প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আর মাত্র ৫দিন বাকী। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনিত একক প্রার্থী আবুল হাসেম কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে ও রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক তরুন প্রজন্মের বলিষ্ঠ নেতা জাহিদ সরোয়ার্দ্দী বাপ্পী মটর সাইকেল প্রতীক এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। ইতিমধ্যে এই দুই প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারনায় জনগনের মনে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। বিএনপির দলীয় সিন্ধান্তের একক প্রার্থী হিসেবে নেতাকর্মীরা ভোটারদের বাড়ী বাড়ী ভোট প্রার্থনা করে বেড়াচ্ছেন। সেই সাথে তরুন প্রজন্মের নেতা জাহিদ সরোয়ার্দ্দী বাপ্পীও মাঠ-ঘাট, হাটবাজারসহ বাড়ী বাড়ী ভোটাদের কাছে গিয়ে দোয়া চেয়ে বেড়াচ্ছেন।
সেকারনে জনগনের কাছের মানুষ হিসেবে তার নির্বাচনে দল মত নির্বিশেষে ওয়ার্ডকর্মী, গ্রামকর্মী, ইউনিয়নকর্মীসহ সকল দলের অংশগ্রহনে বাপ্পী এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি সামান্য ভোটে হেরে গেলেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে চাকির পশার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে জয়লাভ করেন। এছাড়া রাজারহাটের মুকুটহীন সম্রাট ,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক জাতীয় ও গণ পরিষদ সদস্য,আওয়ামীলীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ,সংবিধান যাচাই কমিটির সদস্য, রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনামধন্য প্রধান শিক্ষক, এম আই ডিগ্রী কলেজের ফাউন্ডার সদস্য প্রয়াত আব্দুল¬াহ সোহরাওর্দীর কনিষ্ঠ পুত্র হওয়ায় উদীয়মান তরুন আওয়ামী নেতা জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পীর সুনাম সারা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। তিনি অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে বেশী পরিচিতি লাভ করেন। প্রার্থীদের এখন দম ফেলানোর সময় নেই।
প্রচার- প্রচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে নির্বাচনী এলাকা। অপরদিকে বিএনপির দলীয় একক প্রার্থী আবুল হাসেমের সুনামও কম নয়। তিনি একধারে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদে ৩০বছরের চেয়ারম্যান। তাছাড়া তিনি গত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মাত্র ৩৩৪ ভোটে হেরে যান। সব মিলে এ দু প্রার্থীর জনগনের গ্রহন যোগ্যতায় উপজেলার সর্বত্র ঝড় উঠে।
প্রতিদ্বন্ধী ৩ প্রার্থীরাও বসে নেই। তারাও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারা এখন মহা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রচারাভিযানে। তবে যত প্রচার-প্রচারনা চালানো হোক না কেন তাদের যোগ্য প্রার্থীকেই নির্বাচিত করতে ভোটাররা কখনো ভূল করবেন না। ভোটাররা এখন যোগ-বিয়োগ করছেন।
তৃনমূল পর্যায়ে অনেকটা রব উঠেছে প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে। বিএনপির প্রার্থী আবুল হাসেমের সাথে এই তরুন নেতার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথা ভাবছেন ভোটাররা। এ দু’জনের মধ্যে জয়- পরাজয়ের যুদ্ধ হবে বলে চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে সবখানে গুঞ্জন উঠছে। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, রাজারহাট উপজেলায় ১লাখ ২৬হাজার ৪শ জন ভোটারের বিপরীতে প্রার্থী ৫জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮টি।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। #
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।