ভুল করে সাদা ফসফরাস ও লাল ফসফরাস মিশিয়ে ফেলাতেই গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এতে পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.জাহাঙ্গীর হোসেন ও সেকেন্ড অফিসার এস আই ফজলুর রহমান গুরুতর আহত হন। জাহাঙ্গীর চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটিতে ভর্তি আছেন। আহত এস আই ফজলুরকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকামুক্ত।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর এ কে খান মোড়ে মোস্তফা কলোনিতে অভিযান চালিয়ে ৩টি ককটেল, একটি এলজি ও একটি কার্তুজসহ বশির নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশ। ককটেল উদ্ধার করে ঘটনাস্থলে নিস্ক্রিয় না করে তা থানায় নিয়ে আসা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাহাড়তলী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার বলেন, ‘হোয়াইট ফসফরাস আর রেড ফসফরাস সংস্পর্শে আসার ফলে বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশে ইট, কাঁচের টুকরা ছিল।
বিস্ফোরণে সেগুলো পুরো কক্ষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দু’জন আহত হয়েছেন। ’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ককটেলগুলো উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে নিস্ক্রিয় করার জন্য নগর গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়করণ টিমের এস আই সন্তোষ কুমার চাকমাকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ককটেলগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া ককটেলগুলো খালি স্থানে না রেখে থানায় কক্ষের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পাহাড়তলী থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, ‘ককটেলগুলো উদ্ধার করার পরই ডিবি’র টিমকে খবর দিই।
কিন্তু ডিবি’র টিমও তো মাত্র একটা। তাদের যেতে দেরি হওয়ায় ককটেলগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডিবি’র টিম থানায় যাবার পরই বিস্ফোরণ হয়। ’
বিস্ফোরণের ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।