জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতি, ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ত্রিমুখী অবস্থানের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বেদখলকৃত হল উদ্ধার ও নতুন হল নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। গত রবিবার মহাসমাবেশ থেকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আজ থেকে লাগাতার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিলেও গতকাল তা স্থগিত করেছেন হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও জবি ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম। গতকাল সকালে হলের দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল ও গুলিস্তান-সদরঘাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে পৃথকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে বেদখল হল উদ্ধার ও নতুন হল নির্মাণের দাবিতে গতকাল শহীদ মিনার চত্বর থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিল নিয়ে প্রধান গেটের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় গুলিস্তান-সদরঘাট সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখা হয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট শাখার সামনে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় আশপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা। সমাবেশে হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি জানান, মহাসমাবেশ থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে যে লাগাতার ছাত্র ধর্মঘটের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল তা স্থানীয় এমপি কাজী ফিরোজ রশীদের অনুরোধে স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে শিক্ষক সমিতিও হল উদ্ধার, নতুন হল নির্মাণ ও দুই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে পূর্বঘোষিত আজকের মানববন্ধন, আগামীকালের র্যালি ও ২৬ মার্চের ব্যবসায়ী মতবিনিময় স্থগিত করেছে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস বলেন, শিক্ষার্থীদের লাগাতার ধর্মঘট স্থগিতের পর শিক্ষকরা কোনো কর্মসূচি পালন করবে কিনা সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে হলের দাবি আদায়, শিক্ষক লাঞ্ছনা ও টেন্ডার ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। বিভাগের চেয়ারম্যানকে বন্দুক ঠেকিয়ে লাঞ্ছনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলা এবং সিন্ডিকেটে গ্রেফতার অনুরোধের পর থেকে জবি ছাত্রলীগ তিন নেতাকে অন্যদিকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, নীল দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছে সিরাজুল ইসলাম।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।