I want to make me as a blog writter. রাশিদুল ইসলাম নাহিদ
পারস্য সভ্যতার কেন্দ্রভূমি ইরান বিশ্বের একটি অন্যতম শক্তিশালী ইসলামিক প্রজাতন্ত্র। এই ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পারমানবিক কর্মসুচি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা অনেক দিন থেকেই চলে আসছে। এই পারমানবিক কর্মসুচি কে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমাদের সাথে এই ইরানের সম্পর্ক দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হয়েছে এবং বর্তমানে তা ইরানের উপর অবরোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং ইরানের উপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের আকর্ষিক হামলার হুমকি এই অঞ্চল কে উত্তপ্ত করে তুলেছে । একদিকে মধ্যপ্রাচ্যে বসন্তের হাওয়া অন্যদিকে ইরান-মার্কিন সম্পর্কের খরা যেন কাটছেই না বরং ইরানের উপর একের পর এক অবরোধ আরোপ করে এ খরা যেন অনাবৃষ্টিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। কিন্তু ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানও সু-স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এই অবরোধ ইরান কে তার শান্তিপূর্ণ পারমাণবিকিকরণ থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
এখন প্রশ্ন হল পশ্চিমা শক্তি কি ইরানের পারমাণবিকরণের বিষয়ে সুনিশ্চিত কোন তথ্য পেয়েই এই অবরোধ ও অভিযোগ করে আসছে? না সু-নিশ্চিত কোন প্রমাণ ছাড়াই পাশ্চাত্যের অভিযোগ ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরীর চেষ্টা করছে? তাহলে কি পশ্চিমাদের দাবিকে আপাত দৃষ্টিতে ভিত্তিহীন মনে করবে আন্তর্জাতিক মহল? কারণ এখন পর্যন্ত আইএইএ এর অনুসন্ধানে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর চেষ্টা করছে । এমনকি ২০০৭ সালের ৩১ শে অক্টোবর আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থার প্রধান এল বারাদেই বলেছিলেন, ইরান পারমানবিক বোমা তৈরী করছে এমন কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি” যা ইরানের বক্তব্যকেই সমর্থন করে। তাহলে কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কে আবার দেখতে হবে, যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা “ওয়েপন ম্যাস ডিস্ট্রাকশন” এর অভিযোগে ইরাক আক্রমণ করেছিল ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় ইরানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অথচ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ খুব দৃঢ়তার সাথে বলে আসছেন যে,“ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা , কোন ক্রমেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ বন্ধ করা হবে না-কেননা এটা ইরানের অধিকার, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এ-কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে”। এছাড়াও ইরানে এক বেসরকারী জরিপে দেখা গেছে যে ইরানের ৯৯ শতাংশ মানুষ এই কর্মসূচির পক্ষে।
লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, ৬০ এর দশকে এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই সোভিয়েত রাশিয়াকে মোকাবিলা করার জন্য ও আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইরান কে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পারমানবিক কর্মসূচির জন্য সহায়তা করতে থাকে। ইরানের পরমাণু প্রকল্পের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠির সমর্থন, উৎসাহ প্রদান এবং সরাসরি সহায়তা ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ¬বের পুর্ব পর্যন্ত অব্যহত ছিল এবং এই সময়ে ইরান ও ইসরাইল ছিল পরস্পরের বিশ্বস্ত বন্ধু । কিন্তু ইসলামি বিপ্ল¬বের পর পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠি সব রকমের সহায়তা বন্ধ করে দেয়। বিশেষ করে ইসলামী বিপ্ল¬বের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভীত হয়ে পড়ে। কেননা ইসলামী চেতনা পাশ্ববর্তী আরব দেশগুলোতে প্রসার লাভ করলে মার্কিন স্বার্থের সরাসরি হুমকি হয়ে উঠবে।
আর তাদের এই আশংকার বাস্তব প্রতিফলন বর্তমান সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্যের স্বৈরচারী শাসকদের বিরুদ্ধে যে বিপ্লবকে আরব বসন্ত নামকরণ করেছিল, মিশর, তিউনিশিয়া, মরোক্ক ও লিবিয়ায় ইসলামি ধারার দলগুলো ক্ষমতায় আসার ফলে এবং ফিলিস্তিনিদের বিজয় পশ্চিমাদের কাছে তা এখন ‘আরব উইন্টার’ এ পরিণত হয়েছে। কারণ তারা ভেবেছিল যে এই বিপ্লবের ফলে স্বৈরচারী শাসকদের পতনের মধ্যে দিয়ে এসকল রাষ্ট্রে তাদের সমর্থন পুষ্ট সরকার ক্ষমতায় আসবে কিন্তু একসকল দল ক্ষমতায় আসায় তাদের আশা কুয়াশায় ঢেকে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইরাক, আফগানিস্থান আক্রমণ করেছিল দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে। একটি ছিল ইরাকের তেলের উপর দখল ও অন্যটি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আধিপত্য তালুবদ্ধ করার জন্য।
আর এই আধিপত্য সুসংহত করার জন্য তারা ইসরাইল এই অঞ্চলে মাতাব্বর হিসেবে বসিয়ে রেখেছে। ইসরাইলকে সর্বাতœক পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সবসময় সহায়তা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল হবে একমাত্র পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন শক্তি। তাই তারা ইরাক আক্রমণ করে এবং বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের পারমাণবিকরণে বাধা দান করেছিল কিন্তু তাতে পাকিস্তানের পারমাণবিক ক্ষমতা অর্জনের প্রক্রিয়া থেকে থাকে নি। তাই দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের তেল ঠিকই পেয়েছে কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রন তারা হস্তগত করতে পারছে না।
কারণ অনেকদিন থেকেই ইরান এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের পোষা পুত্র ইসরাইলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাহলে কি বলা যায় যে পশ্চিমাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন? না প্রকৃতপক্ষেই ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর চেষ্টা করছে? এটা সাধারন দর্শক হিসেবে বলা কঠিন! কেননা আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা বলে আসছে যে ইরান সে রকম কোন কিছু চেষ্টা করছে না।
এদিকে ইরান এনপিটি তে স্বাক্ষরকারী দেশ তাই তাদের আণবিকায়ন সম্পূর্ণ বাধার সম্মূখীন। অথচ ঘচঞ চুক্তির অ-৩এবং অ-৪ অনুযায়ি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি যুক্তিযুক্ত। অ-৩ তে বলা হয়েছে “সকল ন্যাটো বহির্ভূত দেশগুলো ওঅঊঅ এর মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার করবে এবং সকল উপাদানের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে অন্যান্য কর্মকান্ড পরিচালনা করবে”।
আর অ-৪ এ বলা হয়েছে ধারা-১ এবং ধারা-২ অনুসারে “যদি কোন পক্ষ পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, উৎপাদন ও গবেষণা করে তাহলে তাকে কেউ অপসারণ করতে পারবে না”। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, ইসরাইল, ভারত, উত্তর কোরিয়া সহ অনেক দেশ ঘচঞ চুক্তির অ-১এবং অ-২ ধারার সু-স্পষ্ট লংঘণ করে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরী ও প্রতিযোগিতা অব্যহত রেখেছে।
লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে ২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমাদেশুলো ইরানের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ সহ বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। গত এক বছরে এই অবরোধের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু অবরোধের ফলে ইরানের উপর তেমন কোন প্রভাব লক্ষ্য করা য়ায় নি।
বরং ইরান তার কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। বারাক ওবামা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের অবরোধ আরোপের মাধ্যম্যে ইরানের কর্মসূচি বন্ধ করতে চেয়েছিল কিন্তু ইসরাইল এই অবরোধ আরোপের ব্যাপারে সমসময় অনিহা প্রকাশ করে আসছে এবং ইরানের উপর সামরিক হামলা চালানো জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ প্রয়োগ করছে। কিছুদিন পূর্বে ইরানের সাথে “ছয় জাতি” আলোচনায় বসেছিল এবং বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘ আলোচনার কথা বলে আসছে কিন্তু তাতে কোন কার্যকরী ফল পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে দেশটির উপর নতুন করে অবরোধ আরোপের চেষ্টা করছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান তেল রপ্তানির গুরত্বপূর্ণ জলপথ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ইরান বলেছে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়াটা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য এক গ্লাস পানি পানের চেয়েও সহজ কাজ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছে হরমুজ প্রণালী বন্ধে ইরানের কোন ধরনের তৎপরতা সহ্য করা হবে না। এখন কথা হচ্ছে এই হরমুজ প্রণালী কেন এত গুরত্ব পূণ? কেন উভয়ে এর নিয়ন্ত্রন নিতে চায়? কারণ এ প্রণালী হলো উপসাগরীয় অঞ্চলের বড় তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব কে ওমান উপসাগর ও আরব উপসাগরের সাথে সংয্ক্তু করেছে এবং হরমুজ দিয়ে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেলের মত তেলজাতদ্রব্য রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোতে। তাই দেখা যায় যে ওবামা প্রথম মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের চেষ্টা নিয়ে কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রেখেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হলে ইসরাইলকে ইরানে হামলা চালানো থেকে ঠেকিয়ে রাখা ওবামার জন্য কঠিন হবে।
সেক্ষেত্রে ইসরাইলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এমনিতেই ইহুদিবাদী ইসরাইল ইরান প্রশ্নে ওবামার উপর ক্ষেপে আছে এবং তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে সম্ভবত তারা যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে ২৭ জনকে হত্যা করেছে। আর এই অভিযোগ খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক দায়িত্বশীল সুত্র থেকে পাওয়া গিয়েছে। তাই বলা যায় যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রন কোন ভাবেই হাতছাড়া করতে চাইবে না এবং ইসরাইলকে যে কোন মুল্যেই শান্ত রাখতে চাইবে এমনকি ইরান কে হামলার পরিকল্পনাও করতে পারে। যদিও বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে ইরাক, আফগান যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির মন্দাভাব ও বেকারত্ব বেড়ে গিয়েছে তাই মনে হয় ওবামা যুদ্ধে জড়াবে না।
কেননা যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারছে যে যুদ্ধ আর দখলদারিত্ব করে পরাশক্তির আসন টিকিয়ে রাখা যাবে না। কিন্তু একথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না যে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের অবস্থানকে সুসংহত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইল কে ইরানের উপর হামলা করতে সহযোগিতা করবে না। বরং পরিস্থিতি এমন হলে ইসরাইলের উপর যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। তাই দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে ইরান যদি তার কর্মসূচি বন্ধ না করে এবং ইরান আবার বেশি বেপরোয়া ভাব দেখায় তবে ওবাম যে খোদ দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেবেন এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। কিন্তু বিশ্ববাসী দেখেছে যে যুদ্ধ আর সহিংসতা শুধু হিরোশিমা, নাগাসাকি, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত পরিস্তিতির জন্ম দিতে পারে, অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে।
কিন্তু স্থায়ী কোন সমাধান দিতে পারে না।
তাই বিশ্লেষকগণ মনে করেন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সংকীর্ণ ভাবে না দেখে ওবামার উচিত বিস্তৃত প্রেক্ষিতে বিষয়টিকে দেখা। ইরান কে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনায় নিয়ে যাওয়া। তাকে দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র (জড়মঁব ংঃধঃব) না ভেবে তার প্রাসঙ্গিক নিরাপত্তা ইস্যূগুলো গুরত্বের সঙ্গে দেখা। ওবামার পুর্ববর্তী প্রেসিডেন্টের “বুশ ডকট্রিন”এর পরিবর্তে ঈযধহমব নীতিতে অটল থাকা।
আর এই পরিবর্তন যেন হয় বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ,সম্পর্কের অবনতির জন্য নয়। আর যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি আক্রমণের পরিকল্পণা করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞা ও আক্রমণের পরিকল্পণা ইরানের আচরণ বদলাতে কতটুকু সহায়ক হবে, নাকি তা আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দেবে বা যুদ্ধ পর্যন্ত গড়াবে-তা পরিস্কার নয়।
রাশিদুল ইসলাম নাহিদ
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।