বুধবার সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ১১৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ১৭.৩ ওভারে মাত্র ৭৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
ধীরগতিতে হলেও উইকেট বাঁচিয়ে ইনিংসের শুরুটা কিন্তু খারাপ করেনি বাংলাদেশের আয়েশা রহমান ও সানজিদা ইসলাম। ৫.৩ ওভারে স্কোর বোর্ডে মাত্র ১৯ রান যোগ হলেও অবিচ্ছিন্ন ছিল তারা।
তবে তারপরই হোঁচট খায় স্বাগতিকরা।
১৯ রানেই পরপর দুই ওভারে ফিরে যান আয়েশা (১০) ও সানজিদা (৮)। মাত্র ২ রান করে ফিরে যান ফারজানা হকও। এরপর ১৭ রান করে অধিনায়ক সালমা খাতুন প্যাভিলিয়নে ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪৪/৪।
তবে নুজহাত তাসনিয়ার সঙ্গে (৬) ২৮ রানের জুটি গড়ে দুই আসরের সেমি-ফাইনালিস্টদের হারানোর কিছুটা সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন রুমানা আহমেদ। একসময় ৩২ বলে ৪৬ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের।
কিন্তু বরাবরের মতো লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হারেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। আট রানে পড়ে শেষ ৬ উইকেট।
২৩ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২৬ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি খেলেন রুমানা।
বাংলাদেশের আটজন ক্রিকেটারই দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেনি।
৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন লেগস্পিনার শ্যাকুয়ানা কুইনটাইন।
এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন পেসার ট্রিমায়েন স্মার্ট ও অফস্পিনার আনিসা মোহাম্মেদ।
এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয় বলে ক্যারিবীয়দের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কাইসিয়া নাইটকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সালমা খাতুন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানও তখন শূন্য।
লেগস্পিনার ফাহিমা খাতুন ষষ্ঠ ওভারে শ্যাকুয়ানা কুইনটাইন ও অষ্টম ওভারে কাইশোনা নাইটকে ফিরিয়ে দিলে অস্বস্তিতে পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
একাদশ ওভারে বাংলাদেশের আরেক লেগস্পিনার রুমানা আহমেদ ক্যারিবীয় অধিনায়ক মেরিসা অ্যাগুইলেইরাকে পান্না ঘোষের ক্যাচ বানালে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দলের স্কোর তখন ৪৩/৪।
কিন্তু স্টেসি-অ্যান কিংয়ের (১৩ বলে ২০) সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়ে বিপদ কাটিয়ে ওঠেন ডিয়ান্ড্রা ডোটিন।
কিং ও ডোটিনকে ফাহিমা খাতুনের ক্যাচে পরিণত করেন অফস্পিনার খাদিজা তুল কুবরা। ৩৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ রান করেন ডোটিন।
পরে আনিসা মোহেম্মেদের ১৪ বলে ১৫ ও সেমাইনি ক্যাম্পবেলের ৪ বলে ৭ রানের সুবাদে লড়াই করার মতো ইনিংস গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার খাদিজা তুল কুবরা। দুটি করে উইকেট নেন সালমা ও ফাহিমা। রুমানা নেন একটি উইকেট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।