মানুষ নয়, একটি জিরাফ তার ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে চুমু খেলো তার দীর্ঘদিনের দেখাশোনাকারী মারিওকে। এই ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটলো ৫৪ বছরের মারিওর সাথে।
মারিও জীবনের বেশির ভাগই কাটিয়েছেন চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের দেখাশোনা করে। কিন্তু দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকমাস তিনি হাসপাতালে শয্যাশায়ী। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া মারিও ভুলতে পারেননি রটারডামের চিড়িয়াখানার দীর্ঘদিনের বন্ধু পোষা জীবদের।
জীবনের শেষ সময়ে একটি বারের জন্য পুরনো ঠিকানায় ফেরার আবদার জানিয়েছিলেন মারিও।
মারিওর জীবনের শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য তার চিকিৎসকরা খবর দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অ্যাম্বুল্যান্স উইশ ফাউন্ডেশন’-এর কাছে। মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া মানুষদের শেষ ইচ্ছা পূরণই এদের কাজ। মারিও-র কথা শুনেই তোড়জোড় শুরু করে দেন সংগঠনের কর্মীরা। বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে করে মারিওকে নিয়ে যাওয়া হয় চিড়িয়াখানায়।
নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই মারিওর। তাই গায়ে চাদর চাপা দিয়ে বেল্ট দিয়ে বিছানার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে দেওয়া হয় শরীরটাকে। ঘুরিয়ে দেখানো হয় চিড়িয়াখানার চারপাশ।
তবে আসল ঘটনাটা ঘটল জিরাফের খাঁচার সামনে আসতেই। ওই খাঁচাটার কাছে কিছুক্ষণ থাকতে চেয়েছিলেন মারিও।
তাতেই এগিয়ে এল একটি জিরাফ। পুরনো সাথীকে চিনতে ভুল করেনি সে। এগিয়ে এসে মারিও-র গায়ে মুখ বুলিয়ে দিল। চুমু খেল মুখে। আর তারপরই ক্যামেরাবন্দি হল লাখ টাকার ছবি।
সেই ছবি-ই ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ল ফেসবুকে।
স্বেচ্ছাসেবী কর্মী কিজ ভেল্ডবোয়ের বললেন, “ওরা কিন্তু ঠিক চিনতে পেরেছিল। বুঝেছিল পুরনো বন্ধু একেবারেই সুস্থ নেই। একটা দারুণ মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে রইলাম। মারিওর মুখটা তখন আনন্দে ঝলমল করছিল।
”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।