শৃঙ্খল হতে মুক্তির লড়াইয়ে যুক্ত থাকতে চাই ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এ আয়োজীত cse carnival-এ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন যে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিপিপি(PPP-Public Private Partnership)-এর মডেল হিসেবে দাড় করাতে। অর্থাৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় করার মডেল হবে শাবিপ্রবি। সেইদিনের ঘটনায় সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ও প্রতিক্রিয়াশীলরা এর কোন প্রতিবাদ না করলেও জাতীয় ছাত্রদলসহ শাবির প্রগতিশীল ছত্ররা এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়াছে এবং এখনও প্রতিবাদ করে আসছে। আজকে (১৩ আগস্ট ২০১১) শাবির নতুন হল ও অডিটোরিয়াম উদ্ভোধন করতে এসে অর্থমন্ত্রী আবার বললেন সরকারের এই পরিকল্পনা অব্যাহত রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে যে সরকার বিশ্বব্যাংক আইএমএফ-এর প্রেসক্রিপশনে শিক্ষা খাতকে বেসরকারী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
কিন্তু এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে North South university মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন কাঠামো হবে এক ও অভিন্ন। এতে করে বাংলাদেশের মত অনুন্নত দেশে কতিপয় শিক্ষার্থী ছাড়া কেউ উচ্চতর শিক্ষার অধিকার পাবে না।
পিপিপি 'র চক্রান্ত শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়, শিক্ষা, চিকিৎসা খাতের মত অনুৎপাদনশীল সেবা খাত এবং নির্মাণ খাতেও তা বাস্তবায়নের চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। আজকে বিশ্ব পুজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী অর্থনীতি যখন মন্দায় নিমজ্জিত তখন বাংলাদেশের মত নয়া উপনিবেশিক দেশগুলোতে লগ্নি পুজি বিনিয়োগের নতুন খেত্র হিসেবে এসকল অনুৎপাদনশীল সেবা খাত এবং নির্মাণ খাতকে বেছে নেয়া হচ্ছে। তাই এসকল খাত থেকে মুনাফা সৃষ্টির সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দালাল সরকারগুলো উঠেপড়ে লেগেছে।
শাবিপ্রবিকে পিপিপি 'র মডেল করে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পদ্ধতি চালু করতে চাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
আজকে পিপিপি 'র ভয়াবহতা সম্পর্কে ছাত্রসমাজ ব্যপকভাবে আবগত নয়। সরকার এই সুজোগকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষাকে পণ্যে পরিনত করার নতুন ষড়যন্ত্র করছে। তাই এই গণমুখি বিজ্ঞানভিত্তিকশিক্ষাব্যবস্থা বিরোধী ও অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল শক্তির দৃঢ় অবস্থান এবং জোর প্রতিবাদ অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রয়োজন ছাত্র-গণআন্দোলনের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।