আমি কৈশোরেই প্রেমে পরি। এখন যদিও বুঝতে পারছি কৈশোরে প্রেমে পরা মানে হচ্ছে অনুপযুক্ত মৃত্তিকাতে বৃক্ষ রোপনের মতই কিন্তু তখন আর তা বুঝতাম না। আমি প্রথম প্রেমে পরে আসলে নিচের এই চরণগুলো লিখা। এটিই ছিল আমার জীবনের প্রথম লিখা। একটি বইয়ের পৃষ্ঠাতে লিখা ছিল যা আজকে আপনাদের সামনে হুবহু তুলে ধরলাম।
আর ঐদিন এই চরন্গুলোকে লিখতে পেরে আমার কাছে মনে হয়েছিল আমি একজন বিশ্বজয়ী। কবিতা কিভাবে লিখে আমি তা জানি না। মাঝে মাঝে ভাবি কথা কিভাবে কবিতা হয়?
শুকিয়ে ছিলাম এক শতাব্দী,
ভেবেছিলাম হয়ে যাব নিষ্প্রাণ,
ফোটা ফোটা অশ্রুজল রূপান্তরিত নদী
কখন আবার গাইব গান?
আজ সকালটা ছিল কুয়াশায় ঢাকা
যেদিকে তাকায় শুধু সাদা আর সাদা ,
হঠাৎ স্তব্ধিত আমি রুখে দাড়ালাম
সার্থক বুঝি জন্ম থেকে কাঁদা।
কিছুই ছিলনা বলার আমার,
শব্দটা ছিল শত বছরের চেনা।
দীর্ঘতপার পর আজ ঝড় তুলল
রাজহংসীর ঝাপটানো ডানা।
কিভাবে বরণ করে নিব আমি তাকে?
অপেক্ষা আমার ধরে শত বছর।
তার পদসঞ্চারেই ধন্য আমি,
নতুবা হতাম ধু ধু বালুচর।
জানিনা কোন আন্দু পরাব তোর পায়ে
হাসি আর গানে এই বুকে করবি খেলা।
যখন খুসি ডানা মেলে কাটবি সাতার,
হোক না সে বিষাদময় দুপুরবেলা।
তুইতো আমার সেই অংশিত কল্পনা,
আমার স্বপ্নময়ী রাজহংসী।
না না তুই রাজহংসী না
যেন কৃষ্ণের হাতে সুরেলা বংশী।
রাজহংসী তোর ডানার বড় ভয় আমার
উড়ে যেতে পারিস যখন খুশি তোর।
বলি শুধু করিস না শূন্য এই দিপাধার
ভিড়বে না তরী জানি আসবে না আর ধীবর।
যেতে দিব না আর কোথাও তোকে
বন্ধ করে দিব মোহনার সব পথ।
উড়াল দিবি না কোনো রাজহংসের পিঠে
শুধু চাই তোর একটি শপথ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।