প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে রেন্টাল, কুইক রেন্টালগুলোর প্রয়োজন থাকবে না। তিনি আরও বলেন, 'রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের চাহিদা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু এ নিয়ে এত কথার রহস্য কী, আমি বুঝতে পারছি না। আপনারা চাইলে আজই এটা বন্ধ করে দিতে পারি। তাতে কী অবস্থা হবে? আসলে কেউ ব্যবসা চেয়েছেন, পাননি। সে জন্যই এত দুঃখ, এত ব্যথা। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল নিয়ে যখন এত কথা তাহলে কালই বন্ধ করে দিই?' জাতীয় সংসদে গতকাল সরকারদলীয় এমপি বাহাউদ্দিন নাছিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাহাউদ্দিন নাছিম জানতে চান- রেন্টাল, কুইক রেন্টালের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা হবে কি না? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিদ্যুতের এমন অবস্থা করে দিয়েছিল, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। বিদ্যুতের জন্য তখন এক ধরনের হাহাকার ছিল। তখন জেনারেটরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য মানুষ ৩০-৩৫ টাকা খরচ করত। আমরা সে অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছি। লোডশেডিং কমিয়ে এনেছি।' তিনি আক্ষেপ করে বলেন, 'আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, সমস্যা জিইয়ে রাখতেই যেন সবাই পছন্দ করেন। অনেকেই সুখ পেলে দুঃখের দিনের কথা ভুলে যান। এ বিদ্যুৎ দিয়ে এসি চালিয়ে তারা আমাদের সমালোচনা করেন। কেউ হয়তো ব্যবসা পাননি, সে জন্য তাদের এত জ্বালা। আমরা ৬২ থেকে ৬৪ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারছি। এটাকে আমরা শতভাগে উন্নীত করতে চাই।' শেখ হাসিনা বলেন, 'যখন প্রথম ক্ষমতায় আসি, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিলাম। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে উৎপাদন ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে নেমে আসে। কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সময় দেখি, বিদ্যুতের জন্য চারদিকে হাহাকার। প্রতিদিন মিছিল হতো, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আক্রমণ হতো। আমরা কী করতে পারতাম? দ্রুত উৎপাদনে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। এখনো রেন্টাল-কুইক রেন্টালগুলো কাজে লাগছে না, তা তো নয়। মানুষ সুখ পেলে দুঃখের দিন ভুলে যায়।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।