সৌদি আরবে বিদেশি শ্রমিকদের আকামা পরিবর্তনের সুযোগ আবারও উন্মুক্ত করা হলো। এর ফলে কয়েক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক উপকৃত হবেন। সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিকের পক্ষে তাদের পছন্দনীয় কাজ বেছে নেওয়া সম্ভব হবে। আর্থিক দিক থেকেও তারা লাভবান হবেন। গত পাঁচ বছর ধরে সৌদি আরবে আকামা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা ছিলেন বিপাকে। ২০১০ সালে সৌদি সরকারের একটি সিদ্ধান্ত প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তোলে। এ সিদ্ধান্তে প্রতিটি কারখানায় ২০ শতাংশ সৌদি নাগরিক রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়। যেসব প্রতিষ্ঠান এ শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয় তাদের লাল তালিকাভুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশির ভাগ লাল তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় তাদের জন্য আকামা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বাড়তি সমস্যার সৃষ্টি করে। ভিসা নবায়ন করতে না পারায় তাদের এক বড় অংশ অবৈধ হয়ে যায়। বিগত মহাজোট সরকারের আমলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আকামা পরিবর্তনের দেন-দরবার চালান এবং সৌদি কর্তৃপক্ষ তাতে রাজিও হয়। কিন্তু ইতোমধ্যে সৌদি আরবে অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের বৈধকরণের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের এক ক্ষুদ্র অংশ আকামা পরিবর্তনের সুযোগ পান। এবার বৈধকরণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আকামা পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা আশান্বিত। আশা করা হচ্ছে, এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে কয়েক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক লাভবান হবেন। স্বভাবতই বৃদ্ধি পাবে রেমিট্যান্স আয়। সৌদি সরকারের উদারীকরণ নীতির কারণে আশা করা হচ্ছে, সে দেশে জনশক্তি রপ্তানির প্রক্রিয়া আবারও শুরু করা যাবে। বর্তমানে সৌদিতে বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারপরই বাংলাদেশের অবস্থান। দেশের জনশক্তি রপ্তানিতে যে ভাটা শুরু হয়েছে, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সৃষ্ট অচলাবস্থা তার জন্য দায়ী। এ প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগের মাধ্যমে কীভাবে সৌদি আরবে আরও বেশি জনশক্তি রপ্তানি করা যায়, সেদিকে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ করা হবে এমনটিই কাম্য।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।