শনিবার ৮১ উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে বসে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছিলেন।
বিকালে ভোটগ্রহণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে বলেন, “গত দুটি নির্বাচন থেকে আজকের নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যক ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালেট পেপারে সিলমারার ঘটনা ঘটেছে।
“জবর দখলের মতো জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নিতেই এভাবে ভোটকেন্দ্র দখলের তারা মহোৎসব করেছে।”
ভোটকেন্দ্র দখলের প্রতিটি ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে জানানোর পরও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
ভোটের শুরু থেকে বিএনপি অনিয়মের অভিযোগ করে আসছিল। এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ঢালাও অভিযোগ না করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করতে বলেন।
বিএনপির অভিযোগ, ফেনীর দাগনভূঞা, বরিশালের মুলাদী ও বাবুগঞ্জ, নড়াইলের লোহাগড়া, রাজশাহীর দুর্গাপুর, চারঘাট, বাগেরহাটের সদর, মংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, নেত্রকোনার সদর, যশোরের মনিরামপুর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম, শরীয়তপুর সদর, পিরোজপুর সদর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কুড়িগ্রাম সদর, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে।
রিজভী বলেন, “আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, এসব করে কোনো লাভ হবে না। বাতাসে বারুদের পোড়া গন্ধের মধ্যেও কিভাবে মানুষের পক্ষে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করতে হয়, বিএনপি সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।