আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হানাহানি নয়, প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের

বেশ কিছুদিন আগে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা 'এক এবং কয়েকজন' নামক উপন্যাসটি পড়েছিলাম। সেখানে এক জায়গায় লেখা আছে_ "কোন কারণে একটা সিংহ যখন অপর একটি সিংহকে আক্রমণ করে তখন সে তার পায়ের থাবার নখগুলো গুটিয়ে রাখে আর একজন মানুষ যখন অন্য একজন মানুষকে আক্রমণ করে তখন তার সমস্ত শক্তি-সামর্থ্য ও ক্ষমতা প্রয়োগ করে আক্রমণ করে। " স্বভাব ও প্রবৃত্তির তুলনামূলক বিচারে মানুষ ও পশুর আচরণের মধ্যে কতটা পার্থক্য হতে পারে সে কথা বুঝাতেই লেখক বোধহয় উলি্লখিত উদ্ধৃতিটি প্রসঙ্গক্রমে আনার প্রয়াস পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় বর্তমান অবস্থা বহুলাংশে উক্ত কথাগুলোর সঙ্গে যে কতটা সাযুজ্যপূর্ণতা কার্যত গত কয়েক মাসের সংঘটিত ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়। পত্রিকার পাতা খুললেই এমন সব ঘটনা চোখের সামনে প্রতিভাত হয় তাতে রীতিমতো অাঁতকে উঠতে হয়।

এক রাতে বিএনপি নেতাসহ সাতজন নিখোঁজ। প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে আড়াই মাস আগে তাদের উঠিয়ে নেওয়া হয়। পরিবার থেকে বলা হচ্ছে এরপর থেকে তাদের আর সন্ধান মেলেনি। ছাত্রদল কেন ছাত্রলীগ বা অন্য সংগঠনের ছাত্রদের ক্ষেত্রে এহেন ঘটনা ঘটলে তাও ভাবান্তর না হয়ে উপায় ছিল না। তাই প্রশ্ন জাগে এ কোন অভাগা দেশে আমরা বসবাস করছি।

অধিকন্তু বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে বিদেশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সাময়িকী যেমন নিউইয়র্ক টাইমস, লন্ডনের ইকোনমিস্ট, জাপানের ডিপ্লোমেট, ভারতের হিন্দুস, ইউরেশিয়া রিভিউ ইত্যাদিতে যে ধরনের খবরাখবর প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হচ্ছে_ অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান না হলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতা চলতে থাকবে। ৫ জানুয়ারির বিরোধী দল ও ভোটারবিহীন নির্বাচনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসন নিয়ে আওয়ামী লীগ সহজ জয় পেয়েও স্বস্তিতে নেই। নিরপেক্ষ ও নিরাসক্ত মন নিয়ে বিশ্লেষণ করলে এ কথা বলতেই হয় যে, কোনো মানদণ্ডেই ওই নির্বাচন গৌরবের নয়, সম্মানের নয়।

সরকার গঠন নিয়ে সমস্যা না থাকলেও নৈতিক দিক থেকে প্রশ্ন রয়েই গেছে। বিরোধী জোট থেকে এ সরকারকে অবৈধ বলা হচ্ছে।

অতঃপর সব দলের অংশগ্রহণে উপজেলা নির্বাচন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, গুলি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, অনিয়ম, কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদান এবং ক্ষেত্র বিশেষ বিরোধী জোটের প্রার্থীদের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্যায়ে ৯৭টি উপজেলায় নির্বাচন শেষ হয়েছে। ফলাফল অনুযায়ী ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও বস্তুত ১৬টি উপজেলার ৬৫ কেন্দ্রে অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। কারও কারও মতে, ভোটকেন্দ্রভিত্তিক অনিয়মের সংখ্যা আরও অধিক হবে। এ কারণে নির্বাচনের পর স্থানীয়ভাবে বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে কয়েকটি উপজেলায় হরতাল পালন করা হয়েছে।

সুজনের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এ নির্বাচন কোথাও গ্রহণযোগ্য আবার কোথাও অগ্রহণযোগ্য হয়েছে। তার মতে দলীয় প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এমনকি আমাদের দেশে জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষও সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল তাও প্রায় ক্ষীণ বলে মনে করেন সুশীল সমাজের এই নাগরিক। অন্যদিকে প্রথম পর্বের নির্বাচন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ভোট কারচুপির অনেক চেষ্টা করেও ভরাডুবি ঠেকাতে পারেনি আওয়ামী লীগ। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৯৫ শতাংশ উপজেলায় জয়ী হতো বিএনপি ও জোট প্রার্থীরা।

সব কিছু মিলিয়ে বলা যায় যে, বিরোধী দল বা জোটের নেতাকর্মীদের প্রতি সরকারের অনমনীয় নীতি, হামলা-মামলা, গ্রেফতার এবং যৌথ বাহিনীর অভিযান সত্ত্বেও এ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের মানুষ সাড়া দিয়েছে। তাই পরবর্তী নির্বাচনগুলো আরও কিভাবে শান্তিপূর্ণ করা যায় এবং ফলাফল নিজের ঘরে আনা যায় সে বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ করা প্রয়োজন বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের। কেননা জোটের মধ্যে সমন্বয় না থাকায়ও একের অধিক প্রার্থী থাকায় বেশ কয়েক জায়গায় হেরে গেছে উভয় বড় দলের জাঁদরেল প্রার্থীরা। তবে ফলাফল যাই হোক নির্বাচন কমিশনের উচিত সব স্থানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা।

নানা কারণে নির্বাচন কমিশনের অনেক বদনাম ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে।

এ কথা মনে রাখা দরকার পদ-পদবি ক্ষমতা সর্বদা এক জায়গায় বা এক স্থানে থেমে থাকে না। সময়ের পথপরিক্রমায় এটাও ক্রমাগত পরিবর্তন হয়, তাই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিজস্ব যুক্তি ও নিরপেক্ষতা অবলম্বনের মাধ্যমে বিবেকবোধকে কাজে লাগানো প্রয়োজন, তা না হলে বুমেরাং হয়ে হয়তো একদিন তা নিজের দিকে ফিরে আসতে পারে। অন্তত সমাজ ও রাজ্যের নীতি-নির্ধারণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে ইতিহাস সেই শিক্ষাই দেয়। অধিকাংশ মানুষের মতামতকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তেমনি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে ঊধের্্ব ওঠে ন্যায়সঙ্গত সমষ্টির স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া সবার কর্তব্য। সেক্ষেত্রে এ ধরনের দায়িত্বশীল ও ক্ষমতাবান প্রত্যেক ব্যক্তির রাতেরবেলা ঘুমানোর আগে চিন্তা করা উচিত, সারা দিন ধরে যে কাজগুলো করা হয়েছে সেটা কি সমাজ-রাষ্ট্র ও মানুষের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য আদৌ করা হয়েছে কি? নাকি তা ছিল নিছক ব্যক্তিস্বার্থে অথবা কায়েমী গোষ্ঠীর স্বার্থে কোনো এক প্রভুর মন তুষ্ট করার জন্য।

কারণ ন্যাচারাল জাস্টিস বলে একটা কথা আছে এবং আমরা কিন্তু কেউ এই জাস্টিসের ঊধের্্ব নই। আপন স্বার্থে বিভোর, চিন্তা-চেতনাহীন কেদাক্ত জীব মাছিসদৃশ জীবনে যেন আমরা অভ্যস্ত হয়ে না পড়ি। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে, কোনো দিক না তাকিয়ে আপন বাঁচার রসদ জোগাতে মাছির কর্মের মতো রীতিনীতি অবলম্বন বা অনুসরণ দায়িত্বশীল ও অশেষ ক্ষমতাবান, আমলা, রাজনীতিবিদরা না করি। সব পশুপাখি ও ইতর জীবের জীবনাকাঙ্ক্ষা 'আপনি বাঁচে' সেখানে দেশ গঠনের মহান কর্তাব্যক্তি তথা রাজনীতিবিদ, আমলা, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবীদের কর্তব্য হলো গণতন্ত্রের বর্তমান বিপর্যস্ত মূল্যবোধকে সরিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব মানুষকে সুন্দরভাবে বাঁচানোর উদার মনোভঙ্গি গ্রহণ করা।

এ কথা সর্বজনবিদিত যে, দেশ ইলেকট্রোরাল ডেমোক্র্যাসি থেকে ইলেকট্রোরাল অটোক্র্যাসিতে চলে যাচ্ছে।

আর এর পরবর্তী রূপ ফ্যাসিবাদের নামান্তর। সংসদীয় গণতন্ত্রের নর্মস অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত বিরোধী দল না থাকলে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ হয়ে পড়ে। আর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিরঙ্কুশ স্বেচ্ছাচারের জন্ম দেয়। ফলে দেশব্যাপী নির্বিঘ্নে যে বিচারবহিভর্ূত হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন শুরু হয়েছে সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে মানবাধিকার সংগঠন ও সর্বোপরি রাজনৈতিক মহল থেকে যে তীব্র প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন তা হচ্ছে না। যদিও কিছু দিন আগে সাবেক বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক এক সেমিনারে বলেছেন, দেশ সংবিধান ও গণতন্ত্র থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে।

এ ধরনের বক্তব্য আরও জোরালোভাবে আসা প্রয়োজন। তেমনি রাজনীতিবিদদের সবার এই ধারণা পোষণ করা দরকার 'তিনি অধম বলিয়া আমি উত্তম হইবো না কেন। ' ভেবে দেখুন সময় বসে নেই। ইতোমধ্যে অনেক জল গড়িয়ে গেছে কিন্তু আমরা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উপকরণসমৃদ্ধ গোড়াপত্তন এখন অব্দি করতে পরিনি। আমরা সুশাসন-আইনের কথা বলি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলি, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কথা বলি, দলনিরপেক্ষ প্রশাসনের কথা বলি, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলি; কিন্তু কার্যত এগুলো প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত করার কোনো আন্তরিক উদ্যোগ কখনো, আমলে গ্রহণ করা হয় না।

জনগণকে কথার ফুলঝুরিতে অজস্র প্রতিশ্রুতি দিই কিন্তু ক্ষমতায় গেলে তা আবার বেমালুম ভুলে যাই। তাই কথা নয় কাজ চাই, কাজ। কেননা কাজই বলে দেয় সার্বিক জনগণের স্বার্থ কতটা রক্ষিত হয়েছে বা হয়নি।

এ কথা মনে রাখতে হবে যে, আমাদের দেশে খনিজসম্পদ তেল, গ্যাস, কয়লার পর্যাপ্ত ভাণ্ডার নেই, মাইলের পর মাইলজুড়ে প্রাকৃতিক বনরাজি-বৃক্ষমালা নেই, উৎপাদিত শস্য-সম্পদের প্রাচুর্য নেই, বৈদেশিক বাণিজ্যভিত্তিক, পণ্য রপ্তানি আয়ভিত্তিক কোনো আয়ের ব্যাপক সুরাহা নেই, অভ্যন্তরীণ করনির্ভর যে আয় তারও পরিধি সীমিত। উপরন্তু ছোট্ট এই দেশটির বিশাল এক জনগোষ্ঠীর এক-চতুর্থাংশের বসবাস দারিদ্র্যসীমার নিচে।

এখনো সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ করা যেমন সম্ভব হয়ে ওঠেনি, তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য উপযুক্ত স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন সুবিধা, সেবা নিশ্চিত করা যায়নি। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিবেদনে ঢাকা শহর পৃথিবীর নিকৃষ্টতম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি, ক্ষমতাধর ব্যক্তিকর্তৃক মাস্তানি, টেন্ডারবাজি, ব্যাপক চাঁদাবাজি, পুলিশের সামনে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ সর্বগ্রাসী দুর্নীতির এক মহোৎসব চলছে।

অন্যদিকে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ ভূলুণ্ঠিত হতে চলেছে। সম্প্রতি ভারতে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা 'গুন্ডে'-তে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে।

যার তীব্র প্রতিবাদ উঠেছে বাংলাদেশের সব মহল থেকে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ কিন্তু অতি সম্প্রতি ভারতে নির্মিত 'গুন্ডে' ছবিতে শুধু বাঙালি জাতির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার ইতিহাসকেই বিকৃত করা হয়নি, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকেও অবমাননা করা হয়েছে। আত্দমর্যাদাসম্পন্ন, স্বাধীনতাকামী জাতি কোনোক্রমেই এ ঘটনা মেনে নিতে পারে না। এই সিনেমাতে বলা হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারত বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান থেকে গুন্ডে ছবি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করে আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পৃথিবীর অন্যতম বিশাল গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা ভারতের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন, সমমর্যাদাভিত্তিক ও সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ যেমন আশা করি, তেমনি তাদের বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক সেন্টিমেন্টের প্রতি মর্যাদা ও গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করি।

পরিশেষে বলা যায়, সুবিধাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে নয়, গায়ের জোরে নয়, সততার সঙ্গে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও আচার-আচরণ প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য রক্ষা করা প্রয়োজন। চতুর্পাশ্বর্ে বিরাজিত রাষ্ট্রীয়, সামাজিক অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে বর্তমান কলুষিত রাজনীতিকে শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানের জায়গায় নিয়ে আসা জরুরি। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অরাজকতা কোনোভাবেই জনগণ বা রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। আবার জনগণের পবিত্র আমানত তাদের ভোটাধিকার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রে জনগণের মতামত প্রতিফলনের সুযোগ না পেলে এই দুর্বলতার ভেতর দিয়ে নানা সন্ত্রাসী, জঙ্গিগোষ্ঠীর অপতৎপরতার সুযোগ বৃদ্ধি পায়।

যা কিনা সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে হুমকিতে ফেল দেয়, বিপন্ন করে তোলে। তাই আদর্শগত প্রশ্নে হিংসা-হানাহানি ভুলে গিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবার অংশগ্রহণে জনগণের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবিধান ও গণতন্ত্র বজায় রাখা সম্ভব।

লেখক : চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি

ই-মেইল : শরৎড়হফবনধঃব@মসধরষ.পড়স

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.