প্রথম পর্বের পর......
হেলসিঙ্কিতে পৌঁছে দেখি আমার জন্য সেখানে খানিক বিস্ময় অপেক্ষা করছিল। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় বেশ কিছুদিন বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করিনি, তাই আমার অজান্তে নরওয়ে নিয়ে তাদের কি পরিকল্পনা ছিল কিছুই জানতাম না।
ফয়সালদের বাসায় গিয়ে দেখি নরওয়ে যাবার প্রস্তুতি স্বরূপ গাদা খানেক খাবার কেনা এবং বানান হয়েছে। যেহেতু আমাদের ভ্রমন পরিকল্পনায় এমন যে সব সময় রাস্তার উপর থাকতে হবে তাই সাথে কিছু খাবার নেবার চিন্তা করে টুকটাক খাবার কিনতে আর বানাতে গিয়ে বিশাল খাবারের লটবহর! আর তাছাড়া খাবার সাথে করে নিলে কিছুটা মূল্য সাশ্রয়ীও হবে।
কি ছিলনা সেই খাবারের মধ্যে- ব্রেড, কলা, বিস্কুট থেকে শুরু করে টিকিয়া, পুরি, নুডলস মোট কথায় নষ্ট হবেনা এমন সব খাবারই সেখানে ছিল।
মজার ব্যপার হল আমাদের ব্যাকপ্যাকের সাইজ যা ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল খাবারের পরিমান। আমি শুরুতেই ভেটো দিলাম খাবারের ব্যপারে কিন্তু বাকি তিনজনের ইচ্ছার কাছে আমার দোনোমনো ভাব পাত্তা পেলনা।
খাবারের ছয় ভাগের একভাগ ঢুকাবার আগেই ব্যাকপ্যাক বোঝায় হয়ে গেল। কিন্তু বাকি তিনজন একটা খাবারও ফেলে যেতে রাজি নয়। কি আর করা,অবশেষে আমরা আলাদা দুইটা কার্টন ভর্তি খাবার বোঝায় করলাম।
ফয়সাল আর মৌ যাবে ফিন এয়ারে, ওদের মেইন লাগেজ পাবে, তাই ওদের উপরেই দায়িত্ব থাকল দুই কার্টন খাবার নেবার।
পরদিন খুব সকালে যাত্রা হল শুরু। ফয়সালদের বাসা ছিল এয়ারপোর্টের খুব কাছে, তাই বের হচ্ছি বের হব করতে করতে আমরা শুরুতেই দেরি করে ফেললাম। আমাদের ফ্লাইট ছিল আগে তাই ফয়সালদের মেইন লাগেজ ড্রপের লম্বা এক লাইনে ফেলে আমরা দুইজন প্রায় দৌড়াতে দৌড়াতেই ফ্লাইটে উঠে বসলাম।
মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই অসলো পৌঁছে গেলাম।
এবার ফয়সালদের জন্য অপেক্ষার পালা। আমরা পৌঁছানর প্রায় ৪৫ মিনিট পরে ফয়সালরা এসে পৌঁছাল। নরওয়ে জার্নি নিয়ে সবাই খুব উত্তেজিত ছিলাম তাই ভেবেছিলাম ওদের হাসি মুখ দেখতে পাব। কিন্তু দেখি ওদের মুখ কালো হয়ে আছে।
আসল ঘটনা হল আমরা একে’ত দেরি করে এয়ারপোর্টে পৌঁছেছি তার উপরে খাবারের প্যাকেট দিতে হয়েছে মেইন লাগেজে যেখানে কিনা বিশাল লম্বা লাইন।
ওরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও লাগেজ ড্রপ করতে পারেনি। অবশেষে ফিনএয়ারের এক কর্মচারীর হস্তক্ষেপে ওদের কাছে লাগেজ ফেলে দিয়ে ওরা ফ্লাইটে উঠেছে। যে দায়িত্ব নিয়েছে সে নাকি বলেছে লাগেজ পৌঁছাতেও পারে আবার নাও পৌঁছাতে পারে।
আমি তো লাগেজ নেবার বিপক্ষে ছিলাম তাই আমার তেমন কিছু মনে হয়নি, উল্টা অনুভুতিটা এমন ছিল যাক বাবা বাঁচলাম । কিন্তু বাকি তিনজন পাংশু মুখে লাগেজের অপেক্ষা করছিল।
হেলসিঙ্কি থেকে আসা ফিনএয়ারের ফ্লাইটে একের পর এক লাগেজ আসতে থাকল বেল্ট ধরে শুধু আমাদের লাগেজ কোথাও নাই।
শেষমেষ আশা ছেড়ে দিয়ে ভাবলাম এবার এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে মূল শহরের দিকে রউনা দেই। তখন হঠাৎ দেখি দূরে অন্য কোন বেল্টে আমাদের সেই ঢাউস খাবারের দুই প্যাকেট পড়ে রয়েছে।
এয়ারপোর্ট থেকে সেন্ট্রাল ষ্টেশন পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট আগেই কাটা ছিল, তাই আমরাও লাগেজ ফিরে পাবার আনান্দে খুশি মনে ঝটফট কার্টন থেকে খাবারগুলো আগে থেকে আনা ব্যাগে প্যাক করে নিলাম।
সত্যিকার অর্থে এইবার আমাদের নরওয়ে ভ্রমন যাত্রা শুরু হল।
এয়ারপোর্ট থেকে এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস ট্রেনে করে অসলো সেন্ট্রাল ষ্টেশনে এসে নামলাম। স্টেশনের লকার রুমে সব ব্যাগ রেখে শুধু একটা ব্যাকপ্যাক আর ক্যামেরা কাঁধে করে আমরা বেরিয়ে পড়লাম শহর ঘোরার উদ্দেশে। প্রথমেই যেটা মনে হল সেই মধ্য গ্রীষ্মেও অসলো বেশ ঠাণ্ডা ছিল। আকাশে মেঘের ঘনঘটা। আমরা বের হবার কিছুক্ষনের মধ্যেই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল।
বৃষ্টি থামতে আমরা পায়ে হেঁটেই সিটি সেন্টারের আশে পাশে ঘুরতে লাগলাম। জিনিষপত্রের দাম সম্পর্কে ধারনা নিতে কিছু দোকানে ঢুঁ মারলাম, যে দাম দেখলাম তাতেই আমাদের চক্ষু চড়কগাছ।
এখানে একটা কথা না বললেই নয় নরওয়ের একটা ব্যপার খুব চমৎকার সেটা হল সকল জায়গায় ইংলিশের ব্যবহার। যে কোন সাইন বা যে কোন কিছু নরওয়েজিয়ান ভাষার পরেই ইংলিশে লেখা, তাই কোনকিছু বুঝতে তেমন কোন কষ্ট হয়নি। ফিনল্যান্ডে কিন্তু এই বিষয়টা খুব কম দেখা যায়।
ষ্টেশন থেকে বের হয়েই চোখে পড়ে সিটি সেন্টারের একাংশ
[img=350x550]
[/img]
কোন এক রাস্তায়
[img=350x550]
[/img]
অসলো আমার কেমন লেগেছে? সত্যি বলতে কি অসলো বেড়িয়ে বা অসলো ফিয়র্ড দেখে আমার আলাদা তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হয়নি। হেলসিঙ্কি বা স্টকহোমও দেখতে খানিকটা এরকম। হেলসিঙ্কি হারবার থেকে সুওমেনলিন্না দ্বীপে যেতেও অনেকটা এমনি লাগে যেমনটা লেগেছিল ফিয়র্ডে বোটে করে অসলো চারিপাশ ঘুরতে। আসলে নরওয়ে আর তার পৃথিবী বিখ্যাত ফিয়র্ডগুলোর আসল সৌন্দর্য আমি টের পেয়েছি স্টাভাঙ্গার আর বারগেন গিয়ে। তবুও সব মিলিয়ে ক্ষণিকের এই ভ্রমনে অসলো বেশ ভালোই লেগেছে।
যা বলছিলাম, আমাদের ঘোরাফেরা শুরু হল সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে। স্টাভাঙ্গারের ট্রেন ছাড়বে সেই রাত ১১ টায়। আর যেহুতু মধ্য সামারের মধ্যে গিয়েছি তাই রাত নামার কোন সম্ভবনায় নাই। তাই মোটামটি স্টাভাঙ্গারের ট্রেনে উঠার আগ দিয়ে সারাদিনই এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ালাম। প্রথমেই ষ্টেশন থেকে বের হয়ে ইনফোতে গেলাম সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে পায়ে হেঁটে এদিক সেদিক ঘুরছিলাম।
আমাদের ইচ্ছে ছিল অসলো ফিয়র্ডে ঘুরে বেড়ান ছাড়াও বেশ কিছু মিউজিয়াম দেখা কিন্তু সেদিন প্রায় অনেক সময় ধরেই বেশ বৃষ্টি থাকায় পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। সেদিন ছিল মিড সামার ইভ, রাস্তায় বেশ কম মানুষ ছিল। এদিক সেদিক ঘুরে দেখছিলাম, কোথাও ফুলের পসরা বসেছে আবার মানুষ ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরাও মানুষের মাঝে চারিদিক দেখতে দেখতে ন্যশনাল থিয়েটারের পাশ ঘুরে চললাম ন্যাশনাল গ্যালারির উদ্দেশে।
রুপকথার কোন চরিত্র?
[img=350x550]
[/img]
সেন্টারের রাস্তাজুড়ে অস্থায়ী খাবারের দোকান, পানাহার চলছে
[img=350x550]
[/img]
রাস্তার ধারে পার্কে আমারই মত কোন পর্যটকের ছবি।
পোজটা এত মজার ছিল ছবি না তুলে থাকতে পারিনি। :)
[img=350x550]
[/img]
পার্কের মধ্যে গানের আসর বসেছে। এমন দৃশ্য অবশ্য ফিনল্যান্ডেও সামারে এখানে সেখানে দেখা মেলে।
[img=350x550]
[/img]
ন্যাশনাল থিয়েটার
[img=350x550]
[/img]
১৮৪২ সালে তৈরি এই ন্যাশনাল গ্যালারিটি অসলোর রয়্যাল প্লেসে অবস্থিত। সব মিলিয়ে দারুন একটা সংগ্রহশালা বলতেই হবে।
গ্যালারি ভর্তি ছিল বিভিন্ন বিখ্যাত শিল্পীদের স্কাল্পচার, আর বিখ্যাত সব পেইন্টিং দিয়ে।
আমার দুর্ভাগ্য মিউজিয়ামে ঢোকার অল্প সময়ের মধ্যেই ক্যামেরা অফ হয়ে গেল ব্যাটারি শেষের কারনে। তাই মিউজিয়ামের খুব বেশি ছবি তুলতে পারিনি, শুধু দুচোখ ভরে দেখেছি। টুকটাক যে ছবি তুলেছিলাম তাই দেবার চেষ্টা করি।
নিচের ছবিতে যে ভদ্রলোকের মাথার স্কাল্পচার দেখা যাচ্ছে উনি হলেন আরনেস্টেইন রুনিং আরনেবার্গ, উনার সময়কার( ১৮৮২-১৯৬১)নরওয়েয় বিখ্যাত আর্কিটেক্ট।
অসলো সিটি হল, ভাইকিং মিউজিয়ামসহ অনেক বিখ্যাত জায়গার স্থপতি ছিলেন তিনি।
[img=350x550]
[/img]
দেয়ালজুড়ে আঁকা চিত্রকর্মের একাংশ যেখানে মানুষের জীবনযাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
[img=350x550]
[/img]
অদ্ভুত নকশা আর তার সাথে ঝুলিয়ে রাখা আলো। কেন জানি কম্পোজিশানটা পছন্দ হয়েছিল।
[img=350x550]
[/img]
স্পেয়ার ব্যাটারি রাখা ছিল লাগেজের মধ্যে।
তাই আবার মিউজিয়াম ঘুরে ষ্টেশনে লকার রুমে যেতে হল।
সেখান থেকে ক্যাথেড্রালের সামনে গেলাম। সেখানে কোন গানের ফেস্টিভ্যাল চলছিল, দুর থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন গান শুনলাম।
এবার ভাবলাম ফিয়র্ডে কিছুক্ষন ঘুরে বেড়ান যাক।
অসলোতে বোটে করে ঘুরার জন্য আসলে নানা রকম অফার আছে যেমন- কোনটা সারাদিনব্যাপি অনেক দূরে কোথাও নিয়ে যাবে তো কোনটা আশেপাশেই সাইট সিয়িং করাবে।
সব ভেবেচিন্তে আমরা শহরের চারিপাশ ঘুরবো ঠিক করলাম। বোটসার্ভিস সাইট সিয়িং ২ ঘণ্টা ব্যাপি ফিয়র্ড সাইট সিয়িং নিলাম ঘোরার জন্য। এটা ছিল হপ অন হপ অফ তার মানে হল এটা যে যে স্টপে থামবে তার যে কোনটায় নেমে পড়ে আশেপাশে ঘুরে ফিরে এসে নেক্সট ঐ কোম্পানির অন্য যে কোন ক্রুজে উঠে যেতে পারি। টিকেটের ভালিডিটি হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা। ইচ্ছে ছিল প্রতি স্টপে নেমে চারিপাশ ঘুরে দেখে দর্শনীয় জায়গাগুলো দেখব।
কিন্তু ফিয়র্ড দিয়ে ক্রুজ ছাড়ার অল্পক্ষন পরেই শুরু হল প্রচণ্ড বৃষ্টি। কি আর করা, ভেবেছিলাম সূর্যের আলোতে ফিয়র্ডের মন ভুলান সৌন্দর্যের ছবি তুলব, তা আর হলনা, আমরা বৃষ্টির মাঝে বসে ক্রুজে করেই বার দুয়েক ফিয়র্ড ঘুরে ফেললাম। এই বৃষ্টি ধরে আসে তো এই আবার নামে। হালকা জ্যাকেট নিয়ে ক্রুজে উঠেছিলাম। বৃষ্টির ছাটে অনেকখানি ভিজে গিয়ে বেশ খারাপ অবস্থা হল, শীতে কাঁপাকাঁপি শুরু হল।
ক্রুজে ঘুরতে ঘুরতেই বিকাল হয়ে গেল। আমরা অবশেষে অপেরা হাউসের ঘাটে নামলাম।
আমাদের ছোট্ট নাও, যার কোলে বসে ঘণ্টা চারেক ফিয়র্ডের বুকে ঘুরে বেড়িয়েছি।
[img=350x550]
[/img]
নিচে ফিয়র্ডে মাঝখান দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে আশে পাশের কিছু দৃশ্যর ছবি দিলাম। আকাশ ভর্তি মেঘ থাকায় ফিয়র্ডের আসল সৌন্দর্যের কিছুই আসেনি ছবিতে।
দৃশ্য - ১
[img=350x550]
[/img]
দৃশ্য - ২
[img=350x550]
[/img]
দৃশ্য - ৩
[img=350x550]
[/img]
দৃশ্য - ৪
[img=350x550]
[/img]
দৃশ্য - ৫(এই ছবিতে সামনে যে কাঠামোটি দেখা যাচ্ছে অপেরা ভবনের ছাদ থেকে অনেকক্ষণ দেখেছি এবং বারবার আমার মনে হয়েছে এই কাঠামোটি খুব সুক্ষভাবে স্থান পরিবর্তন করে। এটি কি কাজে লাগে শুধুই সৌন্দর্য বৃদ্ধি নাকি অন্য কিছু সঠিক জানিনা, আবার আসলেই স্থান পরিবর্তন করে নাকি আমার চোখের ভুল তা জানিনা। )
[img=350x550]
[/img]
দৃশ্য - ৬( দুর থেকে অপেরা হাউস)
অপেরা হাউস নরওয়ের খুব সুন্দর একটা আকর্ষণ। অসলো ফিয়র্ডের মাথার কাছে অবস্থিত এই ভবনটি মুলত বানানোই হয়েছে অপেরা এবং ব্যালে ড্যান্সের জন্য। ভিতরটা খুব কারুকার্যময় আর চমৎকার করে সাজান।
সবচেয়ে মজার এবং ভালো ব্যাপার হল ভিতরে ঢুকতে কোন টাকা লাগেনা এবং এর ছাদে যাওয়া যায়। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে আমরা অপেরা হাউসের ভিতরে ফিয়র্ডের ধারে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসলাম। অল্প কিছু খাবার অর্ডার দিয়ে ফিয়র্ডের পাশে বসে পানির দিকে তাকিয়ে তারিয়ে তারিয়ে সন্ধ্যাটা উপভোগ করছিলাম। সত্যি বলতে কি সেদিন পড়ন্ত বিকেল, সন্ধ্যা থেকে কিছুটা রাত পর্যন্ত অদ্ভুত সময় কেটেছে অপেরা হাউসের ছাদে বসে। বৃষ্টি তখন থেমে গেছে কিন্তু বাতাস আছে, আকাশে মেঘের ঘনঘটা, মধ্য সামার তাই অন্ধকার নামছেনা কিন্তু মেঘের কারনে সব ঘোলাটে তার মাঝে বিভিন্ন মানুষের ভিড়।
কেউবা চুপটি করে মগ্ন হয়ে বই পড়ছে।
কেউবা ছাদে দাঁড়িয়ে অপলক বাইরে তাকিয়ে আছে।
কেউ কেউ ছাদে শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখছে। সব মিলিয়ে অদ্ভুত ভাল লাগছিল। আমার সেদিনের সন্ধ্যাটা এত বেশি ভাল লেগেছিল নিশ্চিত জানি এই সন্ধ্যাটার কথা মন থেকে কখনই মুছে যাবেনা।
সত্যি কথা বলতে অসলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে অপেরা ভবনের ছাদটি। অবশ্য এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
অপেরা হাউসের ছাদের একাংশ :
সন্ধ্যা একটু গাঢ় হলে অপেরা ভবনের ছাদের একাংশ :
ছাদ থেকে দেখা শহরের কিছু অংশ:
সন্ধ্যার আলো- আঁধারে অসলো
অবশেষে রাত ৯.৩০ নাগাদ আমরা আবার ষ্টেশনে ফিরে চললাম। অপেরা হাউস থেকে ষ্টেশন খুব কাছে, পায়ে হেঁটে মিনিট দশেকের পথ হবে। ষ্টেশনে পৌঁছে রাতের খাবার খেয়ে নিয়ে নতুন করে অপেক্ষা।
এবার অপেক্ষা স্টাভাঙ্গারের জন্য যার দেখা মিলবে পরেরদিন ভোর ৫.৩০ নাগাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।