শুক্রবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পল্লী এলাকায় বিদ্যুতের ‘সিস্টেম লস’ কমানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করতে ‘রুরাল ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন’ প্রকল্পে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের মাত্র ৪২ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।
এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পল্লী এলাকায় বিদ্যুতের নতুন লাইন নির্মাণ, পুরনো লাইন মেরামত ও ‘সাবস্টেশন’ গড়ে তোলা হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের এই ঋণ ৪০ বছরে পরিশোধ করা যাবে। প্রথম ১০ বছর কোনো সুদ দিতে হবে না।
তবে পরবর্তী বছরগুলোতে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পল্লী এলাকায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষতি কমিয়ে আনার পাশাপাশি ভোক্তাদের কাছে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে এ প্রকল্প।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের এই প্রকল্পে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় ততোটা অগ্রগতি আসেনি বলেও সংস্থাটি মনে করে।
বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি জোহানেস জুট বলেন, বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দারিদ্র্য কমাতে সহায়তা করবে এই প্রকল্প।
বিদ্যুতের সঙ্গে প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা ও সমৃদ্ধির ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জুট বলেন, “আমরা দেখেছি বিদ্যুৎ পেলে মানুষের আয়ের সুযোগ বাড়ে, বিশেষত নারীর ক্ষেত্রে তা উল্লেখযোগ্য হারে হয়ে থাকে। এতে নারীর বিচরণের ক্ষেত্র সম্প্রসারণের পাশাপাশি সিদ্ধান্ত গ্রহণে তার অংশগ্রহণ বাড়ে। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।