রোববার বার কাউন্সিলের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এই ঘোষণা দেন তিনি।
খন্দকার মাহবুব বলেন, “আমরা সরকারকে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, জাতীয় প্রেস ক্লাব, মানবাধিকার সংস্থাসহ একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং স্বল্প সময়ে কমিটির তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
“অন্যথায় বাংলাদেশ যেহেতু জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ, সে বিবেচনায় বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন করতে আমরা বাধ্য হবো।”
বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নেতা খন্দকার মাহবুব বলেন, “সরকার ‘প্রচ্ছন্নভাবে’ এই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করে বলেছে, এধরণের হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তাদের নিকট আসলে তারা তদন্ত করবেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম এবং নির্যাতন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিরোধী দলকে নির্মূল করতে সরকার ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে থেকে এখন পর্যন্ত হিংসাত্মক ও মানবতাবিরোধী কার্যক্রমে নিরব ভূমিকা পালন করছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে মাহবুব জানান, দেশে ২০০৯ সালে ২২৯ জন, ২০১০ সালে ১৩৩ জন, ২০১১ সালে ১০০ জন, ২০১২ সালে ৯১ জন, ২০১৩ সালে ৭১ জন, ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৪ জন বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।