http://www.somewhereinblog.net/blog/shovan13/29747984
মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণার উত্স ছিল সঙ্গীত। সঙ্গীতের বাণী আর সুর যুদ্ধরত সেনাদের মনে যুগিয়েছে শক্তি। দেশের অভ্যন্তরে আটক দেশবাসীর মনে জাগিয়েছে যুদ্ধ জয়ের সম্ভাবনার মন্ত্র। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে অকুতোভয় মুক্তিসেনারা। শত্রুব্যূহ করেছে ছিন্নভিন্ন।
নিধন করেছে শত্রুদের। সেই নিধনযজ্ঞে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের মনে এই সাহসের নেপথ্যে ছিল দেশপ্রেমমূলক গান। সেইগান গুলো কারা গেয়েছেন কারাইবা সুর করেছেন কারা লিখেছেন চলুন দেখি
১। মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি >>এইগানটি শোনেন নাই এমন লোক বাংলাদেশে মনে হয় নাই এই জ্বালাময়ী গানটির গীতিকার গোবিন্দ হালদার , সুর করেছেন আপেল মাহমুদ গেয়েছেন আপেল মাহমুদ
২।
শোন একটি মুজিবরের হতে লক্ষ মুজিবর >>এইগানটির গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর করেছেন সমর দাস আর শিল্পী ছিলেন আংশুমান রায়
৩। হাজার বছর পরে / সাড়ে সাত কোটি মানুষের আরেকটি নাম >>এই ২ টি গানের গীতিকার শ্যামল গুপ্ত সুর করেছেন বাপ্পি লাহিড়ী আর শিল্পী ছিলেন আব্দুল জব্বার
৪। তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিবরে >>এই গানটির সুরকার এবং শিল্পী হলেন আপেল মাহমুদ
৫। নোঙর তোল তোল >>>>এই গানটির গীতিকার নইম গহর সুরকার ছিলেন সমর দাশ গানোটি সমবেত কন্ঠে গাওয়া হয়েছিলো
৬। রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি বাংলাদেশের নাম>>গীতিকার আবুল কাশেম স্বন্দীপ ার সুর করেছেন সুজেয় শ্যাম এই গানটি ও সমবেত
৭।
পূরবদিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল >> গীতিকার গোবিন্দ হালদার আর সুরকার ছিলেন সমর দাশ এইটাও সমবেত সংগীত
৮। জয় বাংলা বাংলার জয় >>>এইগানটির গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর সুর দিয়েছেন আনোয়ার পারভেজ
৯। সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা>> এইগানটির গীতিকার আব্দুল লতিফ সুরকার আব্দুল লতিফ এটি সমবেত সংগীত
১০। সালাম সালাম হাজার সালাম >> এইগানটির গীতিকার ফজলে খুদা শিল্পী মুহাম্মদ আবদুল জব্বার সুরকার খুজে পেলাম না কেউ জানলে জানাবেন দয়া করে
১১। জন্ম আমার ধন্য হল মাগো >> গীতিকার নইম গহর সুরকার আজাদ রহমান শিল্পীর নাম পেলাম না
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে রেকর্ড করা হয়েছে দেশাত্মবোধক গান।
বাংলাদেশের গীতিকার গান লিখেছেন। গান লিখেছেন পশ্চিম বাংলার গীতিকার। সেই গানে সুর দিয়েছেন বাংলাদেশের সুরকার, গেয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। কণ্ঠ দিয়েছেন পশ্চিম বাংলার শিল্পী। বিদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী কনসার্ট।
বিশ্বখ্যাত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার অংশ নিয়েছেন সেই কনসার্টে। বিটল শিল্পী জর্জ হ্যারিসন ভারতের বিখ্যাত সেতার শিল্পী পণ্ডিত রবিশঙ্করের অনুরোধে আয়োজন করেছেন ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ কনসার্ট। এই আসরে যোগ দিলেন স্পেনের রিংগো স্টার ও লিওন রাসেল, বিখ্যাত পপ গায়ক বব ডিলান, যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের গায়িকা জোয়ান ব্যাজ, শিল্পী এরিক ক্ল্যাপটন, ভারতের সেতার শিল্পী পণ্ডিত রবিশঙ্কর, সরোদ শিল্পী ওস্তাদ আলী আকবর খান ও তবলা শিল্পী আল্লারাখা। এতে পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও ওস্তাদ আলী আকবর খান বাজিয়েছিলেন যুগলবন্দি ‘বাংলাদেশ ধুন’, বব ডিলান পরিবেশন করেন ছয়টি গান, জোয়ান ব্যাজ নিজের রচিত গানে সুরারোপ করে গাইলেন হৃদয় নিঙরানো গান। ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশঅস্তগামী মুখের শেষ রেশলক্ষ মানুষ নিহত, এই তো বাংলাদেশ।
’সেদিন আসর বেদনাবিধুর হয়ে উঠেছিল জর্জ হ্যারিসনের মর্মস্পর্শী ও হৃদয় বিদারক গানে,‘দু’চোখে দুঃখ নিয়ে বন্ধু এলোকাঁদে সাহায্য চাই, দেশ বুঝি যায় ভেসেযদিও অনুভব করতে পারি নাই তার দুঃখতবু জানতাম আমার কাছে প্রয়াসের প্রয়োজন। ’জর্জ হ্যারিসনের কণ্ঠে ছিল বাঙালি জাতির প্রতি সহানুভূতি ও হৃদয় নিঙরানো ভালোবাসা। সেই সংবেদনশীল মনের প্রকাশ ঘটেছে তার ‘বাংলাদেশ’ শীর্ষক গানে। তিনি গেয়েছিলেন,‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশকি দ্রুত সেখানে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ...’বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের অনুকূলে সঙ্গীতে প্রতিরোধের আসর বসেছিল লন্ডনের অ্যালবার্ট হলে, বার্লিনের আলেকজান্ডার প্লাজায়, দিল্লির সঙ্গীত নাটক একাডেমীতে।
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণের বীরত্ব এবং আত্মত্যাগের মহিমার গুণকীর্তন ছিল সঙ্গীতের মূল বিষয়। জাপানের তাকামামা সুজুকি জাপানের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে জর্জ হ্যারিসনের ‘বাংলাদেশ’ গানটি শুনিয়ে সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ।
আজ এই পর্যন্তই । এইটা আমার প্রথম পোস্ট সকল ভূল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে ব্লগে পথচলায় অনুপ্রেরনা যোগাবেন এইটাই সকল ব্লগার ভাইদের কাছে প্রত্যাশা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।