জ্ঞানের দৈন্য আমি পূরণ করি-অধ্যয়ন দিয়ে আর মেধার দৈন্য –অনুশীলন দিয়ে
আমি প্রবোধকে দেখেছি,
ভালবাসায় ক্ষয়ে যেতে-
দিনের পর দিন-
এক অমোঘ ভাবনায়।
অথচ আগের ব্যাচের রূপসীরাও
তার জন্য আত্নহারা ছিল।
কিন্তু তার তা দেখেও ছিলনা
বুঝার ফুরসত।
প্রবোধ ফুটন্ত পুস্পেও মৌমিতাকে দেখত।
অস্তায়মান সূর্যের লালিমায় রাঙ্গা মেঘেও
সে মৌমিতাকে খুঁজত।
কতবার বলেছি বিরক্ত হয়ে-
প্রবোধ, চল, আবার নতুন করে শুরু করি,
ঐ দেখ, মালতি দাঁড়িয়ে আছে,
শুধু তোরই জন্য-
দীর্ঘশ্বাস শেষে সেই পুরনো কথাই শুনতাম
সে তো মৌমিতা নয়।
এখনো আমার কানে সেই দীর্ঘশ্বাস বাজে,
দোস্ত, তুই বুঝবিনা-
যে চোরাবালিতে আমি হারিয়ে গেছি
তা থেকে উদ্ধারের কোন পথ নেই।
আমি তখন তাকে অবোধ বলতাম-
বলতাম- তোর নাম কে রেখেছে বল,
ইচ্ছে করে তার সাথে ঝগড়া করি।
আমিও এখন মৌমিতাকে খুঁজি,
শুধু একবারের জন্য-
শুধু একবার বলতে-
কেমন করে হারিয়ে গেছে, আমাদের প্রবোধ।
যে বলত, দোস্ত-
আমার সব ভালবাসা যে মৌমিতা
নিয়ে পালিয়ে গেল,
আর কাউকে কিভাবে ভালবাসি, বল।
জীবনে সে আর কাউকে ভালবাসেনি,
আর কাউকে ভাল লাগেনি তার।
তারপর একদিন,
নিঃশব্দে নীরবে
সে হারিয়ে গেছে না ফেরার দেশে।
আজকের ভালবাসাবাসি, মাখামাখি দেখলে
আমি ম্লানমুখে হেসে উঠি,
বারবার মনে পড়ে প্রবোধের কথা।
প্রবোধ থাকলে কী বলত,
আজকের ভালবাসার দিনে-
রেগেমেগে বলত-
রাখ- তোর ফালতু প্যাচাল,
সারা জীবনটাই যে ভালবেসে গেল,
তার আবার একদিনের ভালবাসা দিবস!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।