ময়মনসিংহের ভালুকায় অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটককৃত সন্দেহভাজন জিতু ও আল-আমিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ ও ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় গতকাল ভালুকা মডেল থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ত্রিশালে এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে আটককৃতরা জড়িত বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। তবে উভয় পুলিশই এ অভিযানে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভালুকা উপজেলার মুন্সীরভিটা নামক এলাকার একটি বাসায় যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই বাসা থেকে একটি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড তাজা গুলি, গান পাউডার, সুইচ বোর্ড, কাটার ও বোমা তৈরির ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে জানান, জিতু ও আল-আমিনকে ভালুকা থেকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বোমা তৈরির এসব সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে গতকাল দুপুরে তিনি জানান, দুই জেএমবি সদস্য জিতু ও আল-আমিনকে ঢাকা থেকেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করে। পরে তাদের নিয়ে এসে ভালুকায় যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
তিনি জানান, আটককৃত জিতু ও আল-আমিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ত্রিশাল থেকে ৩ জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, আটককৃত জিতু ও আল-আমিন ত্রিশালে ৩ শীর্ষ জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার আগের দিন ভালুকার এ বাসাতেই অবস্থান করেন। জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি ছিনতাইয়ে ৬ মাস আগে পরিকল্পনা করে বলে জানিয়েছে। জিতু এর আগে একটি মামলায় ৭ বছর জেল খেটেছে।
এদিকে, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল সকালে ভালুকা মডেল থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম। এ মামলায় আল-আমিন, জিয়াউল ইসলাম জিতু, হাতিয়া নোয়াখালীর মইনুদ্দিনের ছেলে আজমীর (২৮) ও ঝালকাঠির গোলাম সারোয়ার রাহাতকে (২৯) আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জেএমবির দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ সদস্য সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন, রাকিব হাসান ও বোমারু মিজানকে প্রিজন ভ্যানে করে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহ আদালতে আনার পথে ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় জেএমবির সশস্ত্র ক্যাডাররা এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা করে তাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।