বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে একই কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহীম কবির। সোমবার রাতে এই ঘটনার সময় শিবিরের আরেক কর্মী শিমুল বিশ্বাসের একটি হাত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে গতকাল তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কর্তরর্্ৃপক্ষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্প্রতি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সৈকত, মাসুম, রিফাত ও রেজা ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের ব্যানার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়। এর পরও ইলেক্ট্রিক্যাল ৭ম বর্ষের ছাত্র ইব্রাহীম এবং একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শিমুল কিছুদিন পূর্বে কলেজ ক্যাম্পাসে ইসলামী আন্দোলনের (চরমোনাই অনুসারী) একটি ব্যানার সাঁটালে ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রলীগ নেতারা। গত সোমবার রাতে রেজা, সৈকত, মাসুম ও রিফাত একদল ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ প্রথমে কলেজ ক্যাম্পাসের প্রধান ছাত্রাবাসের ২য় তলার ২০২ নম্বর কক্ষে গিয়ে শিমুলকে বেদম মারধর করে।
এর পর তারা একই ভবনের তৃতীয় তলার ৪০১ নম্বর কক্ষে গিয়ে ইব্রাহীমকে দরজা খুলতে বলে। দরজা না খোলায় ক্যাডার বাহিনী দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ইব্রাহীম কক্ষের জানালা দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। তার বাড়ি বরিশালের গৌরনদীতে। আহতদের মধ্যে ইব্রাহীম কলেজ শাখা শিবির সভাপতি এবং শিমুল শিবির কর্মী বলে দাবি করেছেন মহানগর শিবিরের সভাপতি আবদুল্লাহ-আল নাহিয়ান।
অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মীর মোশারেফ হোসেন জানান, বিভাগীয় প্রধান দিদারুল আলমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।