তরুণদের ভাল কিছু করার আকাঙ্খা যখন তারনা দেয়, একটা দেশ তখনই অগ্রসর হয়। ঘটনা সেই ২০০৪ সালের
প্রত্যেক বছর বাংলাদেশ নেভী কিছু নেভাল স্টাফদের সরকারি ভাবে হজের সুযোগ দিয়ে থাকে। আব্বু ২০০৪ সালের হজ টিমে সিলেক্টেড হন। আমরা সবাই ব্যফক খুসি ছিলাম। অনেক কাহিনীই আছে আব্বুর হজের কিন্তু যে কারনে লিখতে বসলাম সেইটাই আগে লিখি।
কাবা শরীফের এক কোণায় আছে, হাজারে আসওয়াদ। ওটাতে চুমা খাওয়া নাকি ভাগ্যের বিষয়, আমার বাপটা একজন এভারেজ বাঙ্গালি হাইটের মুসলমান। তাও সে চিপাচুপা দিয়া ওই জায়গায় পৌচাইছিল, তিনি মাথাটা ভেতরে দিলেন, চুমা ও দিলেন, কিন্তু যখন বের করতে যান, তখনই খেয়াল করেন, তাহার গর্দান আটকায়া গেছে। মানুষের হাতের কারনে, যারা এর পর চুমা খাইবে তারা আগে থেকে দখলের জন্য হাত দিয়া রাখছেন। কোন ভাবেই মাথা বের করতে পারতেছিলেন না।
আব্বু মনে মনে ভাইবা নিছেন তিনি ওখানেই মারা যাচ্ছেন, কারণ শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিলো, মনে মনে অনেক কথা বলছেন, যা এখানে বললে লিখার মজাটাই নষ্ট হয়ে যাবে। এমন সময় এক কালো, বিশাল লম্বা লোক আব্বুকে টাইন্না বের করেন ওখান থেকে। যদিও আব্বু ঘাড়ে বেথা পাইছিলেন, কিন্তু বেঁচে গেলেন। সেই লম্বা লোকটা নাকি দেখতে অনেকটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের মতো। এর পর থেকে আমার আব্বাজান ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর সেইরাম পাঙ্খা।
তাই এইবারের T20 বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ে আমার চেয়ে আব্বু বেশি খুশি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।