ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মঙ্গলবার সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটণা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ ২১ জন নিহত হয়েছেন।
রাজধানী কিয়েভের স্বাধীনতা চত্বরে বিক্ষোভকারীদের প্রধান কেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাজি থেকে বড় ধরনের আগুন লাগার ঘটনাও ঘটেছে।
গত বছরের নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষর করায় ইউক্রেনে বিক্ষোভ শুরু হয়।
এরপর থেকে বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাজধানী কিয়েভের সিটি হল ও অন্যান্য সরকারি ভবনগুলো প্রায় দুই মাস ধরে দখল করে রাখে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচের ক্ষমতা সীমিত করতে বিরোধীদের প্রস্তাবিত এক সাংবিধানিক সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরকারদলীয় এমপিদের বিরোধিতার প্রতিবাদে নতুন করে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিরোধীরা সংস্কার পরিকল্পনাটি বিল আকারে ভোটাভুটির জন্য সংসদে উত্থাপনের দাবি করেছিলেন। কিন্তু সরকারদলীয় সাংসদরা এর বিরোধিতা করেন। বিক্ষোভকারীরা দেশটির পার্লামেন্ট ভবন দখলের উদ্দেশে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশি বাধার মুখে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ পার্লামেন্টের সামনে গাড়ির ব্যারিকেড দিয়ে রাখে।
রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর বিরুদ্ধে এ সংঘর্ষে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছে। অন্যদিকে ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে। সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা, রয়টার্স
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।