তিন বছরের এই স্থগিত দণ্ডাদেশের পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফুয়াদ তৌফিক ও উপ প্রধান কমিশনার আহমেদ ফাইয়াজের পদ শূন্য ঘোষণা করে ছয় দিনের মধ্যে নতুন দুজনকে নিয়োগ দিতে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মালদ্বীপের জাতীয় নির্বাচনের মাত্র ১২ দিন আগে রোববার সুপ্রিম কোর্ট এই আদেশ দেয়।
তারপরও নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ২২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আদালত সরকারকে সব ব্যবস্থা নিতে বলেছে বলে স্থানীয় ইংরেজি ‘নিউজ পোর্টাল’ হাভেরু অনলাইনের খবরে বলা হয়।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গত বছর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ না করা এবং আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে ৩ হাজারের কম সমর্থক আছে- এমন আটটি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনের চার সদস্যকে তলব করে সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতের নির্দেশনা না মানার পাশাপাশি এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের দেয়া বক্তব্যের কারণে কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করা হয়।
রোববার কমিশনাররা আদালতে হাজির হয়ে নিজেদের অবস্থানের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার ডেপুটিকে ছয় মাসের স্থগিত কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।
এই আদেশের ফলে এখনই তাদের জেল খাটতে হবে না। তবে তিন বছরের মধ্যে তারা আবারো আদালতের আদেশ ভাংলে ওই শাস্তি ভোগ করতে হবে।
মালদ্বীপের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হওয়া মোহামেদ নাশিদ ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত বছর নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের কাছে পরাজিত হন।
আগামী ২২ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ইয়ামিনের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে নাশিদের বিরোধী দলীয় জোটের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।