আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মারো মারো মারো টান হাঁইও

কিচ্ছু ভাববেন না, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে, তবে আপনার মুখের বাঁ অংশটি যে পুড়ে গেছে, সেটি একদিন শুকিয়ে গেলেও শুকাবে না আপনার মনের ঘা, যখনই আয়নায় নিজের চেহারা দেখবেন তখনই মনে পড়বে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসের, ডিসেম্বর মাসের সেই দিনটির কথা, দিনগুলোর কথা।

ইতিপূর্বে এমন কোনো দিন যে হয়নি, তা নয়। তবে সেই রকম তাণ্ডব এবং বীভৎসতা এবারের নভেম্বর-ডিসেম্বরকে ছাড়িয়ে গেছে সেটি বলাই বাহুল্য। তাণ্ডব ছড়িয়েছে সমগ্র বাংলাদেশে তাণ্ডবকারীরা। পূর্বে অনেক বেদনাবিধূর দিন-রাত কেটেছে আমাদের, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেনাধ্যক্ষ জেনারেল ওসমানী ১৬/২/১৯৮৪ সালের বৃহস্পতিবার লন্ডনের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে সারা দেশে ২০/২/৮৪তে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল শোকাভিভূত তৎকালীন সরকার।

ঠিক তার পরের দিন একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বাংলা একডেমির কবিতা পাঠের আসর থেকে কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহকে একাডেমির মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন একজন বিপ্লবী কবি। আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ছিলেন তৎকালীন সরকারের কৃষিমন্ত্রী। বিপ্লবী কবির সঙ্গে আরও জনাকয়েক জানিয়েছিলেন, এমনকি দাবি করেছিলেন তাকে কৃষিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। এ মাসেরই ২৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি এরশাদ বিসিকের একটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছিলেন_ নিউ এয়ারপোর্ট রোডে। নাম ছিল 'কারুপণ্য'।

ওই দিন বিকালে শোনা গেল আগামীকাল হরতালের ডাক দিয়েছে, পরদিন ১ মার্চ ৮৪, বৃহস্পতিবার হরতাল পালিত হলো। আজিমপুরে এক কিশোর নিহত হলেন পুলিশের গুলিতে, আহত হলেন অনেক জায়গায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে মারাও গেলেন জনাকয়েক।

১৯৮৪। ৫ মে। শনিবার, ডেমোক্রেটিক পার্টি হরতাল ডেকে তারা সফল হতে পারেনি।

ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা-পাতিনেতা কারা ছিলেন জনগণ সেটি জানতেন এমনকি ডেমোক্রেটিকওয়ালাদের মিটিংয়ে সেদিন দৈনিক বাংলা অফিসের কোনায় চার মাথায় ধাওয়া দিয়েছিল জনগণ। অপরদিকে শ্রমিক ঐক্যজোট হরতাল ডেকেছিল ২২ মে মঙ্গলবার। পরে নাকি আপসও হয়েছিল। জুন, জুলাই মাসে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে চারদিকে যখন নিমগ্ন, তখন শুরু হয়েছিল সমগ্র দেশে অল্পবিস্তর রোগ। জুলাই পেরুতে না পেরুতেই ৫ আগস্ট রবিবার একটি দুর্ঘটনায় সমগ্র জাতি মুহ্যমান হয়ে পড়েছিল।

সেদিনও প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছিল। সেই রবিবার ৪৯ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার সনি্নকটে বাউনিয়া গ্রামে এসে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ বিমানের একটি ৪২৬ ফকার বিমান। দুর্ঘটনার খবর শুনে বাউনিয়ার দিকে ছুটে গিয়েছিলেন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান খান। বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ উদ্ধার করাটাও হয়ে পড়েছিল কষ্টকর। কেননা বাউনিয়ার বিলে ছিল পানি আর কাদামাটি।

তিনি লাশের বীভৎসতা দেখে নিজেই প্রচণ্ডভাবে অসুস্থ হয়ে পরের দিন ৬ আগস্ট সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ভাসিয়ে দিয়ে গেলেন শোকের বন্যায়।

ওই দুর্ঘটনার আগে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে যা হয়নি, তাই হয়েছিল একটানা ২৬ দিন সারা দেশে কোনো সংবাদপত্রই প্রকাশিত হয়নি। শেষ অবধি সরকারের তথ্যমন্ত্রী বিশিষ্ট বাম নেতার সঙ্গে অনেক দেনদরবার শেষে ৮ আগস্ট বুধবার বেরিয়েছিল পত্রিকা। তখনো দেশময় বন্যা।

কিছু দিন পরই আরেক দুর্ঘটনায় দেশবাসী স্তম্ভিত হয়েছিল। ২৭/৯/৮৪-তে নিহত হলেন রেডক্রসের ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকার কালীগঞ্জের ময়েজউদ্দিন আহমদ। দেশব্যাপী হরতাল, ধরপাকড়, সঙ্গে মৃতের খবরও পাওয়া গেল। দেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

মাত্র ১৬ দিন পর ১৪ অক্টোবর রবিবার ৭ দল-১৫ দল মিটিং করল, নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখে ওই একই পদ্ধতিতে মিটিং করল জামায়াতে ইসলামী।

আমার মতো অনেকেই শুনেছিলাম, দূরত্ব বজায় রেখে ৭ দিনের মিটিং, ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের ভাষণ শোনাটা ছিল সবার মুখ্য উদ্দেশ্য। তিনি জানিয়েছিলেন, এরশাদ সাহেব তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। উপস্থিত জনতার মধ্যে গুঞ্জন শোনা গেল। বিশ্বাস করলেন সবাই। তবে তৎকালের ৭ দল মিটিং-মিছিল, হরতাল-অবরোধ দিতে সাহস পেল না, দেশে মার্শাল ল' থাকার সুবাদে সেই দিনের সেই ৭ দলের কোনো নেতা-পাতি উচ্চবাচ্য করতে পারেনি অথবা উচ্চবাচ্যের সেই সুযোগ দেননি শাসকরা।

অপরদিকে পাশর্্ববর্তী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিহত হলেন তারই বিশ্বস্ত দেহরক্ষীদের হাতে ৩১/১০/৮৪ সালের বুধবার। দিনছয়েক পেরুতে না পেরুতেই পালন করা হলো সংহতি দিবস ৭ নভেম্বরে। নভেম্বরের ৭ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের শীতের বাতাসও উষ্ণ হয়ে উঠেছিল সামরিক শাসনের বিপক্ষে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৮/১২/৮৪ তারিখের শনিবারে ৭+১৫=২২ দল ডেকেছিল সর্বজনগ্রাহ্য ধর্মঘট। সেই ধর্মঘটে রাজনৈতিক দলের ভেতরে সঞ্চারিত হয়েছিল নতুন আশঙ্কা।

হয়তোবা সেই আশঙ্কাটির নাম গণতন্ত্র। নতুন বছর ১৯৮৫ সাল নিয়ে এলো নতুন বারতা। সঙ্গে হিমালয়ের হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু সারা দেশের মানুষ। বিশেষত উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় শীতের তীব্রতায় মারা গেলেন বেশ কিছু লোক। এমনকি কুয়াশাচ্ছন্ন সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দেশের বিভিন্ন জেলার লোক।

ইতোমধ্যে শীত গিয়ে বসন্ত এলো জেনারেল এরশাদের হৃদয়ে। তিনি একদিন জানালেন ১ মার্চ ১৯৮৫ সালের শুক্রবারে হ্যাঁ-না ভোটের কথা। যথারীতি সেই গণভোটও হলো। গণভোটে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য সরকারি ছুটি পাওয়া। ২১/৩/৮৫ বৃহস্পতিবারের সেই গণভোটে জেনারেল এরশাদ জিতেছিলেন মাত্র ৯৮/২, আমাদের জেনারেল/প্রশাসক/কবি/সত্যিকারেই একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি নিঃসন্দেহে বলা যায়।

তবে গণভোটে অনেকেই না গিয়ে এদিক সেদিক থেকে কথা বললেও সম্মুখসমরে নামেনি আমাদের রাজনীতির কুশীলবরা। তবে পত্রপত্রিকা জানিয়েছিল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার কাঙ্ক্ষিত ভোটের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন। আমি ভোট না দিয়েও খুশি হলাম, আরও বেশি খুশি হতাম তিনি যদি ১০০-তে ১০০ পেতেন। হাজার হলেও তিনি তো রাষ্ট্রপতি। উপরন্তু কবি।

ভোটের মাত্র কিছু দিন পরই গিয়েছিলেন রংপুরে, বিসিকের একটি কাজে পরদিন শুক্রবারে। রংপুর শহরের বিখ্যাত কেরামতিয়া মসজিদ থেকে শুক্রবারের জুমা নামাজ শেষ করে মসজিদের ভেতর থেকে বাইরে আসতেই শুনলাম কতিপয় যুবকের কথা। তারা খুব গর্বের সঙ্গেই রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় বলাবলি করছিলেন_ 'বাহে-হামার দেশের রাজা পেয়ারা ভাই, রাজার একটু আধটু দোষ থাকবেই বাহে' এক, আধটু দোষ সব দেশের রাজা-বাদশাদের থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু এরশাদ সাহেবের থাকবে কেন? কেননা তার তো চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র। কেবা-কারা লিখেছিলেন_ ঢাকার মোহাম্মদপুরের দেয়ালে দেয়ালে।

সেই হ্যাঁ-না ভোটের রেশ কাটতে না কাটতে, পাবনা শহরের পুব দিকের চর ফরিদপুরে হঠাৎ এক চৈত্র-বৈশাখের ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ জন মানুষ নিহত হলেন, ক্ষয়ক্ষতি হলো চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি, মারা গেল অনেক গবাদিপশু। এমনকি পদ্মা নদীর জেলে-মাঝিরা আকস্মিক সেই তাণ্ডবে হারিয়েছিলেন প্রাণ। দিনটি ছিল শনিবার ৩০/৩/১৯৮৫ সাল। সেই সময়ে অনেক রাজনীতিবিদ নিজেদের পূর্বের অপকর্ম ঢাকার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কলাকৌশলে হাত মিলিয়ে হয়েছিলেন মন্ত্রী। কবি রাষ্ট্রপতি ছলনা ধরতে পারেননি মৃদু-মন্দ হাসিমাখা মুখে।

কালো গাউনের সেসব ক্লাউনকে। এমনকি বিখ্যাত জনৈক শ্রমিক নেতা তিনিও লেহ্য-পেয় পেয়ে হয়েছিলেন মন্ত্রী, বিদেশের মাটিতে ঘরবাড়ি বানালেও তখনকার দিনে পরে শোনা যেত, অমুকে মন্ত্রী হয়েই অস্ট্রেলিয়া-ব্রিটেনে বাড়ি বানিয়েছেন। একদিন সেই সুযোগসন্ধানীরা কবি রাষ্ট্রপতিকে অর্ধপতিত করে কেউ কেউ পা রাখলেন বিদেশের মাটিতে, কেউ কেউ ছেড়ে গেলেন তাকে। সেসব সুবিধাবাদী পূর্বে যে দল থেকে এসেছিলেন সেই দলে। তবে বেশ কয়েক বছর পরে।

৫ জানুযারি ১৯৮৬ রবিবারে হঠাৎ করে অর্ধদিবস হরতাল ডাকলেন সেই সময়ের রাজনীতিবিদরা। সেই সময় থেকে এবং একটু একটু করে দলবদ্ধ হতে শুরু হলো গণতন্ত্রের জন্য। আন্দোলনের মাত্রা বাড়তে শুরু করল কিছু দিনের মধ্যেই। তবু অনেকেরই মনে হয়েছিল জনগণ গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে গেলে বাধাগ্রস্ত হবে, হয়েছিল তাই। ইতোমধ্যে সরকারের কাছ থেকে অনেকেই অনেক কিছু পেলেও কিছু কিছু রাজনীতিবিদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে না যেতে পেরে।

১৯৮৭ সালের মার্চ মাসের ১০ তারিখ ছিল মঙ্গলবার, সেই দিন সমগ্র বাংলাদেশে হরতাল পালিত হলো বেলা ২টা পর্যন্ত। উত্তপ্ত সমগ্র দেশ, ঠিক তার পরের দিন ১১ মার্চ রবিবারে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল ঢাকায়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল শাখার নেতা মাহবুবুল আলম বাবলুর মৃত্যু হলো বোমার আঘাতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের ৪২৬ নম্বর কক্ষে। পরের দিন অথবা তার পরের দিন মারা গেল আরও দুজন ছাত্র, বলা যেতে পারে পুনরায় বোমা মারার প্রতিযোগিতা শুরু হলো, অথবা বলা যেতে পারে যাত্রা।

বোমা-গ্রেনেডের প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে, হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ছিল বোমা আর গ্রেনেডের লক্ষ্যবস্তু। তারই ব্যতিক্রম ঘটল বেশ কয়েক বছর, তবে এর আগেও যে বোমাবাজি হয়নি তা নয়। সে প্রসঙ্গ আজ নয়। দিনকয়েক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আতঙ্কিত ছিলেন ধরপাকড় হতাশা নিয়ে। ২০ মার্চ শুক্রবার ঢাকায় ভীষণ ঝড়ে একজন নিহত হলেন।

আমার প্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে 'হাছন রাজা' একজন, শ্রদ্ধেয় হাছন রাজার লেখা গান আমাদের স্কুলজীবনের বাংলা বইয়ে পাঠ্য ছিল ১৯৬৩-৬৪ সালের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান স্কুল টেঙ্ট বোর্ডে। সেই শ্রদ্ধেয় হাছন রাজার বাড়ি দেখতে গিয়ে একটু হতাশ হয়েছিলাম, অতি সাধারণ কয়েকটি টিনের ঘর, সাধারণ আসবাবপত্র, বিসিকের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমানসহ (সিএসসি) সুনামগঞ্জে গিয়েছিলাম। সুনামগঞ্জবাসীর জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পনগরীর জমির সন্ধানে। বিসিক রাস্তার পাশেই জায়গা পেলে, সেই প্রাপ্তির সঙ্গে আরও যুক্ত হাছন রাজার বাড়ির জলযোগ। দিনটি ছিল সোমবার ৩০ মার্চ ১৯৮৭ সালে।

সে বছর ১৪ এপ্রিল শবেবরাত হয়েছিল। আর নববর্ষ ১৫ এপ্রিল। বিসিকের বৈশাখী মেলা শিশু একাডেমিতে উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন ফার্স্টলেডি বেগম রওশন এরশাদ। এপ্রিল গিয়ে মে এসেছিল, এসেছিল রোজার ঈদ, সেই আনন্দ হঠাৎ করে উবে গেল ২৯ মে শুক্রবার, ফরিদপুরের মুকসুদপুরে হঠাৎ করেই উত্তেজনা শুরু হয়েছিল হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে। মাত্র দিন কয়েকের ব্যবধানে ১ জুন সোমবার শুরু হলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ভারতের মিরাটে।

হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের নিরীহ ৩০০ থেকে ৩৫০ জন নিহত হলেন। সেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঢেউ সিরাজগঞ্জে এসে লেগেছিল, লাগিয়েছিল আগুন, দোকানপাটে লুটতরাজ হলো, উভয় সম্প্রদায়ই উত্তেজিত। একদিন প্রশমিত হলেও ইন্ধনদাতাদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল, স্থানীয় লোকজন শুনেছিল জিন্দাবাদের ধ্বনি। সেই ধ্বনি এখন নিয়মিত শুনছি, জিন্দাবাদ ধ্বনি শুনছে সমগ্র দেশের মানুষ। যে ধ্বনিটিকে বারবার ঘৃণা করি, মুছে দিতে চাই, স্তব্ধ করে দিতে চাই আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে অতীতে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব বলে আমার বিশ্বাস।

আমার আরও বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথের গীতবিতানের বিচিত্র বর্ণের একটি গানের বাণীতে। খরবায়ু বয় বেগে চারদিকে ছায় মেখে ওগো নেয়ে নাওখানি বাইয়ো। ... মারো মারো মারো টান হাঁইও। নেয়ে, আমরা আছি আপনার সাথে। কিছু ভাববেন না।

লেখক : কবি

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.