ফুটবলে বাংলাদেশের মান কখনো আহামরি ছিল না। হাতে গোনা কিছু সাফল্য ছাড়া কিছুই সঞ্চয় নেই বললে চলে। তারপরও জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবলের জনপ্রিয়তা ও গুরুত্বই ছিল আলাদা। এশিয়াতো বটেই ইউরোপের অনেক কর্মকর্তারা লিগে গ্যালারি ভরা দর্শক দেখে অবাক হয়ে যান। কালের বিবর্তনে সেই জনপ্রিয়তা এখন নিঃশেষ হয়ে গেছে বলা যায়। অন্য দলের কথা বাদই দিলাম চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান-আবাহনীর ম্যাচেও গ্যালারিতে দর্শক হাতে গোনা যায়। এ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের হতাশার শেষ নেই। বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে নেপালিদের সব সময় আগ্রহ রয়েছে। ৮০ থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত ঢাকা ফুটবলে বিভিন্ন ক্লাবে অনেক নেপালি ফুটবলার খেলে গেছেন। বিশেষ করে তাদের কিংবদন্তি ফুটবলার গনেশ থাপার তারকাখ্যাতি এসেছিল তো মোহামেডানে খেলেই। বাংলাদেশের এত জনপ্রিয় বা বিখ্যাত ক্লাবে নেপালিদের সুযোগ ঘটবে তখন তা ছিল স্বপ্নের মতো।
এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও নেপালি ফুটবলাররা ঢাকা লিগ খেলতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। অধিনায়ক সাগর থাপা বলেন, বাংলাদেশের প্রফেশনাল লিগে এখন শুনছি বিদেশির ছড়াছড়ি। অধিকাংশই আফ্রিকা মহাদেশের। এ কথা শুনে সাগর বেশ বিরক্ত। তার কথা ঢাকার ক্লাবগুলো আফ্রিকানদের নিয়ে এত আগ্রহ কেন? শুনলাম ওরাতো কম পয়সা নেয় না। তাছাড়া তাদের মানও নাকি আহামরি নয়। তাহলে ঢাকার ক্লাবগুলো নেপালিদের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না কেন? আমরা কি তাহলে খেলতে জানি না? সাগরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনাকে যদি ঢাকার কোনো ক্লাব অফার দেয় তাহলে কি খেলবেন? এ কথা শুনে সাগর কিছুক্ষণ হাসলেন। এরপর বললেন, দেখেন আমি গনেশ স্যার বা হরি খাগড়ার মতো বিখ্যাত ফুটবলার নয়। উনারা আমাদের আদর্শ। তাই ঢাকার বড় কোনো ক্লাব আমাকে অফার দেবে না তা নিশ্চিত। কিন্তু আরও দলতো আছে ওরা একবার অফার দিয়ে দেখুক তা গ্রহণ করি কিনা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।