এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছিল পাকিস্তান। পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। শেষ ওভারের দুই ছক্কায় হারিয়েছিল চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে। সেই ভারতের কাছেই টি-২০ বিশ্বকাপের টপ টেনের প্রথম ম্যাচে হেরে যায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তাও আবার অনায়াসে।
চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে হেরে এখন অনেকটাই কোণঠাসা হাফিজবাহিনী। আজ পাকিস্তান দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে আসরের আরেক ফেবারিট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আইসিসির ‘ব্লক বাস্টার’ ইভেন্টটিতে অসিদের এটি আবার প্রথম ম্যাচ। খেলা হবে দিনের আলোয়। আসরে টিকে থাকতে হলে ২০০৯ সালের টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জিততেই হবে।
অন্যদিকে প্রথমবারের শিরোপা জেতার স্বপ্নে বিভোর জর্জ বেইলিদেরও জিততে হবে। সে হিসেবে ম্যাচটিকে হেভিওয়েট লড়াই বলাই যায়! আগের ম্যাচে ভারতীয় স্পিনারদের কাছেই হেরেছিল হাফিজবাহিনী। যদিও পাকিস্তান দলে রয়েছে তিন তারকা স্পিনার অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ, সাঈদ আজমল ও শহীদ আফ্রিদি। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক বেইলি পাকিস্তানের ব্যাটিং কিংবা পেস বোলিং নিয়ে সামান্যতম চিন্তিত নন। তার ভাবনায় স্পিনার, ‘আমরা পাকিস্তানের সব ক্রিকেটারকে বিভিন্ন সময়ে দেখেছি।
টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশের তিন স্পিনার তাদের। তাই বলতেই হয়, ওদের স্পিন বিভাগটাই অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী। ’ খেলা হচ্ছে বাংলাদেশে। খেলা আবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। যেখানে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন।
এখানকার কন্ডিশন অনেকটাই স্পিন সহায়ক। পূর্ণ পেশাদার শক্তির অস্ট্রেলিয়া কন্ডিশন নিয়ে ভাবছেন না, ‘আমি মনে করি টি-২০ ক্রিকেটে স্পিন সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানকার কন্ডিশন স্পিনারদেরই সহায়তা করে। তাই আমরা ভালো করেই জানি স্পিনারদেরই মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। ’ প্রতিপক্ষ দলে ভালো ভালো স্পিনার থাকার পরও শুভ সূচনা চান অসি অধিনায়ক, ‘পাকিস্তানি স্পিনারদের বিপক্ষে আমাদের সব সময়ই কঠিন লড়াই করতে হয়।
তারপরও আমরা জিতেই সূচনা করতে চাই আসরের। ’ প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ভারতের চেয়েও কঠিন। ভারতের বিপক্ষে হারে অনেকটাই পেছনে পড়ে গেছে পাকিস্তান। তারপরও পাকিস্তানি কোচ মঈন খান হারের ধাক্কা সামলে ফিরতে চান জয়ের ধারায়, ‘ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরেছি। তারপরও দলের ক্রিকেটারদের ওপর আমার আস্থা রয়েছে।
আশা করি আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওরা ঘুরে দাঁড়াবে। জয়ের জন্য আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলব আজ। আমি আশাবাদী ম্যাচ জিততে। ’ আজ জেতার জন্য নামতেই হবে পাকিস্তানকে। যদি জিতে তাহলেই টিকে থাকবে সেমিতে খেলার আশা।
না জিতলে বিদায়ের সম্ভাবনাই বেশি। এটাও জানে পাকিস্তানি কোচ, ‘যে কোনো টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ হেরে গেলে সুযোগ কমে যায়। সেমিতে খেলতে হলে আজ জেতা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়াবে? নাকি জয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়া আসর শুরু করবে সেটাই আজ দেখার বিষয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।