আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শহীদুল্লাহ হলের ভৌতিক পুকুর!**

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল। হলের পাশেই অবস্থিত একটি বড় পুকুর। পুকুরের দুপাড়ে রয়েছে তিনটি ঘাট। পুকুর পাড়ের চারপাশে গাছ লাগানো। বিকালে গাছের ছায়ায় সবুজ ঘাসের ওপর বসে গল্পে মেতে ওঠে হলের শিক্ষার্থী ও বাইরে থেকে আসা অতিথিরা। জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি তাদের আড্ডায় ঠাঁই পায় এ পুকুরকে নিয়ে প্রচলিত নানা মিথ। একজন অন্যজনকে শোনায় এই পুকুরের রহস্যাবৃত ঘটনাবলী।

এই পুকুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে বিভিন্ন সময় মারা যায় অনেকে। তাই পুকুরটিকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় নানা গল্প প্রচলিত রয়েছে। কেউ বলে এই পুকুরে ভূত-প্রেত আছে। কেউবা বলে এখানে ডাইনি বুড়ি আর রাক্ষসেরা বসবাস করে।

২০০৯ সালে এই পুকুরে সাঁতার কাটার সময় দুপুর বেলায় পানির নিচে তলিয়ে যায় এক ভর্তি পরীক্ষার্থী। এর আগে বন্ধুর সঙ্গে গোসল করতে এসে মারা যান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এভাবে সাঁতার কাটার সময় দিনে-দুপুরে ১০/১২টি তাজা প্রাণ কেড়ে নেয় এই পুকুর। যে কারণে পুকুরটিকে ঘিরে কল্পকাহিনী আরও বেশি পাকাপোক্ত হয় মানুষের মনে। হলের কর্মচারীরা জানায়, সাঁতার কাটতে গিয়ে এক ছাত্রের মৃত্যুর পর এখানে গোসল করা ও সাঁতার কাটায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়। যে কর্মচারী নোটিসটি টাঙায় সে একদিন স্বপ্ন দেখে তাকে এক লম্বা চুলওয়ালা ডাইনি বলছে- 'তুই আমার আহার কেড়ে নিয়েছিস, তোর খবর আছে'। এরপর ওই কর্মচারী চাকরি ছেড়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কর্তৃপক্ষের অযত্ন-অবহেলায় পুকুরটির বেহালদশা বিরাজ করছে। পানিতে গাছের ডালপালা পড়ে আছে। তিনটি ঘাটের মধ্যে একটি ভেঙে গেছে এবং অন্য দুটি বিবর্ণ হয়ে গেছে। এ ছাড়া পুকুরের পানি অনেকটা ময়লা-আবর্জনা মিশে ঘোলাটে রং ধারণ করেছে। ঘাটের পাশে একটি সাইনবোর্ডে বড় বড় অক্ষরে বিজ্ঞপ্তি আকারে লেখা আছে- 'পুকুরে গোসল ও সাঁতার কাটা নিষেধ।' সাদ্দাম হোসাইন নামের হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেকেই এটি ভৌতিক পুকুর বললেও এরকম কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। আমি এই পুকুরে গোসল করেছি। সাঁতার কেটেছি। গরমের দিনে অনেক কর্মচারী নিয়মিত গোসল করে এখানে। তবে পুকুরের পানি অপরিষ্কার হওয়ায় এখন মানুষ কম গোসল করে।

হলের আরেক শিক্ষার্থী সাবি্বর আহমেদ বলেন, এই পুকুরের নিচে উদ্ভিদের পরিমাণ বেশি হওয়ায় পানিতে অঙ্েিজন স্বল্পতা রয়েছে বলে শুনেছি। হয়তো সে কারণেই সাঁতার কাটতে গিয়ে অনেকে মারা গেছেন। এ ব্যাপারে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.