এক প্রশ্ন আসতে থাকে !
ওই প্রশ্নগুলির জন্য ব্রেইন তখন এক লাফে দশ বছর পেছনে যায় , আরেক লাফে বিশ বছর সামনে দেখতে চেষ্টা করে !

এইক্ষেত্রে আসলে , যেই ব্রেইন গুলি একটু কম চলে - শার্পনেস কম , মনে রাখে কম সেইগুলি রক্ষা পায় ! সেইগুলি , ডিপ্রেশন যতই চরম হোক সহজে ডীটাচ হয় না ! তবে ওইগুলি উত্তর মেলাতে ব্যর্থ হয়ে শরীরের উপরে চাপায় দেয় সব দোষের ভার ! সব অভিমান - সব জিজ্ঞাসা !
ফলাফল - আত্মহত্যা !



কিন্তু, বিপদটা কঠিন হয় শার্প ব্রেইন গুলির ! যন্ত্রনাটাও বেশি ভোগ করতে হয় ! কারন, ওইগুলার কনফিডেন্স বেশি থাকে ! সেই বিশ্বাস আর সেলফ রেসপেক্ট কে পুঁজি করে ক্ষিপ্র গতিতে ওই ব্রেইনগুলা ছুটতে থাকে আগে-পিছে, উপরে-নিচে , আড়ালে আর অন্তরালে !

আকাশ বাতস সব ছুঁয়ে হলেও সে মনটারে তখন তৃপ্তি এনে দিতে চায় , সত্যিটা উপড়ে মনটারে প্রবোধ দেয় - কিন্তু মন যে আর শান্ত হয় না !! একটু আশ্বাসের আশায় অনবরত বিষ নিঃশ্বাস ছাড়ে !!

ওই মুহূর্তে সবচেয়ে ভয়ংকর জিনিসটা হচ্ছে - নিঃস্বঙ্গতা ! নির্জনতা !! একাকীত্ব !
- ব্রেইনের শেষ রক্ষার কবচ যুক্তির সুতাগুলিকে একবারে ছিড়ে ছিড়ে দেয় !!!

বড় ভয়ংকর এই নির্জনতা ! বড় ভয়ংকর এই স্মৃতিকাতরতা !
বড় ভয়ংকর এই রাতের অন্ধকার ! নির্বাক নিস্তব্ধতা - স্থবিরতা !!

সত্যি ভয়ংকর !! বড় বেশি ভয়ংকর এই অবিশ্বাস !
এই একাকীত্ব !! ভয়ংকর প্রতিশোধের আগুন !
যেটা নিরবে জ্বলে - জ্বলছে -জ্বলবে !
ভয়ংকর শূন্য আকাশ !!



হুম হাঁটছি ! হয়তো অন্ধকারেই ... হাঁটছি কারন হাঁটতে হবে ... দা ডেড ম্যান ইজ ওয়াকিং এলোন বিলো দা এভার ডার্কেস্ট স্কাই ...

মানুষ নাকি কবিতা লেখে , কিভাবে লেখে জানা নেই ! জানিনা কিভাবে বর্ণ সাজাতে হয় , জানিনা ছন্দ কিভাবে তৈরী হয় , জানিনা উপমার অলংকরন কেমনে হয় ...

কবিতা লিখতে যদিওবা কভু কোনদিনও জানতাম নাহ, তবে স্বপ্ন লিখতাম !

আমি স্বপ্ন লিখে রাখতাম , এমন জনম ব্যথীর ব্যথাতুর জীবনে স্বপ্ন গুলিই যে ছিল তার সব ! ছিল প্রেরণা , ছিল অস্তিত্ব , ছিল জনম-সাধনা ...



জানতাম, একদিন ডায়রীটার পাতাগুলি মলিন হবে ; জানতাম, কল্প-তুলিটা রঙ হারাবে ; জানতাম, দৃষ্টির সীমানাটা ঘোলা হয়ে আসবে , চোখদুটো আমার হয়তো প্রতারণা করবে এই আমারি সাথে ...

শুধু জানতাম না আমার ডায়েরীর রূপালী পাতার, গোলাপী ডানার পাখির মত মুক্ত আকাশে ওড়া আমার স্বপ্নগুলিই আমার দিকে তর্জনী তুলবে, বলবে - তুই প্রতারক !!

জানতাম না , একদিন ঘুম ভেঙে দেখবো হারিয়ে গেছে আমার ডায়েরীটা , হারিয়ে গেছে গোলাপী স্বপ্ন ডানারা ; হারিয়ে গেছে যেন রাতের হিম বাতাসে মিশেই , হারিয়ে গেছে যেন অন্ধকারেই , অজান্তেই , সীমাহীন কোন সীমানায় ... হারিয়ে গেছে যেন আমারে ফেলেই ...

আজ শুধুই ঘুমিয়ে জেগে থাকার অপচেষ্টাটুকু করে যাই , শুধু মনে হয় ... যদি শেষ ঘুমাটাই হতো ! যদি আর কভু বা জেগে না উঠতে হতো ...

যদি নতুন একটা আকাশপানে উড়াল দেবার চাবিটা শুধু পেয়ে যেতাম ...
যে আকাশটা কখনো পুড়ে যাবে না ,
যে আকাশটা কোনদিনও অন্ধকার হবে না ,
যে আকাশের চাঁদটা কোনদিনও মেঘে ঢাকা পরবে না ,
যে আকাশের তারাগুলি অবেলায় হারাবে না ...



যেখানে সন্ধ্যার বাতাসে মিশে যাওয়া দীর্ঘশ্বাসে লিখা থাকবে না -
একবার আকাশ দেখেছিলাম ...
একবার বাতাস ছুঁয়েছিলাম ...
একবার ভালোবেসেছিলাম ... !!



জানিনা কবে ঘুমাবো সেই ঘুমটা , জানিনা কবে দেখবো ওই আকাশটা , জানিনা কবে

যেদিনই হোক, যেভাবেই হোক...

একটা মানুষ তো মুক্তি পাবে , হোক না দৃঢ়তার একটা প্রাচীর - তারপরেও যে মানুষ ! একটা মন তো সবকিছুর পরেও ... একটা মানুষেরই তো মন ... !


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।