তা হলে বলঃ সেই মহান আল্লাহ্ যিনি আমাকে ও অন্যান্য সকল সৃষ্টি জীবকে তাঁর বিশেষ নে’য়ামতসমূহ দ্বারা লালন পালন করেন। তিনি আমার একমাত্র প্রভূ, তিনি ব্যতীত আমার অন্য কোন মা’বুদ নেই। এর সমর্থনে পবিত্র কুরআনের প্রমাণ হচ্ছেঃ
اَلْحَمْدُ لِلّهِ رَبِّ الْعالَمِيْنَ
আয়াতের অর্থঃ
“যাবতীয় প্রশংসা কেবল আল্লাহরই জন্য যিনি বিশ্ব চরাচরের পালনকর্তা। ” (সূরা আল- ফাতেহাঃ১)
আল্লাহ ছাড়া সব কিছুই হচ্ছে তাঁর সৃষ্ট বস্তু এবং আমিও সেই সৃষ্ট জগতের একটি অংশ মাত্র। আর যখন তুমি জিজ্ঞাসিত হবে, “তুমি কিসের মাধ্যমে তোমার প্রভুকে চিনেছ?”
তথন তুমি উত্তর দেবে, তাঁর নিদর্শন সমূহ ও তাঁর সৃষ্টিরাজির মাধ্যমে (আমি আমার প্রভুকে চিনেছি)।
তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে রয়েছে দিবা-রাত্রি, রবিশশী আর তাঁর সৃষ্ট বস্তু সমূহের মধ্যে রয়েছে সপ্ত আকাশ, সপ্ত যমীন এবং যা কিছু তাদের ভিতরে এবং যা কিছু এতদুভয়ের মধ্যস্থলে রয়েছে।
কুরআন থেকে প্রমাণ
وَمِنْ آياتِهِ الَّيْلُ وَالنَّهارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ لاَ تَسْجُدُوا لِلشَّمْسِ وَلاَ لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوْا لِلّه الّذِي خَلَقَهُنَّ إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ.
আয়াতের অর্থঃ
“আর (দেখ) তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে রয়েছে রাত্রি ও দিন, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সাজদাহ করবে না, চন্দ্রকেও নয়। বরং সাজদাহ করবে একমাত্র সেই আল্লাহকে যিনি ঐ সবকে সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করতে ইচ্ছুক হও। ”(সূরা আল-হা-মীম সাজদাহ্ঃ ৩৭)
আরও প্রমাণঃ
إِنَّ رَبَّكُمْ اللهُ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمَواتِ وَالْأَرْضَ فِيْ سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَواى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِى الَّيْلَ النَّهاَرَ يَطْلُبُهُ حَثِيْثًا وَّالشَّمْسَ وَالقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّراتٍ بِأَمْرِه أَلاَ لَهُ الخْلْقُ وَالْأْمْرُ تَبارَكَ اللهُ رَبُّ الْعالَمِيْنَ.
আয়াতের অর্থঃ
“নিশ্চয় তোমাদের প্রভু-প্রতিপালক হচ্ছেন সেই আল্লাহ যিনি আকাশ ও পৃথিবীকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন।
অতঃপর তিনি আরশের উপর আরুহন হয়েছেন। তিনি রজনীর দ্বারা দিবসকে সমাচ্ছন্ন করেন, যে মতে তার ত্বরিৎ গতিতে একে অন্যের অনুসরণ করে চলে। আর (সৃষ্টি করেছেন) সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজিকে স্বীয় নির্দেশের অনুগত রূপে (জেনে রাখো!) সৃষ্টি করার ও হুকুম প্রদানের মালিক মুখতার একমাত্র তিনিই। সর্বজগতের অধিস্বামী সেই আল্লাহ মহা পবিত্র। ”(সূরা আল-আ’রাফঃ ৫৪)
তিনি আমাদের একমাত্র প্রভু, তিনিই আমাদের উপাস্য।
এ প্রসংগে কুরআনের ঘোষণাঃ
يآيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ. الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الأَرْضَ فِراشاً وَّالسَّماءَ بنَِاءً وأنزلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فأخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمراَتِ رِزْقاً لَّكُمْ فَلاَ تَجْعلُوا لِلّه أنداَدً وَأنتُمْ تَعْلَمُون.
আয়াতের অর্থঃ
“হে মানব সমাজ! তোমরা দাসত্ব বরণ করবে (অর্থাৎ ইবাদত করে চলবে) সেই মহান প্রতিপালক-প্রভুর যিনি তোমাদেকে এবং তোমাদের পুর্ববর্তীদেরকেও সৃষ্টি করেছেন, তাহলে তোমরা সংযমশীল (ধর্মভীরু) হতে পারবে। যিনি তোমাদের জন্যে যমীনকে করেছেন শয্যা স্বরূপ, আস্মানকে ছাদ স্বরূপ। যিনি আকাশ হতে বৃষ্টি ধারা অবতীর্ণ করেন, অতপর এর দ্বারা উদ্গত করেন নানা প্রকার ফলশস্য তোমাদের উপ-জীবিকা হিসেবে। অতএব তোমরা কোন কিছুকেই আল্লাহর সমকক্ষ ও অংশীদার করোনা, অথচ তোমরা অবগত আছ। ”(সূরা আল-বাকারাঃ ২১-২২)
ইবনে কাসীর বলেছেন, “এ সমস্ত জিনিসের যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনিই ইবাদতের একমাত্র যোগ্য।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।