মালয়েশিয়ার নিখোঁজ হওয়া বিমান পাইলটের শেষ কথা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ফ্লাইটের ককপিট থেকে 'ঠিক আছে, শুভরাত্রি'- বক্তব্যটি আদৌ পাইলটের ছিল কিনা তা নিয়ে নতুন করে সন্দেহ দানা বাঁধছে। অন্যদিকে ওই বক্তব্যকে সূত্র ধরে বিমান নিখোঁজের পেছনে পাইলটদের হাত থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা।
মালয়েশিয়ার নিখোঁজ হওয়া বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর বিমানটির যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার পরই ফ্লাইটের ককপিট থেকে কেউ একজন শান্তভাবে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে শেষ কথা বলেন। কিছুটা অস্পষ্ট সেই বার্তাটি ছিল ‘ঠিক আছে, শুভরাত্রি।
’ উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন, তাঁর প্রথম সহকারী নাকি ককপিটে তাঁদের সঙ্গে থাকা অন্য কেউ এ কথাগুলো বলেছিলেন, তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
তদন্তকারীরা বলছেন, বিমানটির যোগাযোগের দুটি ব্যবস্থা ১৪ মিনিটের ব্যবধানে একে একে বন্ধ হয়ে যায়। দৃশ্যত এগুলো পরিকল্পিতভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ৭ মার্চ দিবাগত রাত একটা সাত মিনিটে বিমানের ‘ডেটা রিপোর্টিং সিস্টেম’ এবং একটা ২১ মিনিটে ট্রান্সপন্ডার (বেতারবার্তা পাঠানোর যন্ত্র) বন্ধ হয়ে যায়। এখানে পাইলট নিজে সরাসরি যুক্ত নাকি তাকে বাধ্য করা হয়েছে সেটিও একটি প্রশ্ন।
আর যদি বাধ্য করা হয় তাহলে তারা কারা? কারণ, কেউ বিমান ছিনতাই করলে তার একটা উদ্দেশ্য থাকে। জঙ্গি হামলায় বিমানকে ব্যবহার বা আরোহীদের জিম্মি করে কোন দাবি আদায়ের বিষয় জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সন্ত্রাসি গোষ্ঠী বিমান ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করেনি।
এপি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল রবিবার মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা বিমানটির পাইলটদের দিকেই নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহের তীর ছুড়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, বিমানের ককপিট থেকে বলা শেষ কথাটি পাইলটদের যেকোনো একজনের হতে পারে।
উড়োজাহাজটির পাইলট হিসেবে ছিলেন ৫৩ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন জাহারি আহমেদ শাহ। জাহারির প্রথম সহকারী পাইলট হিসেবে ছিলেন ফারিক আব হামিদ (২৭)।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ৭৭৭-২০০ইআর উড়োজাহাজটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে ৭ মার্চ দিবাগত রাতে নিখোঁজ হয়। কুয়ালালামপুর থেকে যাত্রার এক ঘণ্টা পর উড়োজাহাজটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।