তৃতীয় দফায় উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস ও সহিংসতা চালিয়ে ভোটকেন্দ্র দখলের মহোৎসব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৮১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এর দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা নির্বাচনের নানা অনিয়ম তুলে ধরেন। সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেনাবাহিনীকে উপজেলা নির্বাচনে স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হলেও তাদের ভোট কেন্দ্রে গোলযোগ দমনে কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। র্যাব-পুলিশ-প্রশাসনের কাছে সব ক্ষমতা।
সেজন্য ওই প্রশাসন সরকারের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছে। রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা সরকারি সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় কীভাবে ব্যালট বাঙ্ ছিনতাই করে সিল মেরেছে তা দেশের জনগণ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কল্যাণে দেখতে পেয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফেনীর দাগনভূঞা, বরিশালের মুলাদী ও বাবুগঞ্জ, নড়াইলের লোহাগড়া, রাজশাহীর দুর্গাপুর ও চারঘাট, নেত্রকোনা সদর, বাগেরহাট সদর, মংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, যশোরের মনিরামপুর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, শরীয়তপুর সদর, পিরোজপুর সদর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কুড়িগ্রাম সদরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরেছে। ক্ষমতাসীনরা স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে এসব অনিয়ম করেছে। নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করলেও এসব এলাকায় ভোটগ্রহণ স্থগিত বা অন্য কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, জনগণের ওপর নির্যাতন অব্যাহত রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনসংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের পরিবর্তে ডাকাত দলের সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তাই তাদের সব ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে দুর্বৃত্তপনা দেখা যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। সরকার দেউলিয়াত্বের সর্বশেষ স্তরে পৌঁছে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন সন্ত্রাস আর গুণ্ডামির ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে।
তারা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চায় না। কারণ, তাদের জনগণের প্রয়োজন নেই। উপজেলা নির্বাচনে নির্লজ্জ ভোট ডাকাতি এর প্রমাণ। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহীন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।