আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইত্তেফাক পত্রিকার ভারত প্রেম




জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ইত্তেফাকের ভারত প্রেমের বিষয়টি ইদানিং বেশী রকম নগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিন ব্যানার হেডিং এক একজন ভারতীয় নায়িকার ছবি এবং সেই সাথে ঐ নায়িকা সম্বন্ধে কিছু একটা গল্প ১২ নং পাতায় থাকা চাই।
চলচিত্রের পত্রিকা ব্যাতিত, খোদ ভারতের কোন জাতীয় পত্রিকাতেও ইত্তেফাকের মত প্রতিদিন কোন নায়িকার ছবি প্রথম পাতাতে ছাপানো হয় না। এ যেন “মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশী”।

গত কয়েক বৎসর ধরে লক্ষণীয় যে ইত্তেফাক হঠাৎ করেই পেশাগত নিরপেক্ষতা থেকে সরে এসে ভারত তোষণ শুরু করেছে।

ভারতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে বিভিন্ন লেখা ছাড়াও নাস্তিকতার প্রচার/প্রসারেও ইদানিং তাদেরকে জোরালো ভুমিকা রাখতে দেখা যায়। শ্রদ্ধেয় দেশ প্রেমিক মানিক মিয়ার ইত্তেফাক যেন টাকার বিনিময়ে দেশ প্রেমকে বিকিয়ে দিয়েছে।
মনে হয়, ভারত কে জনমনে স্থান করিয়ে অখন্ড ভারতের এজেন্ডা বাস্তবে পরিণত করতে তারা আজ বদ্ধ পরিকর। একজন মুসলমানের দেশপ্রেম শুধুমাত্র বিনিময় হতে পারে শাহাদাতের অমীয় শুধা পানের বিনিময়ে। কিসের বিনিময়ে ইত্তেফাক দেশপ্রেম বাদ দিয়ে ভারত তোষন শুরু করেছে আমাদের তথাকথিত গোয়েন্দা বাহিনীদের এক আধটু খোজ খবর নেয়া উচিৎ, যদি না তারাও ইতোমধ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী “র” এর কাছে বিক্রয় হয়ে থাকে।



এ বিষয়ে বাংলাদেশীদের সাথে মূর্খ পাকিস্তানীদের বেজায় মিল, আমেরিকানরা প্রতিনিয়ত ড্রোন দিয়ে নিরীহ পাকিস্তানীদের শহীদ করে, আবার এন্জেলিনা জোলিকে পাঠায় আহতদের প্রতি সহানুভুতি জানাবার জন্য। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, গন্ড মুর্খ পাকিস্তানী তথাকথিত মুসলমানেরা চরম শত্রু আমেরিকার নাপাক জোলিকে এক পলক দেখার জন্য বেকারার হয়ে ভীড় করে। আমাদের দেশের তথাকথিত মুসলমানেরাই বা কম যায় কোথায়? ভারত প্রতিনিয়ত সীমান্তে আমাদের ৪/৫ জন সাধারন মুসলমানদের শহীদ করে যাচ্ছে, অথচ ভারতীয় কোন নাপাক সঙ্গীত শিল্পী কিংবা চলচিত্র শিল্পীর আগমন হলে ওদেরকে দেখতে এদেশের তথাকথিত মুসলমানদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পরে যায়। নিশ্চিত পরাধীনতার পূর্বে একটি জাতি তার আত্মসম্মানবোধ এভাবেই হারিয়ে ফেলে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান হচ্ছে তার উৎকৃস্ট দুটি উদাহরন।
আরো মিল প্রয়োজন? পাকিস্তানের ক্ষমতাসীনরা আমেরিকাকে বন্ধুপ্রতীম ধারনা করে, আর আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের কাছে ভারত শুধু বন্ধুপ্রতীমই নয়, ক্ষেত্র বিশেষে তাদের ভারতপ্রেম দেশ প্রেমকেও হার মানায়।



কথা হচ্ছে, আমাদের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় পত্রিকা ইত্তেফাককে আমরা অতীত নিরপেক্ষতা এবং পেশাগত সাংবাদিকতার দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখতে চাই। পেপারের কাটতি বাড়াতে ভারতীয় নায়িকার ছবি ১ম পাতায় ইত্তেফাকের মত পত্রিকায় সামাঞ্জস্য পূর্ণ নয়। ট্রেনে, বাসে হকারদের মাধ্যমে দু টাকা দামের চটি পত্রিকা বিক্রয়ের জন্য উত্থিত যৌবনা ভারতীয় নায়িকাদের ছবি ব্যাবসায়িক স্বার্থে প্রয়োজন।
নায়িকা অনুশকা রাতে কার সাথে ঘুমালো কিংবা বিদ্যাবালান মা হলো কিনা এসব খবর ইত্তেফাকের ক্ষেত্রে বেমানান।

আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন যে, এক সময়ের জনপ্রিয় পত্রিকা “জনকন্ঠ” শুধুমাত্র ভারতের তাবেদারী করার কারনে আজ জনপ্রিয়তার সর্ব নিন্মে অবস্থান করছে।


আশাকরি কর্তৃপক্ষ বিষয়টির দিকে নজর দিবেন এবং পুরানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনবেন।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.