ভোলা জেলা শহর থেকে সড়কপথে চরফ্যাশন উপজেলা সদর হয়ে কচ্ছপিয়া পর্যন্ত ২৫ কিমি. ভ্রমণ ও নদীপথে আরও ১০-১৫ কিলোমিটার ভ্রমণ করে পৌঁছানো যায় চর কুকরীমুকরী। বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপজেলা ভোলার মূল ভূখণ্ড থেকে দক্ষিণে মেঘনা নদী পার হয়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চর কুকরী-মুকরীর অবস্থান। দ্বীপের পূর্বদিকে প্রমত্তা মেঘনা ও শাহাবাজ চ্যানেল। দক্ষিণাংশে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বুড়াগৌরাঙ্গ এবং মেঘনার মিলনস্থল। চর কুকরী-মুকরীকে দ্বীপকন্যাও বলা হয়ে থাকে।
ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, বন্যপ্রাণী আর সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে সৌন্দর্যের এক বর্ণিল উপস্থিতি যা প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ বছরের পুরনো এ চরে আজও সভ্যতার ছোঁয়া লাগেনি।
বঙ্গোপসাগরের কূলে মেঘনা-তেঁতুলিয়ার মোহনায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা বিশাল বনাঞ্চল বেষ্টিত এ দ্বীপে বিচরণ করে অসংখ্য হরিণ, গরু-মহিষ,বানর এবং নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী। চর কুকরীতে যাওয়ার পথে বিস্তৃত বনায়ন মাঝেমধ্যে চিতাবাঘেরও উপস্থিতি টের পাওয়া যায় এ দ্বীপকন্যার বুকে। এখানে নিরাপদ নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা, হোটেল-মোটেলসহ আধুনিক পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে তা কুয়াকাটার চেয়েও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হতে পারে।
এর পাশাপাশি চর পাতিলা ও ঢালচরও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পৃথক দুটি দ্বীপ। এখানেও শীতের সময় বিভিন্ন প্রজাতির পাখিসহ হরিণ, বালিহাঁস মানুষের মন জুড়ানো পরিবেশের সূচনা করে। সম্প্রতি ওটঈঘ চর কুকরী মুকরীকে বিশ্ব জীব -বৈচিত্র্যের স্থান হিসেবে চিহ্নিত করে।
প্রায় ৪৫০ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে প্রমত্তা মেঘনার মোহনায় এ ভূখণ্ডের পত্তন ঘটে। কথিত আছে পত্তনের পর প্রথম দিকে এ চরে কুকুর আর ইঁদুরের প্রভাব ছিল খুব বেশি।
ইঁদুরের আরেক নাম মেকুর, আর তা থেকে এ চরের নামকরণ করা হয় 'চর কুকরীমুকরী'। যেভাবে যেতে হবে ভোলা সদর থেকে গাড়িযোগে ১০০ কিমি. পাড়ি দিয়ে কচ্ছপিয়া পৌঁছে সেখান থেকে পুনরায় ৩০ কিমি. নৌকা-ট্রলার বা স্পিডবোটে মেঘনা নদী অতিক্রম করে এ দ্বীপে পৌঁছাতে হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।