আমাদের দেশের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ইদানিং দেশ বিদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এতটা আলোচনা সমালোচনা কিন্তু সরকারের শুরুতে হয়নি। যেমনটি ইদানিংকালে হচ্ছে। বিশেষ করে চলমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বেফাস বক্তব্যে আম জনতা থেকে শুরু করে কূটনৈতিক, বুদ্ধিজীবি এমনকি সর্বমহলে চুলচেড়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হচ্ছে। তবে সাধারেণ জনগন ভেবেছিল এবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে।
হয়তো দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার আমুল পরিবর্তন হবে। কিন্তু সাধারণ জনগণের আত্নশক্তির আর আত্নবিশ্বাস মহাজোট সরকার ৪ বছরেও পূরণ করতে পারেনি। অথচ আমরা লক্ষ্য করছি সরকার নিজেদের ভাবর্মূতি ধরে রাখার জন্য বরাবরই মিথ্যা আশ্বাস মিথ্যা ছলনা করে জনগনের মতামত ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
অন্য দিকে আমরা যদি চোখ বোচে তাকাই তাহলে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার ফলাফল বা বাস্তব চিত্র যে কোন দেশের নাগরিককেই বিচলিত করবে। কারণ এম.এল.এম কোম্পানীর নামে দেশে কি ঘটছে? ইউনিপেটু নামে একটি কোম্পানী দেশের জনগনের হাজার হাজার কোটি টাকা আতœসাৎ করে দেওলিয়া হয়ে যায় অথচ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রশাসনে কোন প্রকার জবাব দিহিতা নেই।
কিন্তু সরকারের চরম গাফলতির জন্য সাধারণ জনগনের আত্নহত্যার পথ বেচে নিতে হচ্ছে।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে এখন অপ্রত্যাশিত খরব কোন অবস্থাতেই আমরা আশা করতে পারি না। অপর দিকে আমরা যদি এম.এল.এম ব্যবসা ডেসটিনির দিকে চাই তাহলে সরকারের অনেক দূর্বলতার প্রতিচ্ছবি আমাদের চোখে ভেসে ওঠে। যেমন কি করে ডেসটিটিনির টাকা ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে গেল, যদি ওপরে সরকার ডেসটিনির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রচলিত আইনে বিচার করছে। কিন্তু সরকার কি একবার ভেবেছে যে, ডেসটিনির ৭২ লাখ গ্রাহকদের অবস্থা, হলমার্ক জালিয়াতি, শেয়ার বাজার ধ্বংস যোগাযোগ মন্ত্রীর পদত্যাগ, রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ ইত্যাদি নানান অজুহাতে ব্যাপক সমালোচনার মধ্য দিয়ে সরকার পার করল ৪ বছর।
জাতীয় নির্বাচনের এখন আর এক বছর বাকী।
সাধারণ জনগন ভাবছে সরকার চার বছরেও নির্বাচনী প্রতিশ্র“তির একটি ওয়াদাও পূরণ করতে পারেনি বাকী এক বছরের সরকার নিজেদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নেবে না উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করবে। এই নিয়ে সর্বস্তরের জনতার মধ্যে শোনা যায় কানাঘোষা। যতদিন যাচ্ছে ততই জাতীয় নির্বাচনী আমেজ জনসমুদ্রে বাড়ছে। আমরা লক্ষ্য করেছি জাতীয় নির্বাচনী কাজ দেশের উত্তর পূর্ব সীমান্ত অঞ্চল ৩৬০ আউলিয়ার স্মৃতিধন্য পূণ্যভূমি সিলেট থেকেই শুরু হয়।
ইতিমধ্যে বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। অন্য দিকে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বেফাস বক্তব্যে কোনঠাসায় পড়ছে সিলেট আওয়ামীলীগ। যদিও তিনি বিগত নির্বাচনে আলোকিত সিলেট গড়ার প্রতিশ্র“তি দিয়ে জনগনের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন কিন্তু পাশ করার আলোকিত সিলেট গড়ার কোন প্রকার নজির তিনি দেখাতে পারছেন বলে মনে হয় না কারণ সিলেটের জনগন ভাবছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী যা কাজ করছেন তা সিলেটের প্রয়াতনেতা এম সাইফুর রহমানের আমলেই বাজেট করা তিনি শুধু মোড়ক উম্মোচন করছেন।
বিশেষ করে ইতোমধ্যে সিলেটের একটি আঞ্চলিক দৈনিকের শিরোনামে একটি লিড সংবাদ। সংবাদটি এ রকম ছিল যে “নতুন মুখের সন্ধানে সিলেট বিএনপি” এইং সংবাদটি মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে।
অপর দিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের নানান বক্তব্যে আওয়ামীলীগ সিলেট-১ আসনে ইমেজ সংকটে পড়ছে। সর্বোপুরী আমরা যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সিলেট-১ আসনের পরিসংখ্যান করি তাহলে স্পষ্ট দেখা যায় ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী সাবেক সচিব শমসের মুবিন চৌধুরীর অবস্থান অনেকটা সৃদৃঢ়। এছাড়া সিলেটের জনগন আরও ভাবছে যে যদি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত দল ত্যাগ করেন তাহলে প্রার্থী সংকটে ভোগবেন আওয়ামীলীগ।
বিশেষ করে আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বেফাস বক্তব্যে দেশ বিদেশে সরকার পড়েছে দারুণ বেকায়দায়। মোটের উপর তত্বাবধায়ক প্রশ্নে সরকার এবং বিরোধী দল যখন হার্ডলাইনে তখন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে ইমেজ সংকটে পড়ছে সরকার।
সিলেটের জনগনের মাঝে এখন নানান প্রশ্ন কাজ করছে। সচেতনমহল ভাবছেন আব্দুল মাল আব্দুল মুহিত কি পারবেন সিলেটে-১ আসন ধরে রাখতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।