আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যমুনা ফিউচার পার্ক ভেঙে মসজিদ ফিরিয়ে দেওয়

একাত্তরের বর্ণচোরা সন্ত্রাসী, দোহারের কামারখোলা গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত নুরুল ইসলাম বাবুল স্বাধীনতার পর ডাকাতি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল টাকার মালিক হয়েছেন। এখন তিনি যমুনা গ্রুপের নামে সরাসরি পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী মদের মতো অভিশপ্ত ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছেন।

বাবুল মসজিদ ও কবরস্থান গুঁড়িয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক নির্মাণ করেছেন। অতি দ্রুত যমুনা ফিউচার পার্ক ভেঙে সরকারি উদ্যোগে দেশের সর্ববৃহৎ দৃষ্টিনন্দন 'যমুনা জামে মসজিদ' নির্মাণের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত ইসলামী জনতা সেন্ট্রাল কমিটি। সঙ্গে যমুনা গ্রুপের হারাম মদ-বিয়ারের ব্যবসা ও বাবুলের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল বেলা ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত ইসলামী জনতা সেন্ট্রাল কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হাসানুল কাদিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক ইসলামী জনতা অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইমদাদিয়া কল্যাণপুরের প্রিন্সিপাল, পীরে কামেল আল্লামা আবু তাহের জিহাদী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সমন্বয়কারী মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, বাংলাদেশ জাতীয় মুফতি বোর্ড ফাউন্ডেশনের মহাসচিব, সম্মিলিত ইসলামী জনতার সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শামসুল আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি শফিকুল ইসলাম, মাওলানা মীর হেলাল, মাওলানা আতিকুল্লাহ, মাওলানা ফাহিম ইমতিয়াজ, মাওলানা মোবারক হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসলামে মদ হারাম করা হলেও ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে যমুনা গ্রুপের মালিক বাবুল হান্টার, ক্রাউন ও উমর খৈয়াম নামে তিন ধরনের মদ-বিয়ারের উৎপাদন-বিপণনের ১৮টি শর্ত দিয়ে সরকারের কাছ থেকে সনদ পান। ওই বিয়ারে যেখানে শতকরা পাঁচ ভাগ অ্যালকোহল থাকার কথা সেখানে ১২ থেকে ২০ ভাগ অ্যালকোহল মেশানো হচ্ছে। সনদ বা লাইসেন্সের একটি শর্তও মানছে না যমুনা গ্রুপ। গ্রামের মুদি দোকানেও হান্টার সরবরাহ করা হচ্ছে। মদ এত সহজলভ্য হওয়ার কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে।

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারি উদ্যোগে 'যমুনা জামে মসজিদ' নির্মাণ করা না হলে ৫০ লাখ লোক নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক ভেঙে দেওয়া হবে। এরপর ওইখানে দেশের সর্ববৃহৎ 'যমুনা জামে মসজিদ' নির্মাণ করা হবে। মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, পীরে কামেল আল্লামা আবু তাহের জিহাদী বলেন, যুবসমাজ আজ নেশাগ্রস্ত। এ যুবসমাজকে নেশার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য অভিভাবক, সমাজ পরিচালনাকারী ও সরকারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তা না হলে জাতির ভবিষ্যৎ যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। মাওলানা আতিকুল্লাহ বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এ দেশেই মসজিদ ভেঙে দিয়ে যমুনার বাবুল মদ খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এটি বন্ধ করতে হবে। যমুনা ফিউচার পার্ক ভেঙে আবার মসজিদ নির্মাণ করতে হবে। এটা যদি আমরা না করতে পারি, তবে আমাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সমন্বয়কারী মাওলানা ফিরোজ আশরাফী বলেন, সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে, যমুনার বাবুলকে সরকার ১৮টি শর্তে মদের লাইসেন্স দেয়। লাইসেন্স নিয়ে বাবুল মুসলমানদের ইমান-আকিদা ধ্বংসের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ জন্য তিনি হান্টার, ক্রাউন ও উমর খৈয়াম নামে বিয়ার তৈরি ও বিক্রি করছেন।

এ ছাড়াও যমুনার মাদকমিশ্রিত স্পিরিট খেয়ে বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত ৬০০ লোক মারা গেছে। তাই দ্রুত যমুনার এসব অপচেষ্টা বন্ধ করে বাবুলকে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে; তা না হলে ৫০ লাখ লোক নিয়ে লংমার্চ করা হবে। সঙ্গে ইহুদিদের ম্যারিয়ট হোটেল যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধ করতে হবে। এদিকে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যমুনা গ্রুপের মালিক কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বাবুলের ফাঁসি দাবিতে সম্মিলিত ইসলামী জনতা লিফলেট বিতরণ করেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.