আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নানা নামে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা



বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার শুরু নব্বই দশক থেকে। বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাপড়–য়া ছাত্র-শিক্ষকদের একটি অংশ আশির দশকের শেষ দিকে আফগানিস্তানে যায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা মুজাহিদীনদের পক্ষে লড়াই করতে। দেশে ফিরে তারাই গঠন করে হরকাতুল জিহাদ। পরে নানা নামে হয় আরো বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন। গোপন তৎপরতার পাশাপাশি ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দলের হয়েও কাজ করতে থাকেন এসব জঙ্গি সংগঠনের নেতারা।



১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোরে উদীচীর সম্মেলনে, ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টনে সিপিবির সমাবেশ, একই বছরের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূল এবং ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায় জঙ্গিরা। হরকাতুল জিহাদের জঙ্গিরা এসব ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় তদন্তে। জঙ্গিদের হামলার মধ্যে সবচেয়ে বীভৎস ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে দলের অন্য শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে হত্যার জন্য চালানো এই হামলায় বিপুল প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় একটি বড় রাজনৈতিক শক্তির সহযোগিতা পেয়েছে জঙ্গিরা।

এর পাশাপাশি ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় একই সময়ে সাড়ে পাঁচশরও বেশি বোমা হামলা চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেয় জেএমবি। সে সময় চারদলীয় জোট সরকারের একটি অংশ এই জঙ্গিদের সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ ওঠে।

জেএমবি নেতা বাংলাভাইয়ের অস্তিত্ব নেই বলেও দাবি করে সে সময়ের সরকার। পরে অবশ্য এই আমলেই গ্রেফতার হয় জেএমবির শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিরা আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ফাঁসি হয় এদের ছয়জনের। তবে দেশে জঙ্গিগোষ্ঠী কেবল এই দুটি নয় বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গোয়েন্দা বাহিনীর হিসাব মতে, দেশে ধর্মীয় ও উগ্রপন্থি সংগঠনের সংখ্যা শতাধিক। একটি সংগঠন নিষিদ্ধ হলে কিছু লোক এর নামেই গোপন তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি তৈরি করে নতুন নামে সংগঠন। এভাবে বেড়েছে সংগঠনের সংখ্যা।

এখনো বাংলাদেশে হরকাতুল জিহাদ, জেএমবির পাশাপাশি আনসার উল্লাহ বাংলা টিম, শাহাদত-ই আল হিকমা-বাংলাদেশ, হিজবুত তাওহিদ, তৌহিদী ট্রাস্ট, আল্লাহর দল, জামাত-আস-সাদাত, শাহাদত-ই-নবুয়ত, খতমে নবুয়ত আন্দোলন, জামিউতুল ফালাহ, ইসলামিক সলিডারিটি ফ্রন্ট, আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, আরাকান পিপলস আর্মি, আরাকান মুজাহিদ পার্টি, মিয়ানমার লিবারেশন ফোর্স, রোহিঙ্গা লিবারেশন ফোর্স, রোহিঙ্গা ইনডিপেন্ডেন্ট পার্টি, রোহিঙ্গা প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট, আল হারাত-আল-ইসলামিয়া, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ফ্রন্ট, তৌহিদী জনতা, জুমাআতুল আল সাদাত, তামির উদ-দ্বীন বাংলাদেশ, আল খিদমত, হিজবুল মাহদি, হিজবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, দাওয়াতি কাফেলা, বাংলাদেশ এন্টি টেররিস্ট পার্টি, আল মারকাজুল আল ইসলামী, আল ইসলাম মার্টেনস ব্রিগেড, সত্যবাদ, মুসলিম মিল্লাত, শরিয়া কাউন্সিল, জমিয়ত আহলে হাদিস আন্দোলন, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ, কলেমার জামাত, তাজির বাংলাদেশ, সাহাবা পরিষদ, কাতেল বাহিনী, তাজির বাংলাদেশ, হায়াতুর ইলাহা, ফোরকান মুভমেন্ট, জামিউতুল এহজিয়া এরতাজ, আনজুমানে তালামিজ ইসলামিয়া নামে জঙ্গি সংগঠন কাজ করছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গোয়েন্দারা বলছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মদতে এখনো সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা।

এদের মধ্যে কেউ পাকিস্তান, কেউ আফগানিস্তান কেউবা ইয়েমেনের জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত। কওমি মাদরাসাকেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধেও আছে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ। হেফাজতের নায়েবে আমির মুফতি ইহাজারুল ইসলামের চট্টগ্রামের লালখানবাজার মাদরাসায় গ্রেনেড তৈরির সময় বিস্ফোরণে তিন ছাত্র নিহত হয় ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর। ঘটনাটিতে প্রথমে আইপিএস বিস্ফোরণ দাবি করলেও পরে বিস্ফোরণের ব্যাপকতার পর হেফাজতের এই দাবি আর গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, গ্রেনেড তৈরির মালামালও উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনার পর থেকে পালিয়ে আছেন মুফতি ইজাহারুল। তিনি ও তার আটক ছেলে হারুন ইজহারসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গত ১০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

মুফতি ইজাহারের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ পুরনো। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আশির দশকে আফগানিস্তান যান তিনি। ফিরে এসে ১৯৯৮-৯৯ সালে দাওয়াত নামের একটি পত্রিকায় এ নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন তিনি।

যার শিরোনাম ছিলÑ ‘তালেবানের আফগানে জান্নাত দেখে এলাম। ’

জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ : বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিকাশে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বেশ কিছু সংগঠন আর্থিক ও অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আল কায়েদা, লস্কর-ই-তৈয়্যেবা, হিযবুত তাহরীর, জয়শ-ই-মুহাম্মদসহ আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন সংগঠনের বাংলাদেশে শাখাও পাওয়া গেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর তদন্তে দেখা যায় বাংলাদেশে উগ্র ধর্মীয় রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে জঙ্গি তৎপরতা চালাতে প্রশিক্ষণও দেয়া হতো বাংলাদেশে।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ভারতে যেসব জঙ্গি হামলা চালান হয়েছে তাতে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা অংশ নেয় বলেও অভিযোগ আছে।

২০০৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতে বিস্ফোরকসহ আটক হন ফরিদপুর থেকে যাওয়া দুই ভাই মুরসালিন ও মুত্তাকিন। তারা এখনো ভারতের তিহার কারাগারে বন্দি আছেন। তাদের বিরুদ্ধে দেশটিতে একাধিক হামলায় অংশ নেয়ার অভিযোগ আছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আল কায়েদা প্রধান জাওয়াহিরির অডিওবার্তা প্রকাশের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের রাজধানীর শাপলা চত্বর থেকে উচ্ছেদ অভিযানে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে সরকারের বিরুদ্ধে ইন্তিফাদা বা সশস্ত্র সংগ্রাম শুরুর আহ্বান জানান জাওয়াহিরি।

সরাসরি না বললেও জামায়াতের পক্ষেও কথা বলেন জাওয়াহিরি। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উল্লেখ করে জাওয়াহিরি দাবি করেন, ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাংলাদেশে মুসলিম নেতাদের সাজা দেয়া হচ্ছে, কারো কারো ফাঁসিও দেয়া হচ্ছে।

জঙ্গিদের জামায়াতের আঁতাত : মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা জামায়াত জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ কখনো স্বীকার করতে চায়নি। তবে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়াদের একটি বড় অংশের সঙ্গে এবং তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই ছিলেন শিবিরের সক্রিয় সদস্য।

শায়খ রহমানও জামায়াত নেতাদের সুপারিশে মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ আলী সিকদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘জামায়াত ও জঙ্গি সংগঠনগুলো প্রায় একই। জঙ্গিরা আসলে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে আলাদা সংগঠন করেছে এবং জামায়াত তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকতে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী বলেছিলেন, বাংলাভাই বলতে কিছু নেই। এমনকি সরকারেরও এ ব্যাপারে কিছুর করার নেই।

এর মাধ্যমে তখন তারা জেএমবিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছিল। এসব কিছু প্রমাণ করে যে, সব কিছুর মূলেই রয়েছে জামায়াত এবং তাদের রাজনৈতিক আদর্শ। ’

ত্রিশালে ছিনিয়ে নেয়া এক জঙ্গি রাকিব হাসান রাসেল ওরফে হাফেজ মাহমুদও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা ছিলেন। ২০০৩ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি জামায়াতের প্রার্থীর হয়ে খেটেছিলেন।

যেভাবে ছিনিয়ে নেয়া হলো জঙ্গিদের : রোববার সকাল ৮টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে রাকিব হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাসেল, সালাউদ্দিন ওরফে সজীব ওরফে তৌহিদ ও মিজান ওরফে বোমা মিজান ওরফে জাহিদুল হাসান সুমনকে ডা-াবেড়ি পরিয়ে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়।

তাদের মধ্যে সালাউদ্দিন ও রাকিব মৃত্যুদ- ও মিজান যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামি। ভ্যানটি ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় পৌঁছলে আধুনিক অস্ত্র এবং শক্তিশালী বোমা ব্যবহার করে হামলা চালায় জঙ্গিরা।

প্রিজনভ্যানের চালক সবুজ মিয়া জানান, বেলা ১১টার দিকে প্রথমে বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক প্রিজনভ্যানকে আটকে দেয়। একই সময় একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন সামনে এসে গুলি শুরু করে।

একপর্যায়ে প্রিজনভ্যানের ভেতরের দরজা খুলে কাঠের একটি বাক্স (টাকশালে টাকা নেওয়ার বাক্স) নামায়।

এরপর ডা-াবেড়ি পরা তিন ব্যক্তি নিচে নামে। হামলাকারীরা ডা-াবেড়ি পরা ব্যক্তিদের মধ্যে দু’জনকে কালো মাইক্রোবাসে এবং বাকি একজনকে নিয়ে সাদা মাইক্রোবাসে ওঠে। এ সময় পেছনে ঢাকামুখী আরেকটি বাস আসছিল। হামলাকারীরা সেই বাসের সামনে ককটেল ফাটায়। তারা বাসের চালককে কিছুক্ষণ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকার জন্য বলে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায়।

পুরো কাজে সময় লাগে কেবল পাঁচ মিনিট।

এ সময় এসআই হাবিব, কনস্টেবল আতিক ও সোহেল এবং প্রিজনভ্যানের চালক সবুজ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পুলিশ কনস্টেবল আতিক মারা যান। নিহত আতিক (৩৫) গাজীপুর পুলিশ লাইনের কনস্টেবল ছিলেন।

তিন জঙ্গিই ভয়ঙ্কর : ছিনিয়ে নেয়া তিন জঙ্গিকেই বিপজ্জনক বলেছে পুলিশ।

এদের মধ্যে সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীনকে ২০০৬ সালের ২৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ৩৩টি মামলা আছে। ২০০৩ সালে এক খ্রিষ্টান যুবককে হত্যার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। নয়টি মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদের ওপর হামলায়ও তিনি অংশ নেন বলে পুলিশ তদন্তে উঠে এসেছে।



রাকিব হাসান রাসেল ওরফে হাফেজ মাহমুদ আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধ করতে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন। তিনি জেএমবির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম মজলিসে শুরার সদস্য এবং খুলনা বিভাগের কমান্ডার। সালাউদ্দিনের সঙ্গে তিনিও মৃত্যুদ- পেয়েছেন একই মামলা। এ ছাড়া আরো তিনটি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছেন তিনি। ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমানের সঙ্গে তার সখ্য ছিল। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ীই ২০০৬ সালে সিলেট থেকে আটক করা হয় শায়খ আবদুর রহমানকে।

এই তিনজনের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজানকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলছে পুলিশ। ২০০১ সাল থেকে জেএমবির এহসার সদস্য তিনি। আফগান যুদ্ধে অংশ নেয়া মিজান বোমা ও গ্রেনেড তৈরিতে বিশেষভাবে পারদর্শী।

দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৯টি মামলা রয়েছে। ২০০৯ সালের ১৪ মে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একটি অস্ত্র মামলায় তাকে যাবজ্জীবন দ- দেয়া হয়। অন্য চার মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

২০০৫ সালে এক বিচারকের ওপর বোমা হামলার জন্য তাকে ২০ বছর সাজা দেয়া হয়। - See more at: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.