শনিবার চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার আশা কখনোই পূরণ হবে না দাবি করে তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে কোনোদিন আর কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
“কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের জন্য একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি লাগবে। এ নিয়ে বিএনপি প্রস্তাব দিলে আমরা রাজি হব না। আর আমরা প্রস্তাব দিলে বিএনপি রাজি হবে না।
সম্প্রতি রাজবাড়ীতে নির্বাচনপরবর্তী প্রথম সফরে গিয়ে এক জনসভায় খালেদা জিয়া আবারে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আবারো দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানান। ওই জনসভায় তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের অংশগ্রহণের পক্ষে যুক্তিও তুলে ধরেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন করবেন না, তিনি জাতীয় নির্বাচন করেননি।
“উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হয়েছে। বিএনপি তাতে অংশগ্রহণ করেছে।
এতে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তা প্রমাণ হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হয় বলেই উপজেলায় তারা (বিএনপি) বেশি আসন পেয়েছে। ”
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার কথা উল্লেখ করে বিএনপি প্রধানের উদ্দেশ্যে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “৪০ হাজার গাছ কেটে, মানুষ-পুলিশ হত্যা করে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পারেননি, পারবেন না।
“আগে আমাদের মেয়াদ ছিল কম।
এখন মেয়াদ পাঁচ বছর। অর্থনীতির ধ্বংসের জন্য কেউ কর্মসূচি দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেব। ”
তোফায়েল বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ গড়তে চাই। এজন্য সবচেয়ে বড় কাজ হবে চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
“চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন, গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করা, পদ্মা সেতু এবং চট্টগ্রামে রিফাইনারি স্থাপন সরকারের অগ্রাধিকার।
”
চট্টগ্রামে গ্যাসের সরবরাহ সংকট নিরসনে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চেষ্টা করব যাতে চট্টগ্রামের সার কারখানাগুলো বন্ধ না হয়।
বিকালে নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউ মাঠে মেলার মেলার উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রস্ট্রিজের মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম এ লতিফ ও এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।
স্বাগত বক্তব্য দেন মেলা কমিটির চেয়ারম্যান নূরুন নেওয়াজ সেলিম। সুচনা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।