আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে কারণে নূরের গাড়িবহরে হামলা

তিনি একজন প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। মৌলবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ় ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান হওয়ায় প্রতিবাদী এই কণ্ঠকে রোধ করতে শনিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক বলেন, সম্প্রতি জেলা সদরের পলাশবাড়ী ও লক্ষীচাপ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, মালামাল লুট এবং অগি্নসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী জামায়াত-শিবির চক্র। এ কারণে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালায় চক্রটি। জানা গেছে, জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হওয়ার পর নীলফামারীতে ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির। রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি, গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ, গাছ কেটে সাবাড়, বেইলি ব্রিজের পাটাতন কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ যানবাহন এবং দোকানপাট ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগ করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং বাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো নাশকতা দেখিয়েছে জামায়াত-শিবির। জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা লক্ষীচাপ কাছারীবাজার পরিদর্শন শেষে শনিবার বিকালে ফেরার পথে রামগঞ্জে ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা এগিয়ে এলে সংঘর্ষ বাধে। এতে ৬ জন মারা যায় এবং সহকারী পুলিশ সুপার, ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৩৭ রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় সংসদ সদস্য নূর আহত হননি। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা আসাদুজ্জামান নূরকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০০ জনকে আসামি করে রাতেই সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বাবুল আক্তার। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নীলফামারীর রামগঞ্জে ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, যুদ্ধাপরাধ বিচার শুরু হওয়ার পর জামায়াত-শিবির যে সহিংসতা চালাচ্ছে তা কেবল '৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকাররা যা ঘটিয়েছে তার সঙ্গেই তুলনা করা যায়। এদিকে ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা এ ঘটনার মূল নায়কদের গ্রেফতার করতে পারেননি। ওই এলাকায় জামায়াত-শিবিরের হামলার ভয়ে রাত জেগে গ্রামের সাধারণ মানুষসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাহারা দিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার জোবায়েদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.