দলবদল নিয়ে বিতর্ক যেন বার্সেলোনার পিছু ছাড়ছে না। কদিন আগে নেইমার বিতর্ক নিয়ে সে কি হইচই! এবার নেমে এল ফিফার খড়্গ। দলবদলে অনিয়ম করায় দুটো ট্রান্সফার উইন্ডোতে খেলোয়াড় কিনতে বা বেচতে পারবে না বার্সেলোনা। শুধু তা-ই নয়, বার্সাকে সাড়ে চার লাখ সুইস ফ্রাঁ (তিন কোটি ৯৫ লাখ টাকা) জরিমানা করেছে ফিফা। কাতালান ক্লাবটির অপরাধ, অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড়দের (অনূর্ধ্ব-১৮) আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার আইন লঙ্ঘন করা।
শুধু বার্সা নয়, জরিমানা গুনতে হয়েছে স্প্যানিশ ফেডারেশনকেও (আরএফইএফ)। একই অপরাধের কারণে স্প্যানিশ ফুটবলের অভিভাবককে গুনতে হয়েছে পাঁচ লাখ সুইস ফ্রাঁ (৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা) । ফিফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ক্লাবের সঙ্গে স্পেনের বাইরের অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড়ের নিবন্ধন ও দলবদলসংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়ম ভঙে আরইএফএফ এবং বার্সেলোনার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গ করেছে বার্সা। একই সঙ্গে অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি চুক্তির ক্ষেত্রেও নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।
’ অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড়দের সুরক্ষার ব্যাপারে ফিফা খুবই কঠোর। ফিফা, উয়েফা ও ইউরোপিয়ান কমিশনের মধ্যে ২০০১ সালে পাস হওয়া চুক্তির অন্যতম মূলনীতি অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড়দের সুরক্ষা।
ফিফার নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রাক-মৌসুম অর্থাত্ জুলাই-আগস্ট ও মধ্য-মৌসুম অর্থাত্ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দলবদলে কোনো খেলোয়াড় কিনতে বা বিক্রি করতে পারবে না বার্সা। বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই কপালের ভাঁজ ফেলেছে কাতালান ক্লাব কর্তৃপক্ষের। অনেক দিন ধরেই সেন্টার ডিফেন্ডার সমস্যায় ভুগছে বার্সা।
সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে রক্ষণভাগের দীর্ঘদিনের সেনানী পুয়োলের অবসর ঘোষণায়। চোটের কারণে পিকেও থাকতে পারছেন না নিয়মিত। রক্ষণভাগের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে বার্সার লক্ষ্য ছিল আগামী মৌসুমে নতুন খেলোয়াড় কেনা। কিন্তু এখন সব গড়বড় হয়ে গেল ফিফার নিষেধাজ্ঞায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই নেইমারের চুক্তি-বিতর্ক নিয়ে সরগরম ফুটবলবিশ্ব।
এর জের ধরে পদত্যাগ করতে হয়েছে বার্সা সভাপতি সান্দ্রো রোসেলকেও। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। সব মিলিয়ে মাঠের বাইরের সমস্যা ভালোই ভোগাচ্ছে ফুটবলের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় ক্লাবটিকে। রয়টার্স ও এএফপি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।