ব্লগ লিখার মত অনেক টপিকস মাথায় আসে, কিন্তু লিখতে ইচ্ছা করে না... তবে কমেন্ট করতে ভাল লাগে... >> সমাজের তথাকথিত শিক্ষিতজনেরা আজ যখন নিচুস্তরের প্রাণীর ন্যায় আচরন করে অর্থাৎ
যখন জনগণের টাকায় পড়ালেখা শেষে কোন চিকিৎসক টাকা না পাওয়ায় একজন দরিদ্র রোগীর মারা যাওয়ার কারণ হয়,
অথবা একজন সরকারী কর্মকর্তার দূর্নীতি যদি দারিদ্রপীড়িত কোন এলাকার কিছু লোকের মারা যাওয়ার কারণ হয়,
অথবা সমাজের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির বাসায় যখন কাজের ছেলে-মেয়ের উপর অমানষিক অত্যাচার চালানো হয় , তখন তার প্রতিবাদে আপনি কি নিজেকে 'অশিক্ষিত' বলে গালি দিবেন ? এই অনাচারের প্রতিবাদে কি সাংবিধানিকভাবে দেশের 'শিক্ষা ব্যবস্থা' রহিত/বদল করে দিবেন ?
>> অথবা যখন কোন মানুষ চুড়ান্ত অমানবিকতা প্রদর্শন করে তখন এর প্রতিবাদে আপনি কি নিজেকেই অমানুষ বলে গালি দিবেন ?
>> যখন কোন পুরুষ/নারী অন্য কোন নারী/পুরুষের সাথে কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার করে/লাম্পট্যের পরিচয় দেয় তখন এর প্রতিবাদে আপনি কি নিজেকে পুরুষ/নারী বলতে অস্বীকার করবেন ?
>> যখন কোন বাবা/মা নিজের অবৈধ সম্পর্কের পথ সুগম করতে নিজ সন্তানকে হত্যা করে তখন এর প্রতিবাদে আপনি কি নিজে বাবা/মা হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন ?
>> যখন দেশের শাসন ব্যবস্থা আপনার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তখন এর প্রতিবাদে আপনি নিজেই কি অপরাধের পথে পা বাড়াবেন ?
এই কি সব সমস্যার সমাধান ? যদি আপনি তাই মনে করেন তাহলে আমার কথা এখানেই শেষ।
আর যদি আপনি বিশ্বাস করেন এই অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিৎ, তাহলে আমার একটা প্রশ্নের জবাব দিয়ে বাধিত করুন ? যারা ধর্মের নামে অধর্ম করে তাদের এই কুকর্মের প্রতিবাদে আপনি নিজের ধর্মবিশ্বাস গোপন করবেন/ নিজের ধর্মবিশ্বাসের কথা বলতে লজ্জাবোধ করবেন/ নিজেকে ধর্মহীন বলে প্রচার করবেন? এটাই কি এর সমাধান ?
আজ আমার প্রতিবাদ 'সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা' বিষয়ে। নিজ ধর্মবিশ্বাসে যারা উগ্রপন্থী তাদেরকে আমরা সাম্প্রদায়িক বলে থাকি। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক কাকে বলব? যিনি নিজ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ধর্মের নামে নিজ ধর্ম-বহির্ভুত কাজের প্রতিবাদ জানাবেন তাকে নাকি যিনি নিজ ধর্মের প্রতি উদাসীন হয়ে পরধর্মকেই অগ্রাধিকার দেন তাকে ? অসাম্প্রদায়িক বলতে যদি নিজ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ধর্মের নামে নিজ ধর্ম-বহির্ভুত কাজের প্রতিবাদ জানানো হয় তবে নিজ ধর্মের প্রতি উদাসীন হয়ে পরধর্মকেই অগ্রাধিকার দেয়াকে আপনি কি বলবেন ? বাস্তবতা বলছে, নিজ ধর্মের প্রতি উদাসীন হয়ে পরধর্মকেই অগ্রাধিকার দেয়াই অসাম্প্রদায়িকতা। তাহলে অসাম্প্রদায়িকতা কিভাবে সমর্থনযোগ্য হতে পারে ? মূলতঃ 'সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা' বিতর্কের লক্ষ্যই হলো ধর্মকে হেয় করা।
মানুষকে 'ধার্মিকতা-অধার্মিকতা' বিষয়ে সন্দীহান করে তোলা এবং অধর্মের পথে পরিচালিত করা। যদি আপনি জানতে চান অধার্মিকতা কি তাহলে আগে জানুন ধার্মিকতা কি। ধার্মিকতা হলো নিজ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ধর্মের নামে নিজ ধর্ম-বহির্ভুত কাজের প্রতিবাদ করা, এর বাইরে সবই অধার্মিকতা। এখন আপনার কাজ আপনার ধর্মকে জানা, আর শুধুমাত্র এপথেই আপনি অধর্মকে জানতে পারবেন এবং নিজেকে অধর্মের পথ থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
আমি সাম্প্রদায়িক বা অসাম্প্রদায়িক হতে চাই না, ধার্মিক হতে চাই।
আপনি কি হতে চান তার সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে।
copyright: http://www.facebook.com/wrongbaaz ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।