আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেবা নিশ্চিতে সবার সহযোগিতা চাইলেন প্রধা÷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথম দিনের মতো অফিস করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জনগণের সেবা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য। সেজন্য আমি সবার সহযোগিতা কামনা করি। দেশের সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। মানুষের দরকার নিরাপত্তা। মানুষ নিরাপদে ঘুমাতে চায়। নিরাপদে চলতে চায়। মানুষ নিরাপদে চলতে না পারলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়বে। নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর থাকতে হবে। গতকাল মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা থাকবেই। জনগণের সমর্থন আমাদের আছে। আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশাল কর্মযজ্ঞ। অনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত। শেখ হাসিনা বলেন, সবার সহায়তায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে। তিনি সমাজের স্থিতিশীলতা, শান্তি প্রতিষ্ঠায় অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রধান বাধা হিসেবে অভিহিত করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে কঠোর নজর রাখার নির্দেশ দেন।

চোরাচালান বন্ধে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, চোরাচালানকারী এবং সন্ত্রাসীদের কোনো নির্দিষ্ট ভূ-সীমা নেই। তাই অন্য দেশগুলোর সঙ্গে এ ব্যাপারে দৃঢ় সহযোগিতা গড়ে তোলার মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা বন্ধ করা হবে। তিনি বলেন, অস্ত্র ও চোরাচালান অনেক কমেছে। কিন্তু এটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের নিজেদের বাজার রয়েছে। আমাদের নিজেদের সম্পদ ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে কোনো সমস্যা থাকবে না। আমরা যে কোনো কাজই করি না কেনো, তার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জড়িত। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দাবি আদায়ের জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাসহ সহিংসতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো অত্যন্ত ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। মৌলিক প্রয়োজন পূরণে প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সুফল পেঁৗছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে তার সরকার নির্দিষ্ট গতিতে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে। তাই এ পার্টির দায়িত্ব কোনো ব্যক্তিগত সুবিধা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যতীত দেশের উন্নয়নে কাজ করা। এ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউ মুসতাক বক্তৃতা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.