সাম্প্রদায়িকতা এবং গণতন্ত্র দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী কথা। তেল এবং জল যেমন মেশে না, তেমনি সাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্রকে এক পাত্রে রাখা অসম্ভব। নিজের সম্প্রদায়কে ভালোবাসা সাম্প্রদায়িকতা নয়, কিন্তু অন্য সম্প্রদায়কে হেয়জ্ঞান করা বা অন্য সম্প্রদায়গুলোকে নিজ সম্প্রদায়ের আধিপত্যের অধীনে আনার চেষ্টা করা সাম্প্রদায়িকতা। তা গণতন্ত্রের শত্রু এবং মানবতারও শত্রু। জাতিপ্রেম বা জাতীয়তাবাদ ভালো, তা দেশপ্রেমের জন্ম দেয়।
কিন্তু অতি জাতীয়তা বা অন্ধ জাতীয়তাবাদ অনিষ্টকর। তা থেকে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়।
গণতন্ত্র বহুত্ববাদী বহুর সহাবস্থান ও সমানাধিকারকে সে স্বীকৃতি দেয়। সাম্প্রদায়িকতায় বহুর সমানাধিকার ও সহাবস্থানের স্বীকৃতি নেই। তারা বহুর গলায় একের আধিপত্যের রজ্জু ঝুলিয়ে দিতে চায়।
তাতে মানবতার বিকাশ রুদ্ধ হয়। সমাজের ভারসাম্য ও শান্তি নষ্ট হয়। ফলে সাম্প্রদায়িকতা-নির্ভর সমাজব্যবস্থা কিংবা রাষ্ট্রব্যবস্থা টেকসই হয় না। এ কথা ধর্মরাষ্ট্র ও তত্ত্বরাষ্ট্র সম্পর্কেও সত্য। বহুকে অস্বীকার করে এক ধর্ম বা এক তত্ত্বের আধিপত্য দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে গেলে তা টেকে না।
সত্তর বছর লৌহকঠিন পর্দায় ঘিরে রেখেও কমিউনিস্ট রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন টিকিয়ে রাখা গেল না। ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন করতে গিয়ে পাকিস্তানের অবস্থা এখন আমাদের সবার চোখের সামনেই বিরাজমান। ভবিষ্যতে পাকিস্তান, ইসরায়েল ইত্যাদি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব না থাকলে আমরা বিস্মিত হব না।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বুঝতে পেরেছিলেন, ধর্মের ভিত্তিতে আধুনিক রাষ্ট্র গঠন করা যায় না। সাম্প্রদায়িকতা কখনো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি হতে পারে না।
তাই তিনি দ্রুত ধর্মীয় দ্বিজাতি-তত্ত্ব থেকে সরে এসেছিলেন এবং ঘোষণা করেছিলেন, এখন থেকে পাকিস্তানে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের কোনো স্বতন্ত্র পরিচয় নেই। তারা পাকিস্তানি নামক এক মহাজাতির অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু এ ঘোষণা প্রদানে তখন বেশ দেরি হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে যে ধর্মরাষ্ট্রের বীজ তিনি পাকিস্তানের রাজনীতিতে পুঁতেছিলেন, তা থেকে মহীরুহ জন্মানো তিনি ঠেকাতে পারেননি। তার মৃত্যুর পর পরই দেশটি প্রথমে ইসলামি রাষ্ট্র, তারপর শরিয়া রাষ্ট্র এবং পরবর্তীতে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার দিকে দ্রুত অগ্রসর হয়।
সংঘাত, সংঘর্ষে দেশটি এখন ভাঙনের মুখে। উপমহাদেশের মুসলমানদের হোমল্যান্ড গঠনের নামে এ রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠা। এখন সেখানে মুসলমানেরাও অবিভক্ত সমাজ নয়। শিয়া, আহমদিয়া সম্প্রদায়গুলোকে অমুসলিম ঘোষণা করে সেখানে সুনি্নদের একাধিপত্য কায়েমের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ তার সামাজিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয়কে এড়াতে পেরেছে।
যথাসময়ে পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হওয়ার ফলে। বাঙালির অসাম্প্রদায়িক লোকসংস্কৃতি, ভাষা এবং রাজনীতি তাকে রক্ষা করেছে। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতির ভিত্তি ছিল উদার মানবতা। বারবার তাতে প্রচণ্ড আঘাত এসেছে, কিন্তু তার ভিত্তি টলাতে পারেনি। বাঙালি মুসলমানের রাজনৈতিক বিকাশ অসাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে।
মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রথমে বাংলাদেশে বা বাঙালি মুসলমানের মধ্যে ঠাঁই পায়নি।
গত শতকের গোড়ায় এ কে ফজলুল হক বাঙালি মুসলমানের যে রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলেন তার নাম কৃষক প্রজা পার্টি। তাতে সব ধর্মমতের মানুষের মিলন ঘটেছিল। ত্রিশের দশকে ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির হাতে জিন্নাহর মুসলিম লীগের শোচনীয় নির্বাচনী বিপর্যয় ঘটে। অবিভক্ত বাংলার রাজনীতিতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, ফজলুল হক, সুভাষ বসু, শরৎ বসু প্রমুখের মতো অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্বের আবির্ভাবের ফলে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প কখনোই হয়তো ঢুকতে পারত না।
যদি তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকেরা তাদের 'ডিভাইড অ্যান্ড রুল' নীতি সফল করার জন্য সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পক্ষে প্রত্যক্ষ ভূমিকা গ্রহণ না করত। কংগ্রেসের একশ্রেণীর হিন্দু নেতৃত্ব কৃষক প্রজা পার্টি ও ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে এবং ফজলুল হকও সেই ট্রাপে পা দেন। তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগের সঙ্গে অবিভক্ত বাংলায় কোয়ালিশন সরকার গঠন করেছিলেন।
ফজলুল হকের কাঁধে পা রেখে অবিভক্ত বাংলার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা লাভের পর জিন্নাহর মুসলিম লীগ ব্রিটিশ শাসকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফজলুল হককে ঝেড়ে ফেলে দেয়। প্রাদেশিক আইন পরিষদে ফজলুল হকের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন ব্রিটিশ গভর্নর স্যার জন হার্বার্ট হক মন্ত্রিসভাকে অবৈধভাবে বরখাস্ত করেন এবং খাজা নাজিমুদ্দিনের নেতৃত্বে মুসলিম লীগ মন্ত্রিসভাকে ক্ষমতায় বসতে দেন।
অবিভক্ত বাংলায় মুসলিম লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালেই ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট কলকাতায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। তা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয় এবং ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
এ ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি উপমহাদেশের মানুষের জীবনে শান্তি আনতে পারেনি, কোনো সমস্যা দূর করতেও পারেনি। বরং সমস্যার পর সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্ম দিয়েছে। যে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল মুসলমানদের নিরাপত্তা ও তাদের হোমল্যান্ড সৃষ্টির জন্য, সেই পাকিস্তানে এখন প্রতিদিন মুসলমান সন্ত্রাসীদের হাতে অসংখ্য নিরীহ মুসলমান নরনারী নিহত হচ্ছে এবং রাওয়ালপিন্ডির লাল মসজিদের মতো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ পাকিস্তানের মুসলমান সৈন্যরা বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে।
অথচ যেসব দেশে রাজনীতির ভিত্তি অসাম্প্রদায়িক এবং এ রাজনীতির বিকাশে গণতন্ত্রের ভূমিকা রয়েছে, সেসব দেশে সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদী বা গোত্রগত সমস্যা থাকলেও ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে নাগরিকেরা সমান অধিকার ভোগ করে এবং তাদের ধর্মস্থানগুলো নিরাপদ। লন্ডনসহ ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে মুসলমানদের মসজিদের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। লন্ডনে যেসব এলাকা থেকে ইহুদিরা অন্য এলাকায় সরে যাচ্ছে, সেসব এলাকায় (যেমন হোয়াইট চ্যাপেল বা টাওয়ার হ্যামলেটস) তারা তাদের ধর্মগৃহ বা সিনাগগ মুসলমানদের কাছে বিক্রি করছে।
মুসলমানেরা সেগুলোকে মসজিদে রূপান্তর করেছে।
তা নিয়ে কোনো বিবাদ বিসম্বাদ নেই। অথচ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এমনকি ভারতে এই মন্দির মসজিদ গির্জা নিয়ে বিবাদের অন্ত নেই। দাঙ্গা-হাঙ্গামার শেষ নেই। এই দাঙ্গায় অসংখ্য নিরীহ নরনারীর প্রাণ যায়।
দেশের রাজনীতি অসাম্প্রদায়িক হলে এবং সেই রাজনীতিতে গণতন্ত্রের ভূমিকা থাকলে এ দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটতে পারে না। বরং ইউরোপের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মতো বিভিন্ন ধর্মবর্ণের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সহযোগিতা নিশ্চিত হতো।
গণতন্ত্র যদি কোনো দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি হয় তাহলে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি সে দেশে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে না। কিন্তু রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণতন্ত্রের কোনো ভূমিকা না থাকলে সে দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি গণতন্ত্রকে গ্রাস করবেই। পাকিস্তানের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি ছিল ধর্ম, গণতন্ত্র নয়, ফলে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েও জিন্নাহ পারেননি।
সাম্প্রদায়িকতার শিকড় থেকে তৈরি হয়েছে ধর্মান্ধতা এবং ধর্মান্ধতা গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।
পাকিস্তানের ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা ভিত্তিক রাষ্ট্রকাঠামো থেকে বের হয়ে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাই বাংলাদেশ গঠনে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি (সেকুলারিজম) ও গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। সামরিক ও স্বৈরাচারী শাসকেরা ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্রের ভূমিকা যাতে না থাকে, সে জন্য প্রথমেই রাষ্ট্রীয় চার আদর্শের একটি ধর্মনিরপেক্ষতাকে দেশের সংবিধান থেকে মুছে ফেলেন। গণতন্ত্র কথাটি তারা বাদ দেননি। কারণ, তারা জানতেন ধর্মনিরপেক্ষতা বা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিই হচ্ছে গণতন্ত্রের ভিত্তি।
এই অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বাদ দিলে গণতন্ত্র এমনিতেই তার শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তাকে আর উপড়ে ফেলতে হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে যে সংকট ও সংঘাত, তা এই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সমাজ রক্ষার সংকট। গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রের মুখোশ ধারণ করে অনবরত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত করছে। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রচারটা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বা ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে।
ধর্মনিরপেক্ষতাকে তারা ধর্মহীনতা বলে মিথ্যা প্রচার করছে। অথচ আধুনিক ইতিহাসের শিক্ষাই হচ্ছে, ধর্মনিরপেক্ষতা বা ধর্মগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ ও বৈষম্য সৃষ্টি না করাই হচ্ছে সব ধর্মের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা।
বাংলাদেশে গত ৫ জানুয়ারি যে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে তাকে কেন্দ্র করে বলা হচ্ছে, এ নির্বাচন গণতন্ত্রসম্মত হয়নি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এ নির্বাচনে মানা হয়নি। আসলে এমন এক অশুভ শক্তি জোটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বারবার আঘাত খাওয়া দুর্বল গণতন্ত্রকে লড়াই করতে হয়েছে যে তাকে এ নির্বাচনে অশুভ এবং গণতন্ত্রবিরোধী জোটের বিরুদ্ধে আত্দরক্ষার জন্য দুই পা পিছিয়ে, নিয়মরীতির কিছু ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্বাচনটি সারতে হয়েছে।
তাতে আসলে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং গণতন্ত্রই আখেরে রক্ষা পেয়েছে। যদি তা না হতো, ব্যাকরণ শুদ্ধিসহ নির্বাচন করতে গেলে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং পশ্চাৎমুখী মৌলবাদের জোটের জয় হতো। আমাদের সুশীল সমাজের একটা বড় অংশ কীভাবে এসব কথা বিবেচনা না করে 'বিশুদ্ধ গণতন্ত্রের' নামে এ অশুভ জোটকে সমর্থন দিতে গিয়ে যে গাছের ডালে তারা বসে আছেন, সেই ডালই কাটতে উদ্যত হয়েছিলেন তা আমি জানি না।
বাংলাদেশ এখন একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। যদি দেশটিতে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা পায়, তাহলে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও দেশ গঠনে গণতন্ত্রের ভূমিকাও থাকবে।
অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ছাড়া যেমন গণতন্ত্র কোনো দেশে ভূমিকা রাখতে পারে না, তেমনি গণতন্ত্র ছাড়া কোনো দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা ও বিকাশও সম্ভব নয়। বাংলাদেশে যদি সাম্প্রদায়িকতা ও হিংস মৌলবাদের উত্থান ঠেকাতে হয়, তাহলে গণতন্ত্রের হাতিয়ারটিতে ভালোভাবে শান দিতে হবে। বাহাত্তরের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে পুরোপুরি ফিরে যেতে হবে। সাম্প্রদায়িক ও বিভক্ত সমাজের বদলে দেশটিতে গণতান্ত্রিক ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ বাঁচবে, দক্ষিণ এশিয়ায় 'টাইগার' হিসেবে মাথা তুলতে পারবে।
অন্য আর কোনো পথে তা সম্ভব নয়।
লন্ডন ১০ মার্চ সোমবার, ২০১৪
লেখক : সাংবাদিক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।