আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাছের অভাবে বন্ধ শুঁটকির চাতাল

নওগাঁর আত্রাইয়ে এবার দেশি প্রজাতি মাছের তীব্র সংকটে দিশাহারা হয়ে পড়েছে মৎস্যজীবী ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য বছর এ সময় নদীর পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে জেলেদের জালে ধরা পড়ত দেশি প্রজাতির মাছ। কিন্তু এ বছরের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। আত্রাই উপজেলার বেশির ভাগ শুটকি চাতাল মাছের অভাবে বন্ধ প্রায়। আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন পূর্ব পাশে রয়েছে বিশাল মাছের আড়ৎ।

এই আড়ৎগুলো থেকে প্রতিদিন দেশের ১০ জেলায় মাছ বাজারজাত করা হয়। সেই সুবাদে আত্রাইয়ে গড়ে উঠেছে বিশাল শুঁটকি মাছের চাতাল। এ সময় এলাকার নদী ও খালবিল থেকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ে। এলাকার প্রায় এক হাজার পরিবারের নারী-পুরুষ শুঁটকি মাছের চাতালগুলোতে মাছ কাটা, শুকানো, বাছাই করা, প্যাকেটজাত কাজে তারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এবার তার উল্টোটা হওয়ায় পরিবারগুলোতে নেমে এসেছে হতাশা।

উপজেলার স্টেশনপাড়া, সাহেবগঞ্জ গ্রামের আব্দুল কাদের, সোনা মিয়া বলেন, তারা সৈয়দপুর, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন আড়তদারের কাছ থেকে শুঁটকি সরবরাহ করার শর্তে আগাম দাদন গ্রহণ করেছেন। যদি সময়মত শুঁটকি সরবরাহ করতে না পারেন তাহলে আড়তদারদের সাফ কথা 'শুঁটকি দাও নয়তো ধারের টাকা ফেরৎ দাও। ' এর ফলে যেটুকু মাছের শুটকি তারা তৈরি করছেন তা ওইসব ব্যবসায়ীর কাছে অত্যন্ত কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। শুঁটকি ব্যবসায়ী রাম, মাজেদুল, পচু, গেদা ও ছাত্তার বলেন, ভাই মাছ শুকানো মানেই মানুষ শুকানো। এটা খুব কষ্টের কাজ।

তিন মণ মাছ চাতালে শুকালে এক মণ শুঁটকি হয়। প্রতি বছর এ সময় তারা দেশি মাছের বিশেষ করে পুঁটি, রাইখোর, চান্দা, টাকি, শোল, বোয়াল মাছের শুঁটকি বানিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করে থাকেন। বিশেষ করে সৈয়দপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রাজধানী ঢাকাসহ কিশোরগঞ্জে এসব শুঁটকির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খালবিল দ্রুত পানিশূন্য হওয়ায় মূলত মাছ সংকটের অন্যতম কারণ।

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।