একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
রিটাকারী ইউনুস আলী আকন্দ জানান, এক মাসের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
এছাড়া গণমাধ্যমসহ সর্বত্র বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছে আদালত।
মন্ত্রিপরিষদ, আইন, স্বরাষ্ট্র ও সংস্থাপন সচিবকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
বাংলা ভাষা প্রচলন আইন হওয়ার পর ২৭ বছর কেটে গেলেও এর বাস্তবায়ন না হওয়ায় রোববার এই রিট করেন ইউনুস।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালের মার্চে পাস হওয়া ওই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য সব ক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহার করবে। নথি ও চিঠিপত্র, আইন আদালতের সওয়াল জবাব এবং অন্যান্য আইনানুগত কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখিতে হবে।
“উল্লেখিত কোন কর্মস্থলে যদি কোনো ব্যক্তি বাংলা ভাষা ব্যতীত অন্য কোনো ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন তাহা হইলে উহা বেআইনি ও অকার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে।
যদি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই আইন অমান্য করেন তাহা হইলে উক্ত কার্যের জন্য তিনি সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধির অধীনে অসদাচরণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে। ”
রিটে বলা হয়, আইন প্রণয়নের পর এতোদিন অতিবাহিত হলেও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা এই আইন ঢালাওভাবে অমান্য করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া করা হয়নি। এ জন্য আইনটি বাস্তবায়নে উচ্চ আদালতের আদেশ প্রয়োজন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।