আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“সবুজ ফুলকপির চাষ”

ব্লগে কবিতা, ছড়া এবং কর্মসংস্থানমূলক প্রবন্ধ লিখব বলে আশা করি। বাংলাদেশে প্রাপ্ত বৈচিত্র্যময় সবজির সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে সবুজ ফুলকপি বা ‘ব্রোকলি’। এখন পর্যন্ত ব্রোকেলির সঙ্গে এ দেশের মানুষের ব্যাপকভাবে পরিচিতি না ঘটলেও দেশের কোথাও কোথাও বিগত ১০/১২ বছর ধরে সীমিত আকারে এর চাষ হচ্ছে। ফুলকপির মতো এটিও শীতকালীন সবজি। ফুলকপি জমাট বাঁধা একটি ফুলের মতো দেখতে, কিন্তু ব্রোকলি কিছুটা বিচ্ছিন্ন ও অনেক ফুলের সমাহার।

এর রং গাঢ় সবুজ বলে একে ‘সবুজ ফুলকপি’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। গ্রিন ডিউক, গ্রিন কমেট, গ্রিন চার্জার প্রভৃতি জাতের ব্রোকলি এ দেশে জন্মে থাকে। ফুলকপির চেয়ে আকারে কিছুটা ছোট এবং ওজন কম হওয়ায় এর উত্পাদনের পরিমাণও কম হয়ে থাকে। যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে যেখানে প্রতি শতক জমিতে ১২০ কেজি পর্যন্ত ফুলকপি উত্পাদিত হয়, সেখানে প্রতি শতক জমিতে ব্রোকলির উত্পাদন সর্্বোচ্চ ৮০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে সাধারণ ফুলকপির তুলনায় সবুজ ফুলকপি প্রায় দ্বিগুণ দামে বাজারে বিক্রি হয়।

এজন্য সবুজ ফুলকপির চাষ অধিকতর লাভজনক। সবুজ ফুলকপি সবজি হিসেবে অত্যন্ত সুস্বাদু। এটা ভেজিটেবল স্যুপ তৈরিতে খুবই উপযোগী। তাছাড়া পুষ্টিমানের দিক থেকেও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রোকলিতে থাকে ৩.০ গ্রাম আমিষ, ০.৩ গ্রাম স্নেহ এবং ৫.০ গ্রাম শর্করা।

এছাড়া খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় ২৫ কেলোরি, কেলসিয়াম ৮৮ মি. গ্রাম, লৌহ ০.৮ মি. গ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.০৯ মি. গ্রাম, বি২ ০.২০ মি. গ্রাম, নায়াসিন ০.৮ মি. গ্রাম এবং ভিটামিন সি ৯০ মি. গ্রাম। উর্বর দোআঁশ এবং এঁটেল দোআঁশ মাটিতে ব্রোকলি সবচেয়ে ভালো জন্মে। বীজ বপনের সময়, চারা রোপণ পদ্ধতি, জমি তৈরি, সারের পরিমাণ ও সার ব্যবহারের নিয়মাবলী এবং পরিচর্যা ইত্যাদি অনেকটা ফুলকপির অনুরূপ। রোপণের পর আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে এই কপি খাওয়ার উপযোগী হয়। বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে, আঙ্গিনার ধারে, উঁচু ভিটে বা পালানে কিংবা ফসলের জমিতে এর চাষ করা যায়।

আজকাল শহরে অনেকেই দালানের ছাদে, বারান্দার টবে, ভাঙা ড্রাম কিংবা অন্য কোনো পাত্রে মাটি ভরে শাক-সবজি উত্পাদন করছে। বসতবাড়িতে অথবা বাড়ি সংলগ্ন জমিতে সামান্য প্রচেষ্টার বিনিময়ে আমরা প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি উত্পাদন করতে পারি। মহিলা এবং ছোট ছোট ছেলে-মেয়েই এর পরিচর্যা করতে সক্ষম। এভাবে উদ্যোগী হয়ে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আমরা অনায়াসেই পরিবারের দৈনন্দিন শাক-সবজির চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত অংশ বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করতে পারি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।