আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কে সাম্প্রদায়িক, আর কে অসাম্প্রদায়িক?

এই খবরটি বিভিন্ন দৈনিকে দিন দুয়েক আগে প্রকাশিত হয়েছে। আর তাতে মনে হয়েছে রাজনীতির লেজুর বৃত্তিতার জন্য ভাড়া খাটা বুদ্ধিজীবিরা কতটা নীচে নামতে পারে। প্রতিবাদীদের ভাষায় যারা সাম্প্রদায়িকতার দোষে অসাম্প্রদাযিকতাকে তুঙ্গে রাখতে চেয়েছেন তারা কেন রাষ্ট্রধর্ম মেনে নিয়ে লেজ গুটিয়ে বসে পড়লেন? আবার তাদের মধ্যে রামেন্দু মজুমদার, কাজী আরিফ, গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর এবং সাংসদ তারানা হালিম ২০১০ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসে সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা শুরুকালে কোরান তেলাওয়াত ও গীতাপাঠ করার কারণে স্থানীয় একটি পত্রিকায় সমালোচনা করায় ওইসব অসাম্প্রদায়িক প্রতিবাদীদের মন খারাপ হয়েছিল। আসলে ওরা কি অসাম্প্রদায়িক? খবর : শহীদ মিনারে প্রতিবাদ কর্মসূচির বিরুদ্ধে কবি-লেখক-শিল্পীদের বিবৃতি ঈদের দিন শহীদ মিনারে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালনের বিরোধিতা করে কবি-লেখক-শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা একটি বিবৃতি পাঠিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেছেনÑ প্রত্যেকেরই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে।

কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক। ঈদের মতো একটি ধর্মীয় উৎসবের দিনে শহীদ মিনারে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা ঠিক হয়নি। বিবৃতি প্রদানকারীদের মধ্যে আছেনÑ সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, চিত্রকর কাইয়ূম চৌধুরী, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ড. সামসুজ্জামান খান, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, চিত্রকর হাশেম খান, কবি মহাদেব সাহা, কবি নির্মলেন্দু গুণ, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস, ভাস্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী, কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফ, গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর, নাট্যকার মান্নান হিরা, আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ, নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরীসহ আরও অনেকে। তবে আন্দোলনের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-জনতা পরিষদের সদস্য সচিব ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, আমরা কেউ রাজনৈতিক কর্মী নই। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী।

তাই অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরা জনসাধারণের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিবাদী অবস্থান করেছি। আমরা কোনও উৎসব করিনি। ঈদের উৎসবকে বিসর্জন দিয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তার দাবিসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তারা আমাদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাইছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.