আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।
হঠাৎ করে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া এবং ইউরোপ+আমেরিকার মধ্যে একটা প্রচন্ড শিতল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। রাশিয়া তো আজকে হঠাৎ করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনিকে আত্মসমর্পনের হুমকি দিয়ে দিল। তবে মনে হচ্ছে এটা ইউক্রেনকে একটা চাপে ফালানোর কৌশল। কারন সামরিক দিক দিয়ে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেন , মস্ত শক্তিশালি হাতির সামনে একটা দুর্বল ভেরার মত।
যুদ্ধ করাটা ইউক্রেনের সাধ্যের মধ্যে নাই এটা সেদিনই আমি বুঝেছি যেদিন ক্রিমিয়াতে রাশিয়ান সেনাবাহিনি অনুপ্রবেশ করে। আর ইউক্রেইন এর সরকার কিয়েভে বসে বসে শুধ হায় হুতাশ করে।
সবাই বার বার একটা বিষয়ে কনসার্ন হচ্ছে আর সেটা হচ্ছে ক্রিমিয়া। টিভি চ্যানেল গুলার খবরে বার বার আসছে যে ক্রিমিয়া নিয়া এত সমস্যা। কিন্তু ক্রিমিয়া কোন সমস্যা না।
সমস্যা হচ্ছে ইউক্রেনের সরকার ব্যবস্থা। ইউক্রেন কখনোই কোন ইউক্রেনিয়ান সরকার দ্বারা পরিচালিত হয় নাই। কখনো এখানে একটা শক্ত ইইউ পন্থি অথবা কখনো শক্ত একটা মস্কো পন্থি সরকার ছিল। আর এদের একটাই কাজ ছিল আর সেটা হল তাদের প্রভুদের পা চাটা। বর্তমান সরকারের আগের সরকারটা ছিল একটা কট্টর মস্কো পন্থি সরকার।
তাদের প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত ছিল মস্কো থেকে আগত। ঠিক বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতির মত। আর এখনকার সরকারের সিদ্ধান্ত গুলো আসে সরাসরি ফ্রান্স অথবা ইইউ থেকে। পুরা দেশটা স্পস্ট দুইটা ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একটা রাশিয়া পন্থি আর একটা ইইউ পন্থি।
এটা কথনোই একটা দেশের জন্য ভাল ফল বয়ে আনে না। ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি এটার একটা বড় প্রমান। ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করার কোন শক্তি রাখে না। যুদ্ধ করতে হলে বর্তমান ক্ষমতাসিন সরকারের মিত্র ইউরোপ+আমেরিকাকে এগিয়ে আসতে হবে। তাতে রাশিয়ার মিত্র চীন আর ইরান সহ অন্যান্য দেশগুলোও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।
তাছারা রাশিয়া একাই যদি যুদ্ধে নামে একেবারে ম্যাসাকার ঘটিয়ে ফেলবে। কারন তাদের অস্ত্র সক্ষমতা।
তবে আশার কথা হচ্ছে আমেরিকা বা ইউরোপ এই মুহুর্তে একটা সামগ্রিক যুদ্ধের জন্য আর্থিক ভাবে একেবারেই প্রস্তুত না। এছারা রাশিয়া বিশ্বে অস্ত্র নির্মানের দিক দিয়ে অদ্বিতিয় একটা দেশ।
তাদের যুদ্ধ বিমান গুলার সমকক্ষের কোন বিমান এখনো ইউরোপ বা আমেরিকা তৈরি করতে পারে নাই।
এক মিগ২৯ এর ধাক্কা এখনো পশ্চিমারা সামলাইতে পারে নাই। তার পরে তো মিগ৩৫, সুখোই এর মত ভয়ানক সব জঙ্গিবিমান চলে আসছে। এস ৩০০ এর মত এন্টি এয়ার এন্ড মিসাইল সিস্টেম এখনো পশ্চিমাদের স্বপ্নের মধ্যে আছে। আমেরিকার হাতে যেটা আছে মানে আয়রন ডোম যেটা ইসরাইলের আছে সেটা হামাসের সামান্য ৭৫ কিমি: পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র ঠেকাইতে পারে না। আর এস৩০০ কে ফাকি দিয়া আমেরিকার লকহিড মার্টিন পালাইতে পারে না।
সিরিয়াতে বর্তমান পরিস্থিতি এটার বর প্রমান। একটা সিঙ্গেল যুদ্ধ বিমান ইসরাইল বা তুরস্ক সিরিয়াতে ঢুকাইতে পারতেছে না।
এছারা তাদের আছে প্রচুর ট্যাকটিক্যাল মিসাইল, প্রচুর ভারি ট্যাংক, অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ, ভয়ানক সব সাবমেরিন যা এখনো অদ্বিতিয়। আর একটা বিষয় হচ্ছে তাদের সেনাবাহিনির যুদ্ধ সক্ষমতা। আমেরিকার সৈন্যরা মাথার উপরে ৪-৫ টা স্যাটেলাই নিয়া যত দুর আগাইতে পারবে রাশিয়ান বাহিনি তাদের এই কন্টিনেন্টে তার চেয়ে অনেক বেশি আগাইতে পারবে।
কারন টেম্পরেচার একটা মারাত্মক ফ্যাক্ট এখানে। আর একটা কথা শুনা যাচ্ছিল যে , রাশিয়া তাদের বেশ কিছু নতুন ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্রের পরিক্ষা করার চেস্টা করছে। মনে হচ্ছে এটার মত ভাল ফিল্ড আর পাবে না তারা।
আর ইউরোপএর এই মুহুর্তে একটা যুদ্ধ বাধানোর কোন ইচ্ছাই নাই। থাকলে তারা এত রাজনৈতিক সমাধান এর উপায় খুজত না।
এমনিতে তাদের সদস্য দেশগুলো এখনো অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারে নাই। এখনো গ্রিসের মত অনেক দেশ ব্যায় কাটছাট করে চলতেছে। জার্মানি চলতেছে অস্ত্রবিক্রির উপর। ইংল্যান্ড চলতেছে ফাপর মাইরা আর ফ্রান্স চলতেছে আফ্রিকাতে ডাকাতি কইরা।
রাশিয়া কিন্তু কোন রাজনৈতিক সমাধান এর ধার ধারে নাই।
ডাইরেক্ট আর্মি ঢুকাইয়া দিছে। এটা একটা দেশের স্বাধিনতাকে ভেঙে তছনছ করে দেয়া এবং তাকে গায়ের জোরে দখল করার মত ঘটনা।
যাই হোক এবার আসি বাংলাদেশের কথায়। ইউক্রেনের মত একই অবস্থা বাংলাদেশে। যেই ক্ষমতায় আসে নিজেদের একক সিদ্ধান্তে দেশ চালাতে পারে না।
বর্তমান সরকার তো অতিতের সকল রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। কারন ক্রিকেটের মত স্থানেও পার্শ্ববর্তি দেশ থেকে স্বিদ্ধান্ত নিয়ে আসার প্রয়োজন হয় তাদের।
ইউক্রেনের তো বর্ডারে ইউরোপ আছে। আমাদের বর্ডারে কেউই নাই। আর আমাদের সেনাবাহিনি এই মুহুর্তে যে অবস্থা তাতে ইউক্রেনের অবস্থা হওয়াটা একেবারেই নিশ্চিৎ।
পার্শ্ববর্তি দেশের সেনাবহিনি রাশিয়ার স্টাইলে যে কোন ছুতায় যদি আমাদের দেশে ঢুকে পরে আমাদের বর্তমান সেনাবাহিনি দুই হাত তুলে সবার আগে স্যরেন্ডার করে ফেলবে। কারন যারা ইন্ডিয়ান আর্মিকে রেজিস্ট করবে সেই দেশপ্রেমিক সেনা সদ্যদের অনেক আগেই হত্যা করা হয়েছে আর যারা বেচে ছিল তাদের অবসর না হয় গুম করে ফেলা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা একটাই আর তা হল সাধারন মানুষ। তারা তাদের কমোডের হাগুর থেকে বেশি অপছন্দ করে পার্শ্ববর্তি দেশটাকে। তাই আমি আশা করতেই পারি আমরা আর একটা ইউক্রেইন হচ্ছি না।
আমরা পাকিস্তানের হাত থেকে জীবন দিয়ে দেশ স্বাধিন করেছি ভারতের কালো থাবা থেকে এই স্বাধিনতা অক্ষুন্ন রাখবো ইনশাআল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।