আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের তথ্য চুরির রহস্য প্রাথমিকভাবে উদঘাটিত হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ এ অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নয়ন আলীকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মী নয়ন আলী পেনড্রাইভে ট্রাইব্যুনালের কম্পিউটার থেকে রায় নিয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীর সহকারী মেহেদী হাসানকে দেয়। এরপরই রায় ইন্টারনেটে দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার আগেই রায়ের খসড়া ফাঁস করার অভিযোগে আইসিটি আইনে শাহবাগ থানায় ৫৪, ৫৭ ও ৬৩ ধারায় শুক্রবার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী, কর্মচারী ফারুক ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীর সহকারী মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। গ্রেফতার হওয়া নয়ন আলী দেড় বছর আগে ট্রাইব্যুনালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নিয়োগ পান। নয়ন আলী কম্পিউটার পরিচালনায়ও দক্ষ। গোয়েন্দা পুলিশের মতে, নয়ন আলী রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীর সহকারী মেহেদী হাসান তাকে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এ কাজ করতে বাধ্য করেন। রায় যখন কম্পিউটারে কম্পোজ করা হচ্ছিল তখন নয়ন আলী পেনড্রাইভের মাধ্যমে রায়ের তথ্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীর সহকারীকে দেন। ডিবির ধারণা, ওই সহকারী এটি বিদেশে পাঠিয়ে দেন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা ফাঁস করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় বিচারকরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার আগেই তা ইন্টারনেটে প্রচারিত হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। ট্রাইব্যুনালের বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করার জন্যই যে রায় ফাঁসের অপচেষ্টা চালানো হয় তা স্পষ্ট। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে উৎকোচের গুণে সাধারণত অদক্ষরাই প্রাধান্য পায়। কম্পিউটারে দক্ষ নয়ন আলীর পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে কাজ পাওয়া রীতিমতো রহস্যজনক। নয়ন আলীকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের হোতারা ট্রাইব্যুনালের চাকরিতে ঢুকিয়েছিল কি না তা তদন্ত হওয়া উচিত। ট্রাইব্যুনালে ফারুক ও নয়ন আলীদের মতো আর কোনো বিভীষণ থাকলে তাদেরও খুঁজে বের করা উচিত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।