থাইল্যান্ডে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি রবিবারের নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১০ হাজার সদস্য মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এদিকে নির্বাচন বানচাল করার ঘোষণা দিয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। দেশটির ভঙ্গুর গণতন্ত্রের জন্য এ নির্বাচনকে একটি কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে রাজধানীতে উত্তেজনাও বেড়েছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুভারি বলেন, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে সাহায্য করার জন্য আমরা এরই মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি সেনা সদস্যকে ব্যাংককের ভেতর ও চারপাশে মোতায়েন করেছি। বিক্ষোভকারীদের সমাবেশস্থল ঘিরে আমরা সেনা টহল আরও বাড়াব। কারণ সেখানে লোকজন নৃশংসতাকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। ব্যাংককের ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় ১০ হাজার পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে এবং সেনাদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। নির্বাচন বানচাল করতে ভোটকেন্দ্রগুলো অবরোধ করার হুমকি দিয়েছে সরকারবিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে জানান, এ বিতর্কিত নির্বাচন দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা রাজনৈতিক সহিংসতার অবসান ঘটাতে পারবে বলে মনে হয় না। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক সুনাই ফাসুক বলেন, থাইল্যান্ড এখন একটি নিরবচ্ছিন্ন সংঘাতের রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই সংঘাত অবসানের কোনো ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি না। বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এ ছাড়া চলতি মাসের শুরু থেকে তারা রাজধানীর বেশির ভাগ মন্ত্রণালয় জোরপূর্বক বন্ধ করে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের পদত্যাগের দাবিতে গত নভেম্বর থেকে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দেন ইংলাক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ইংলাক তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত ও নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কথায় দেশ পরিচালনা করছেন। নির্বাচনের আগে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে থাই সরকার ২২ জানুয়ারি থেকে রাজধানীতে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করে। এদিকে জরুরি অবস্থার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে বিক্ষোভকারী এক নেতা আদালতে মামলা করেছেন। একটি সিভিল আদালত গতকাল এই মামলার শুনানি করতে সম্মত হয়েছেন। উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত এই আন্দোলনে ১০ জন নিহত ও ৫৭৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মেডিকেল সেন্টার। এএফপি, আল-জাজিরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।