-ভাই আপনি কি বাঙ্গালী? (বাংলাতে বলল লোকটা)
-এক্সকিউজ মি. (ইংলিশে বললাম আমি)
-আপনি কি বাঙ্গালী? (এবার ইংলিশে বলল লোকটা)
-না। কেন? (ইংলিশে বললাম আমি)
-না মানে দেখতে একদম বাঙ্গালীর মত। নাকি মিথ্যে বলছেন? (ইংলিশে বলল লোকটা)
-না আমি বাঙ্গালী না। কি প্রয়োজন সেটা বলেন। (ইংলিশে বললাম আমি)
-না এমনি।
এখানে তো একটা বাঙ্গালী আছে শুনেছিলাম। সে কোথায়? (ইংলিশে বলল লোকটা)
-সে চলে গেছে।
-কেন?
-তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।
- কি অভিযোগ?
- নিজ দেশের লোকদের সে সহানুভূতি দেখায়। তাই সে ট্রান্সপার হয়ে গেছে।
-ও আপনি কোথা থেকে এসেছেন?
-আপনার কি প্রয়োজন? সেটা বলে চলে যান।
-না এমনি ঠিক আছে। যাই।
.............বলেই লোকটা হাটা শুরু করল। আমি চেয়ে রইলাম তার চলার দিকে।
যুদ্ধের সময় এই বাংলার জন্য কত জীবন গেল। আর আমি নির্দিধায় মিথ্যে বললাম। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হল। কিন্তু এছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই। আমি ইউএই তে থাকি।
এখানে আমার কাজটাই হল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমার ডিউটি জোনে যেকোন অঘটন এর জন্য আমিই দায়ী। কিছু বাঙ্গালী আছে যারা বাঙ্গালী শুনলেই অন্যায় আবদার করে বসে। বলে, ভাই আমার একটা ফিলিপিনো মেয়ের সাথে ভালো রিলেশান। আমি তাকে এখানে আনতে চাই।
আপনি যদি সুযোগ দিতেন কিছুটা এনজয় করতে পারতাম। এরকম হাজারো বায়না। আমার বিবেক আমাকে বাধা দেয়। ভিনদেশী হলেও ও একটা মেয়ে। যুদ্ধের সময় ভিনদেশীরা আমাদের মেয়েদের এমন করেছে।
তারা ছিল জানোয়ার। আমি বাঙ্গালী। জানোয়ার নই। নারীকে কিভাবে শ্রদ্ধা করতে হয় আমার জানা আছে। তাই সব বাঙ্গালীকে আমি ভিনদেশী বলি।
আমার কাছে আর কোন উপায় জানা নেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।