স্বপ্ন দেখতে স্বপ্ন দেখাতে মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তুলতে কাজ করছি। কাউকে মিসগাইড করবেননা।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা
১। ছোটবেলায় যখন থেকে বই পড়তে শিখেছি তখন থেকে অদ্যাবধি পাঠ্যক্রমের কত কিছুই পরিবর্তিত হতে দেখেছি। একেক সরকার তাদের নিজস্ব চিন্তাধারা,আদর্শ, পক্ষপাতমূলক ইতিহাস দিয়ে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মস্তিস্কগুলির যথাযথ পরিচর্যা করতে ব্যর্থ হয়েছ।
এ ছাড়াও বানান ভুল সহ বাক্য ভুল ইত্যাদি তো রয়েছেই। ফলে দেখা যাচ্ছে যে আমরা ভুলের মধ্য দিয়ে ভুল শিক্ষা লাভ করে বড় হচ্ছি।
২। প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত যতদিন আমাদের নিজস্ব চিন্তাধারা গড়ে না ওঠে ততদিন শ্রেণীভুক্ত পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন শিক্ষামূলক গল্প, উপন্যাস বা উপন্যাসের অংশ বা পদ্য গুলির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই মূলত এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, কিন্তু ক্লাসে যারা আমাদেরকে পাঠদান করেন তারা নিজেরা কখনো আমাদেরকে বুঝাননি যে তোমরা বায়েজিদ বোস্তামীর মত মাতৃভক্ত হও, আব্দুল ক্বাদের জিলানির মত সত্যবাদী, কিংবা বাদশাহ আলমগীরের মত শিক্ষানুরাগী হও। বরং তারা বই ভাল ভাবে না পড়িয়ে পাঠ্যপুস্তক থেকে বেছে বেছে আমাদেরকে প্রশ্ন নির্ধারণ করে দেন যাতে আমরা পরীক্ষায় ভাল নাম্বার পাই আদর্শবান হই আর না হই।
আমার মনে হয় আমাদের শিক্ষা কমিশনকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া উচিৎ। আরেকটি ব্যাপার হল আমাদের শিক্ষাগুরুদের মধ্যে নৈতিকতার যে চরম সংকট বিরাজ করছে সে কারণে আশংকা করছি ভবিষ্যত বংশধরদেরকে পান্না মাস্টার বা পরিমলদের কালো রোমশ থাবা হতে দূরে রাখতে স্কুলেই ভর্তি করাবনা।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।